![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পেকুয়া প্রতিনিধি:-
কক্সবাজারের পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যাটারি চালিত যান। এদের বেশির ভাগই কিন্তু লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন। আবার এসব অটোরিক্সার অধিকাংশ ড্রাইভারের বয়স ১৬ বছরেরও কম। তাদের অদক্ষতার ফলে সড়কে প্রতিদিন এক্সিডেন্টতো লেগেই আছে।
এসব যানবাহন সড়কে দাপিয়ে চললেও তা বন্ধে নেই কোন তৎপরতা। অন্যদিকে সড়কের দুপাশে অবৈধ গাড়ি পার্কিং এর ফলে যানযট বেড়ে চলেছে। এ যানযট নিরসনে সচেতন মহল দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগের দাবী রাখলেও সেবিষয়ে তৎপর নেয় প্রশাসন। পেকুয়া উপজেলা ও থানা প্রশাসন মাঝে মধ্যে উদ্যোগ নিলেও তা অভিযান চলাকালীন সময় পর্যন্ত থাকে।
অভিযান শেষ হলেই সড়ক দখলে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এসব যানবাহন। সড়কে অপরিকল্পিত হারে বেড়ে উঠা অটোরিক্সার কবলে পড়লে লাগে লম্বা লাইন। জরুরী প্রয়োজনে কিংবা হাসপাতাল পর্যন্ত বন্ধ থাকে। ফলে রোগী আনা-নেওয়া করতেও হিমসিম খেতে হয় সাধারণ পথচারীদের। স্থানীয়দের দাবী, সড়কে অপরিকল্পিত হারে অটোরিকশা বেড়ে যাওয়ার কারণে পেকুয়া বাজার এবং চৌমুহনীর প্রধান প্রধান পয়েন্ট গুলোতে প্রতিদিন যানযট লেগেই থাকে। যার ফলে সাধারণ পথচারীদের সড়কে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সেই সাথে ছোট বড় দূর্ঘটনাতো আছেই। আগের তুলনায় সড়ক যথেষ্ট প্রসস্থ হয়েছে কিন্তু কমেনি যানযট। সড়কের দ্#ু৩৯;পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রাখে অসংখ্য যানবাহন। যার ফলে সড়কে অন্যান্য দূরপাল্লার যান চলাচলে বাধাগ্রস্থ হয়ে দাঁড়ায়। যানযট প্রতিদিন লেগে থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগের বিষয়ে প্রশাসনের কোন তৎপরতা এখনো দেখা যায়নি।
অন্যদিকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে বেড়েছে অবৈধ বিদ্যুতের ব্যবহার। যার ফলে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবহারে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। পথচারী জাকের হোছাইন বলেন, সড়কে অপরিকল্পিত হারে এসব যানবাহন বেড়ে যাওয়ার কারণে রাস্তায় চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিশেষ করে পেকুয়াা বাজার থেকে চৌমুহনী, কলেজ গেইট, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এসব পয়েন্টে যানযট লেগে থাকে।
এসব যানযট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা খুবই জরুরী। অটোরিকশা চালক আবুল কাশেম বলেন, আমার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৭জন। ঘুম থেকে উঠেই রিকশা নিয়ে বের হই। আমি অন্য কোন কাজ করতেও পারিনা৷ ফলে বাধ্য হয়েই আমাকে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার টানতে হয়। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা সড়ক অনেক বেড়ে গেছে। তাই তেমন যাত্রীও খুঁজে পাওয়া যায়না।
তারপরও পেটের দায়ে গাড়ি চালাতে হয় আমাদের। তাছাড়া সরকারি- বেসরকারী কোন ধরনের সহযোগিতাও আমরা পাইনা। বরাদ্দ যা আসে তার বেশিরভাগ চলে যায় নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয়দের পেটে। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়ি পার্কিং এর বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের অনেক বার জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।