বাংলাদেশ ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

মৌসুমের শুরুতেই আশুগঞ্জ ধানের মোকামে জমে উঠেছে নতুন ধানের কেনাবেচা।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • ১৬৪৭ বার পড়া হয়েছে

মৌসুমের শুরুতেই আশুগঞ্জ ধানের মোকামে জমে উঠেছে নতুন ধানের কেনাবেচা।

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধানের মোকামে নতুন মৌসুমের নতুন ধানে জমে উঠেছে মোকাম। প্রতিদিন অন্তত ৬০-৭০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হচ্ছে এই মোকামে। দেশের পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ এ মোকামটিতে সরবরাহ বাড়ায় এখন চাঙ্গাভাব। বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ শ্রমিকদের ব্যস্ততা। মৌসুমের শুরুতে ভেজা ধানের কারণে পাইকার ও বেপারীরা দাম কম পেয়ে হতাশায় থাকলেও শুকনো ধান আসতে থাকায় বাড়তে শুরু করেছে ধানের দাম। মোকামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতি বস্তায় বেড়েছে ১ থেকে দেড়শ’ টাকা।

 

 

 

 

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিওসি ঘাটে দেশের পূর্বাঞ্চলের হাওড় বেষ্টিত অঞ্চলের ধানে জমজমাট। বিস্তীর্ন এলাকার মোকামজুড়ে থরে থরে রাখা আছে ধানের বস্তা। এছাড়াও নদীর তীরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ধানবাহী নৌকা নোঙর করছে সারি সারি।

 

 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিওসি ঘাটের এই মোকামে বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ অন্তত ৭টি জেলা থেকে হাজার হাজার মণ ধান আমদানি হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে চিটাসহ নানা কারণে মোকামে ধানের সংকট থাকলেও শেষ দিকে এসে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। সেই সঙ্গে শুকনো ধানের আমদানি বাড়ায় বেড়েছে ধানের দামের পাশাপাশি কেনাবেচাও। প্রতিদিন মোকামে ৬০-৭০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা।

 

 

 

 

সুমানগঞ্জ থেকে আসা ধানের ব্যাপারী মহন মিয়া জানান, বর্তমানে মোকামে বিআর ২৮ জাতের ধান ১১শ’ ৫০ টাকা, বি আর-২৯ জাতের ধান ১ হাজার ৫০ টাকা এবং মোটা জাতের ধান ৯২০-৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগেও এসব জাতের ধান ভিজা হওয়ায় অন্তত ১ থেকে দেড়শ’ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল।

 

 

মিল মালিকরা জানান, ভেজা ধান থেকে চালের উৎপাদন কম হয় বলেই এর দামও কম থাকে। তবে শুকনো ধানের ভাল দাম পাচ্ছে বেপারীরা।

 

 

 

 

তারা আরও জানান, মোকামে ধানের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় পুরো মোকামজুড়ে প্রতিদিনই বিশাল কর্মযজ্ঞের দেখা মিলে। ক্রেতা-বিক্রেতা, শ্রমিকসহ সকলকেই দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। বর্তমানে মোকামে আসা ধানের আদ্রতা খুবই ভাল। সময়ের সাথে সাথে ভাল ধানের আমিদানির উপর নির্ভর করে ধানের দাম আরও বাড়বে বলে জানান মালিকরা।

 

 

 

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল আহমেদ জানান, প্রতিদিন মোকামে হাজার হাজার মণ ধানের আমদানি হচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ায় ধানের আদ্রতাও ভাল। তাই বেপারীরা ধানের ভাল দাম পাচ্ছে। মোকামে সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই। এখানে প্রকাশ্যেই কেনা-বেচা হয়ে থাকে। খাদ্য বিভাগ, চালকল মালিক সমিতি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

মৌসুমের শুরুতেই আশুগঞ্জ ধানের মোকামে জমে উঠেছে নতুন ধানের কেনাবেচা।

আপডেট সময় ০৫:১২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধানের মোকামে নতুন মৌসুমের নতুন ধানে জমে উঠেছে মোকাম। প্রতিদিন অন্তত ৬০-৭০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হচ্ছে এই মোকামে। দেশের পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ এ মোকামটিতে সরবরাহ বাড়ায় এখন চাঙ্গাভাব। বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ শ্রমিকদের ব্যস্ততা। মৌসুমের শুরুতে ভেজা ধানের কারণে পাইকার ও বেপারীরা দাম কম পেয়ে হতাশায় থাকলেও শুকনো ধান আসতে থাকায় বাড়তে শুরু করেছে ধানের দাম। মোকামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতি বস্তায় বেড়েছে ১ থেকে দেড়শ’ টাকা।

 

 

 

 

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিওসি ঘাটে দেশের পূর্বাঞ্চলের হাওড় বেষ্টিত অঞ্চলের ধানে জমজমাট। বিস্তীর্ন এলাকার মোকামজুড়ে থরে থরে রাখা আছে ধানের বস্তা। এছাড়াও নদীর তীরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ধানবাহী নৌকা নোঙর করছে সারি সারি।

 

 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিওসি ঘাটের এই মোকামে বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ অন্তত ৭টি জেলা থেকে হাজার হাজার মণ ধান আমদানি হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে চিটাসহ নানা কারণে মোকামে ধানের সংকট থাকলেও শেষ দিকে এসে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। সেই সঙ্গে শুকনো ধানের আমদানি বাড়ায় বেড়েছে ধানের দামের পাশাপাশি কেনাবেচাও। প্রতিদিন মোকামে ৬০-৭০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা।

 

 

 

 

সুমানগঞ্জ থেকে আসা ধানের ব্যাপারী মহন মিয়া জানান, বর্তমানে মোকামে বিআর ২৮ জাতের ধান ১১শ’ ৫০ টাকা, বি আর-২৯ জাতের ধান ১ হাজার ৫০ টাকা এবং মোটা জাতের ধান ৯২০-৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগেও এসব জাতের ধান ভিজা হওয়ায় অন্তত ১ থেকে দেড়শ’ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল।

 

 

মিল মালিকরা জানান, ভেজা ধান থেকে চালের উৎপাদন কম হয় বলেই এর দামও কম থাকে। তবে শুকনো ধানের ভাল দাম পাচ্ছে বেপারীরা।

 

 

 

 

তারা আরও জানান, মোকামে ধানের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় পুরো মোকামজুড়ে প্রতিদিনই বিশাল কর্মযজ্ঞের দেখা মিলে। ক্রেতা-বিক্রেতা, শ্রমিকসহ সকলকেই দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। বর্তমানে মোকামে আসা ধানের আদ্রতা খুবই ভাল। সময়ের সাথে সাথে ভাল ধানের আমিদানির উপর নির্ভর করে ধানের দাম আরও বাড়বে বলে জানান মালিকরা।

 

 

 

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল আহমেদ জানান, প্রতিদিন মোকামে হাজার হাজার মণ ধানের আমদানি হচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ায় ধানের আদ্রতাও ভাল। তাই বেপারীরা ধানের ভাল দাম পাচ্ছে। মোকামে সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই। এখানে প্রকাশ্যেই কেনা-বেচা হয়ে থাকে। খাদ্য বিভাগ, চালকল মালিক সমিতি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে।