ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
মহাদেবপুরে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মাদ্রাসায় ১৯ বস্তাসিমেন্ট দান প্রতারণা মূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের প্রধান আসামি গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। মহাদেবপুরে ডায়লগ মিটিং অনুষ্ঠিত যশোরে যৌথ অভিযানে স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার ২ ট্রেনের প্রতি ভালোবাসায় শিশু নিহানের অসাধ্য সাধন বেশি দামে মুরগির বাচ্চা বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা পটুয়াখালীতে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব এর উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিল দোয়া অনুষ্ঠিত রমজানে নিম্নআয়ের মানুষ-পথচারীদের ভরসা ‘ইফতার খানা’ বদলগাছীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর আইনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা ময়মনসিংহের ভালুকায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে একদিনেই ড্রাাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন কর্মসূচীর উদ্বোধন কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে হাজারো পূণ্যার্থীর ঢল মানিকগঞ্জে মামলা করায় বাদীকে হত্যার হুমকি সিলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের ফ্যান বিতরণ তালতলীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৮ বার পড়া হয়েছে

উলিপুরে পানের 'বরজ' প্রায় বিলুপ্তির পথে

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাদেবপুরে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মাদ্রাসায় ১৯ বস্তাসিমেন্ট দান

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।