ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদলগাছিতে শিশু জুঁই ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগটি ৬০ হাজার টাকায় রফদফা যশোরে জোড়া খুন নেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জন রানীশংকৈল জয়কালী বাজারে ভেজাল দুধ বিক্রী নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের অভিযান পটুয়াখালীতে রমজানে খেটে-খাওয়া রোজাদার পথেই পাবে ইফতার কুমিল্লায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। বদলগাছিতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির টাকা ইউপি সদস্যর পকেটে ব্রাহ্মণপাড়ায় ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১ জন যশোরে মামলা প্রত্যাহারসহ সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি সাউন্ডবাংলা-পল্টনড্ডায় ইফতার ও স্বপ্নালোক-এর মোড়ক উন্মোচন নতুন কৌশলে ডাক্তার কোটিপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন বিএনপির একটি অপচেষ্টা নির্বাচন বানচাল করা: মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী

আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

স্বীকৃতি বিশ্বাস 
সাবেক মার্কিস প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার এই ৪ টি মৌলিক অধিকার সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
বিশিষ্ট পরিবেশবাদী ও ভোক্তাদের অধিকার বিষয়ে আন্দোলনে সোচ্চার মালয়েশিয়ার আনোয়ার ফজলকে ভোক্তা অধিকার দিবসের রূপকার হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ মার্চ ভোক্তা সংগঠনগুলোর মাধ্যমে ভোক্তাদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে সারা বিশ্বে দিবসটি পালনের আহ্বান জানানো হয়।  যা পরবর্তী সময়ে ভোক্তা আধিকার আইন হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে জাতিসংঘ ভোক্তা অধিকার রক্ষার নীতিমালায় কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরো বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরো আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়। আর তাই  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডি’র ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৫ মার্চকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে বৈশ্বিকভাবে উদ্‌যাপন করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী, ক্রেতা যেসব বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন, তা হলো বিক্রেতার পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, সেবার তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, পণ্য মজুত করা, ভেজাল পণ্য বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় উৎপাদন খাদ্য বাজারে সরবরাহ ইত্যাদি।
ভোক্তা অধিকার দিবসটি পালন  উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা।
বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার আইন আছে কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা ধরনের জটিলতা। বাজারে গিয়ে দেখা যায় পণ্যের মোড়ক নাই আবার মোড়ক থাকলেও মোড়কের গায়ে মূল্য লেখা নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে মূল্য লেখা থাকলেও তৈরীর তারিখ ও বাজেয়াপ্তির তারিখ অস্পষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মূল্য তালিকা নেই। ফলে একই জিনিসের দাম বিভিন্ন দোকানে কম/বেশি নেওয়া হয়।ফলে ভোক্তারা সব সময় বিক্রেতার নিকট ও পণ্যের মান নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয়।
বাংলাদেশে ভোক্তারা সব সময় সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ঠকতে থাকে।ভোক্তা অধিকার নিয়ে সরকারের ভোক্তা অধিকার আইন যেমন আছে তেমনি আছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিস। ভোক্তা আধিকার অফিস ও অফিসের কর্মকর্তা থাকলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই, সিন্ডিকেট ভাঙার কোন প্রয়াসও নেই।
বিশ্বের উন্নত দেশে ব্যবসা বা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। আর আমাদের দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া আমাদের বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কথা শুনে মনে হয় সরকারও যেন কোন এক অদৃশ্য কারণে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত অনেকাংশে অনিহা।
জনপ্রিয় সংবাদ

ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

আপডেট সময় ০৮:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২
স্বীকৃতি বিশ্বাস 
সাবেক মার্কিস প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার এই ৪ টি মৌলিক অধিকার সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
বিশিষ্ট পরিবেশবাদী ও ভোক্তাদের অধিকার বিষয়ে আন্দোলনে সোচ্চার মালয়েশিয়ার আনোয়ার ফজলকে ভোক্তা অধিকার দিবসের রূপকার হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ মার্চ ভোক্তা সংগঠনগুলোর মাধ্যমে ভোক্তাদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে সারা বিশ্বে দিবসটি পালনের আহ্বান জানানো হয়।  যা পরবর্তী সময়ে ভোক্তা আধিকার আইন হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে জাতিসংঘ ভোক্তা অধিকার রক্ষার নীতিমালায় কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরো বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরো আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়। আর তাই  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডি’র ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৫ মার্চকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে বৈশ্বিকভাবে উদ্‌যাপন করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী, ক্রেতা যেসব বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন, তা হলো বিক্রেতার পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, সেবার তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, পণ্য মজুত করা, ভেজাল পণ্য বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় উৎপাদন খাদ্য বাজারে সরবরাহ ইত্যাদি।
ভোক্তা অধিকার দিবসটি পালন  উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা।
বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার আইন আছে কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা ধরনের জটিলতা। বাজারে গিয়ে দেখা যায় পণ্যের মোড়ক নাই আবার মোড়ক থাকলেও মোড়কের গায়ে মূল্য লেখা নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে মূল্য লেখা থাকলেও তৈরীর তারিখ ও বাজেয়াপ্তির তারিখ অস্পষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মূল্য তালিকা নেই। ফলে একই জিনিসের দাম বিভিন্ন দোকানে কম/বেশি নেওয়া হয়।ফলে ভোক্তারা সব সময় বিক্রেতার নিকট ও পণ্যের মান নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয়।
বাংলাদেশে ভোক্তারা সব সময় সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ঠকতে থাকে।ভোক্তা অধিকার নিয়ে সরকারের ভোক্তা অধিকার আইন যেমন আছে তেমনি আছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিস। ভোক্তা আধিকার অফিস ও অফিসের কর্মকর্তা থাকলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই, সিন্ডিকেট ভাঙার কোন প্রয়াসও নেই।
বিশ্বের উন্নত দেশে ব্যবসা বা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। আর আমাদের দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া আমাদের বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কথা শুনে মনে হয় সরকারও যেন কোন এক অদৃশ্য কারণে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত অনেকাংশে অনিহা।