বাংলাদেশ ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে- নির্বাচন কমিশনার ২৪ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলা কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন চসিক ভ্রাম্যমান আদালত চলতি বছরেই পঁচিশ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরী নিশ্চিত করতে হবে — জেলা প্রশাসক নলছিটিতে শেষ হলো মরহুম আঃ সোবাহান চেয়ারম্যান স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। নওগাঁর হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া রুগী  ভান্ডারিয়ায় প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা  ব্রাহ্মণপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হতদরিদ্রের মাঝে ঘর উপহার  ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লায় সিএনজি ভাড়া দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে! বাগেরহাটে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত একযুগেরও বেশি সময় পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন দোকান কর্মচারি, গৃহবধু, ঝাড়ুদার ভোটার। অনিয়মের ছড়াছড়ি তালতলীতে এবার ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
  • ১৭৭৯ বার পড়া হয়েছে

উলিপুরে পানের 'বরজ' প্রায় বিলুপ্তির পথে

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।