বাংলাদেশ ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিনব কায়দায় পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ রাসেল ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব-১। শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি মন্দিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সড়কে বেদুরিয়া নদীর উপরে ৪০বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজের বেহাল দশা, দুর্ঘটনার আশঙ্কা তালতলীতে ভাসা প্রকল্পের বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু একই পরিবারের ০৩ জন’কে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা সাগর আলী ও তার স্ত্রী ইশিতা বেগমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আকাশ গ্রুপের ০৫ জন এবং পৃথক অভিযানে ছিনতাই এর প্রস্তুতিকালে ১৫ জন ছিনতাইকারীসহ মোট ২০ জন গ্রেফতার। নওগারঁ মান্দায় এক বছর না যেতেই ধসে পড়ল কালভার্ট নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার। নোয়াখালীতে গণপূর্তের শত কোটির জায়গা উদ্ধার অভিনব কায়দায় মাদক পরিবহনের সময় ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফকতার করেছে র‌্যাব-৬। শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত রানীশংকলের কারিগররা অভিনব কৌশলে স্কুটির টায়ার ও সিট কভারে মাদক পরিবহন কালে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১০, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত স্কুটি জব্দ। আ. লীগ সরকার যতো উন্নয়ন করেছে, অতীতে কোন সরকার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি: পলক সিংড়ায় স্বামীর অধিকার আদায়ে অনশন করেছে স্ত্রী নৌকার বিরোধিতা করেও ছাত্রলীগের সভাপতি হতে চায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব মৃধা

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর উত্তরাঞ্চলের ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৫৯২ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর উত্তরাঞ্চলের ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বশীল মুনতাসীর বিল্লাহ সহ ০৪ সদস্যকে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

 

 

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

 

 

 

 

র‌্যাব প্রতিনিয়ত অভিযান ও নজরদারী পরিচালনার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ দমনে কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে র‌্যাবের নিয়মিত নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ০৩ হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় ০২ হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে র‌্যাব। যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই র‌্যাব ফোর্সেস সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

 

 

 

 

গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ ০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা উগ্রবাদী সংগঠনটির বিভিন্ন অঞ্চলের কার্যক্রম ও সদস্য নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

 

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩ এর আভিযানিক দল ঠাকুরগাঁও সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ ইয়াছিন (১৭), পিতাঃ মোঃ মহসীন আলী, ঠাকুরগাঁওকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ভোরবেলা দিনাজপুর সদর ও বিরল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ২। মো: মুনতাসির বিল্লাহ (৩৬), পিতা- মোঃ কেরামত আলী, জেলা: দিনাজপুর, ও তার সহযোগী ৩। আব্দুল মালেক (৩৩), পিতা- রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর এবং ৪। সাব্বির হোসেন (২০), পিতা- মৃত আব্দুস সালাম, দিনাজপুরদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আলামত হিসেবে বিভিন্ন দাওয়াতী বই (হার্ড কপি এবং পিডিএফ কপি), ০৪টি মোবাইল ও ০৪টি সীমকার্ড জব্দ করা হয়। 

 

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে তামিম আল আদনানী, হারুন ইজহার, গুনবীসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক নেতার বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে।

 

 

 

 

পরবর্তীতে তারা উত্তরাঞ্চলে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা সমাজের ধর্মভীরু মুসলমানদের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে সংগঠনে যোগদান ও তাদের তথাকথিত জিহাদের প্রতি আগ্রহ করার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করে তোলে। এ উদ্দেশ্যে সংগঠনের সদস্যদের কে তারা বিভিন্ন উগ্রবাদী পুস্তিকা, মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও সরবরাহ করতো।

 

 

 

 

 

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তারা উত্তরাঞ্চলে সংগঠনের কার্যক্রম প্রসারিত করার লক্ষ্যে মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। তারা বিভিন্ন অপব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে দেশের বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিতৃষ্ণা তৈরি করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য সদস্যদেরকে উগ্রবাদী করে তুলতো বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত মুনতাসীর বিল্লাহ সংগঠনটির উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি টেক্সটাইল বিষয়ে অধ্যয়নরত থাকাকালীন ০৬ মাস অধ্যয়নের পর পড়া বাদ দিয়ে এলাকায় হিজামার ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকায় প্রাইভেটও পড়াতেন। তিনি ২০২১ সালে উক্ত সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতার মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগ দেন ও উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন।

 

 

 

 

পরবর্তীতে তিনি উত্তরাঞ্চলে দাওয়াতী কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি অদ্যাবধি ১৫ এর অধিক ব্যক্তিকে সংগঠনে যুক্ত করে বলে জানা যায়। তিনি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। সে ঠাকুরগাও, দিনাজপুর, ঢাকা, লক্ষীপুর, ভোলা এবং খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর ও সভায় অংশগ্রহণ করতো বলে জানা যায়।

 

 

 

 

এছাড়াও তিনি পাশর্^বর্তী বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতেন। তিনি সদস্যদের নিকট থেকে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহ, মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও এবং বিভিন্ন উগ্রবাদী পুস্তিকা সরবরাহ করতেন বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন এসএসসি পাশ করে ঠাকুরগাঁও এলাকায় মধুর ব্যবসা করতো। সে ২০২২ সালে গ্রেফতারকৃত মুনতাসির এর মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। সে সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং সংগঠনের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। সে তার এলাকার ০৬ জনকে উদ্বুদ্ধ করে সংগঠনে যোগদান করিয়েছে বলে জানা যায়।

 

 

 

 

 

এছাড়াও সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গ্রæপে সংগঠনের সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতো। সে তার মধু ব্যবসার অর্থ এবং ঠাকুরগাও এলাকার সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের নিকট হতে চাঁদা সংগ্রহ করে গ্রেফতারকৃত মুনতাসিরকে দিত বলে জানা যায়। সে ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত রিপন এর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতো ও রিপনকে তথাকথিত হিজরতের জন্য পাশ^বর্তী দেশে গমনের উদ্দেশ্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ প্রদান করেছে বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আব্দুল মালেক পূর্বে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে কুক হিসেবে কর্মরত ছিল। পরবর্তীতে সে ০৩ বছর পূর্বে দিনাজপুরে ফিরে এসে দিনাজপুর শহরে চাংপাই চাইনিজ নামে একটি ফুড কার্ড এর ব্যবসা শুরু করে। ২০২১ সালে গ্রেফতারকৃত মুনতাসির এর সাথে তার পরিচয় হয় এবং আনসার আল ইসলাম এর মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। সে অদ্যাবধি ৪/৫ জনকে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করিয়েছে বলে জানা যায়। সে সংগঠনে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করতো। এছাড়াও সে গ্রেফতারকৃত মুনতাসীরের সাথে দিনাজপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের সভায় অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত সাব্বির মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে দিনাজপুরের বিরলে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করতো। সে ২০২২ সালে গ্রেফতারকৃত মুনতাসির এর মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘আনসার আল ইসলাম’ এ যোগদান করে। সে তার নিজ এলাকা দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল এবং ৩/৪ জনকে সংগঠনে যোগদান করিয়েছে বলে জানা যায়। সে গ্রেফতারকৃত মুনতাসীরের সাথে উত্তরাঞ্চল ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের মিটিং এ অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। সে সংগঠনের কাজে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করতো এবং অন্যান্য সদস্যদের নিকট হতে চাঁদা সংগ্রহ করে গ্রেফতারকৃত মুনতাসীরের নিকট প্রদান করতো বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মূলকপি স্বাক্ষরিত…. মাহমুদ বশির আহমেদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৩০৩ তারিখঃ ১৫/০৯/২০২৩ খ্রিঃ।

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অভিনব কায়দায় পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ রাসেল ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব-১।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর উত্তরাঞ্চলের ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

আপডেট সময় ০৬:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

 

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বশীল মুনতাসীর বিল্লাহ সহ ০৪ সদস্যকে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

 

 

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

 

 

 

 

র‌্যাব প্রতিনিয়ত অভিযান ও নজরদারী পরিচালনার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ দমনে কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে র‌্যাবের নিয়মিত নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ০৩ হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় ০২ হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে র‌্যাব। যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই র‌্যাব ফোর্সেস সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

 

 

 

 

গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ ০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা উগ্রবাদী সংগঠনটির বিভিন্ন অঞ্চলের কার্যক্রম ও সদস্য নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

 

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩ এর আভিযানিক দল ঠাকুরগাঁও সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ ইয়াছিন (১৭), পিতাঃ মোঃ মহসীন আলী, ঠাকুরগাঁওকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ভোরবেলা দিনাজপুর সদর ও বিরল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ২। মো: মুনতাসির বিল্লাহ (৩৬), পিতা- মোঃ কেরামত আলী, জেলা: দিনাজপুর, ও তার সহযোগী ৩। আব্দুল মালেক (৩৩), পিতা- রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর এবং ৪। সাব্বির হোসেন (২০), পিতা- মৃত আব্দুস সালাম, দিনাজপুরদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আলামত হিসেবে বিভিন্ন দাওয়াতী বই (হার্ড কপি এবং পিডিএফ কপি), ০৪টি মোবাইল ও ০৪টি সীমকার্ড জব্দ করা হয়। 

 

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে তামিম আল আদনানী, হারুন ইজহার, গুনবীসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক নেতার বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে।

 

 

 

 

পরবর্তীতে তারা উত্তরাঞ্চলে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা সমাজের ধর্মভীরু মুসলমানদের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে সংগঠনে যোগদান ও তাদের তথাকথিত জিহাদের প্রতি আগ্রহ করার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করে তোলে। এ উদ্দেশ্যে সংগঠনের সদস্যদের কে তারা বিভিন্ন উগ্রবাদী পুস্তিকা, মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও সরবরাহ করতো।

 

 

 

 

 

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তারা উত্তরাঞ্চলে সংগঠনের কার্যক্রম প্রসারিত করার লক্ষ্যে মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। তারা বিভিন্ন অপব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে দেশের বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিতৃষ্ণা তৈরি করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য সদস্যদেরকে উগ্রবাদী করে তুলতো বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত মুনতাসীর বিল্লাহ সংগঠনটির উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি টেক্সটাইল বিষয়ে অধ্যয়নরত থাকাকালীন ০৬ মাস অধ্যয়নের পর পড়া বাদ দিয়ে এলাকায় হিজামার ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকায় প্রাইভেটও পড়াতেন। তিনি ২০২১ সালে উক্ত সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতার মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগ দেন ও উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন।

 

 

 

 

পরবর্তীতে তিনি উত্তরাঞ্চলে দাওয়াতী কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি অদ্যাবধি ১৫ এর অধিক ব্যক্তিকে সংগঠনে যুক্ত করে বলে জানা যায়। তিনি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। সে ঠাকুরগাও, দিনাজপুর, ঢাকা, লক্ষীপুর, ভোলা এবং খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর ও সভায় অংশগ্রহণ করতো বলে জানা যায়।

 

 

 

 

এছাড়াও তিনি পাশর্^বর্তী বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতেন। তিনি সদস্যদের নিকট থেকে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহ, মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও এবং বিভিন্ন উগ্রবাদী পুস্তিকা সরবরাহ করতেন বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন এসএসসি পাশ করে ঠাকুরগাঁও এলাকায় মধুর ব্যবসা করতো। সে ২০২২ সালে গ্রেফতারকৃত মুনতাসির এর মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। সে সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং সংগঠনের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। সে তার এলাকার ০৬ জনকে উদ্বুদ্ধ করে সংগঠনে যোগদান করিয়েছে বলে জানা যায়।

 

 

 

 

 

এছাড়াও সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গ্রæপে সংগঠনের সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতো। সে তার মধু ব্যবসার অর্থ এবং ঠাকুরগাও এলাকার সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের নিকট হতে চাঁদা সংগ্রহ করে গ্রেফতারকৃত মুনতাসিরকে দিত বলে জানা যায়। সে ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত রিপন এর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতো ও রিপনকে তথাকথিত হিজরতের জন্য পাশ^বর্তী দেশে গমনের উদ্দেশ্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ প্রদান করেছে বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আব্দুল মালেক পূর্বে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে কুক হিসেবে কর্মরত ছিল। পরবর্তীতে সে ০৩ বছর পূর্বে দিনাজপুরে ফিরে এসে দিনাজপুর শহরে চাংপাই চাইনিজ নামে একটি ফুড কার্ড এর ব্যবসা শুরু করে। ২০২১ সালে গ্রেফতারকৃত মুনতাসির এর সাথে তার পরিচয় হয় এবং আনসার আল ইসলাম এর মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। সে অদ্যাবধি ৪/৫ জনকে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করিয়েছে বলে জানা যায়। সে সংগঠনে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করতো। এছাড়াও সে গ্রেফতারকৃত মুনতাসীরের সাথে দিনাজপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের সভায় অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত সাব্বির মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে দিনাজপুরের বিরলে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করতো। সে ২০২২ সালে গ্রেফতারকৃত মুনতাসির এর মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘আনসার আল ইসলাম’ এ যোগদান করে। সে তার নিজ এলাকা দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল এবং ৩/৪ জনকে সংগঠনে যোগদান করিয়েছে বলে জানা যায়। সে গ্রেফতারকৃত মুনতাসীরের সাথে উত্তরাঞ্চল ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের মিটিং এ অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। সে সংগঠনের কাজে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করতো এবং অন্যান্য সদস্যদের নিকট হতে চাঁদা সংগ্রহ করে গ্রেফতারকৃত মুনতাসীরের নিকট প্রদান করতো বলে জানা যায়।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মূলকপি স্বাক্ষরিত…. মাহমুদ বশির আহমেদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৩০৩ তারিখঃ ১৫/০৯/২০২৩ খ্রিঃ।