প্রেস বিজ্ঞপ্তি
নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ৭ বছরের শিশু ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ০৭ বছরের শিশু ভিকটিম নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন একটি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। ভিকটিম গত ইং ১৫/০৯/২৩ তারিখ সকালের দিকে তার মাকে খোঁজার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে গ্রামের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিমকে একা পেয়ে এক ব্যক্তি জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় ভিকটিম শিশুটির কান্নাকাটি ও ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারী পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বর্তমানে ভিকটিম শিশুটি চিকিৎসা গ্রহণ করে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে আছে। র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পে উক্ত স্পর্শকাতর ও মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়ে তাৎক্ষণিক একটি গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ ধর্ষণকারীকে সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ভিকটিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষনকারীকে সনাক্ত করার জন্য চেষ্টা করে কিন্তু ভিকটিম একজন ৭ বছরের শিশু এবং তার সাথে ঘটে যাওয়া উক্ত স্পর্শকাতর ও মর্মান্তিক ঘটনায় সে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে ফলে ধর্ষনকারীকে সনাক্ত করতে পারে না কিন্তু ধর্ষণকারী একজন টলি গাড়ি (বালু টানা গাড়ি) চালক ছিল বলে জানায়।
পরবর্তীতে র্যাব-৬, যশোর ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ভিকটিম হতে প্রাপ্ত তথ্য আমলে নিয়ে একাধিক টিম মাঠ পর্যায়ে ধর্ষণকারী সনাক্তে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের সাহায্যে ধর্ষণকারীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্প এর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন বারইহাটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর শিশু ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের দায়ে ধর্ষণকারী মোঃ সামিরুল (২২), থানা- কালিয়া, জেলা- নড়াইল’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পূর্বক মোঃ সামিরুল (২২)’কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে উক্ত অপরাধ স্বীকার করে এবং ঘটনাটি সে একাই ঘটিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষণকারী আরো জানায়, সে ঘটনার দিন ঘটনাস্থল দিয়ে টলি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল এবং ভিকটিমকে সেখানে একা পেয়ে তার খারাপ চিন্তা ভাবনা মাথায় আসলে ভিকটিমকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষন করে।
উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।