ঝিনাইদহে কিশোর গ্যাং কর্তৃক চাঞ্চল্যকর হুসাইন হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের ওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন মান্দারবাড়িয়া এলাকায় ওয়াজ-মাহফিলে গিয়ে একে অপরের সাথে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তুমুল বাক-বিতন্ডতার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আসামী জিহাদী(১৯) তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ভিকটিম হুসাইন(১৮) সহ তার সাথে থাকা আরো ২জনকে এলোপাতাড়িভাবে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম হুসাইন(১৮) মারা যায়। এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে । ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১০ মার্চ ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দলটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত মামলার প্রধান আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানা এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাত ০৩:৩০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন আদর্শপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর কিশোর গ্যাং কর্তৃক হুসাইন হত্যা মামলার প্রধান আসামী ১। হাবিবুর রহমান জিহাদী(১৯) এবং এজাহারনামীয় অপর আসামী ২। মোঃ মেহেদী হাসান(২৫), উভয় পিতা-মোঃ বশির উদ্দিন, সাং-বয়ড়াতলা, থানা-ঝিনাইদহ সদর, জেলা-ঝিনাইদহদ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এই নৃশংস হত্যা মামলায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।