বাংলাদেশ ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
  • ১৮১০ বার পড়া হয়েছে

উলিপুরে পানের 'বরজ' প্রায় বিলুপ্তির পথে

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।