স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
১৬ ফেব্রুয়ারী( বুধবার) রাত আনুমানিক আটটায় যশোর শহরের কোতোয়ালি থানার শংকরপুর চোপদারপাড়ার ব্রাদার্স ক্লাবের মধ্যে অজ্ঞাত নামা কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন আরাফাতকে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাটি সম্পূর্ন ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে জেলার উর্দ্ধতন পুলিশের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে কোতয়ালী থানা পুলিশসহ জেলা গোয়েন্দা শাখাকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় ওসি কোতয়ালী ও ওসি, ডিবি যশোর জনাব রুপন কুমার সরকার, পিপিএম দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম, এসআই ইদ্রিসুর রহমানদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম তদন্তে নেমে মামলার দায়ের হওয়ার পূর্বেই ১৭ তারিখ সকাল আট ঘটিকার সময় খুলনা খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি লিন্ডা ক্লিনিক থেকে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি শংকরপুর চোকদার পাড়ার মোঃ তোরাব আলী বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান স্বর্ণকার রানা (৩৮) ও মোঃ রুবেল হোসেন (৩৫)কে আটক করে চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এর নিহত ইয়াসিনের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।দায়েরকৃত মামলা নং ৯৭।মামলা দায়ের করার পর ১৭ তারিখ রাত আনুমানিক দশ ঘটিকায় হত্যার সাথেজড়িত তোরাব আলীর আরেক ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান (২৩) ও একই এলাকার মোঃ রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ আব্দুল কাদের শান্ত(২২) কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে যশোর কোতোয়ালী থানাধীন নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় এলাকা হইতে ২টি বার্মিজ টিপ চাকু ও ঘটনাস্থলের আশপাশ ড্রেন হতে ১টি গাছি দা, ১টি চাপাতি, আসামীদের ব্যবহৃত বস্ত্র, সেন্ডেল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ও মাদক বিক্রি এবং চাঁদাবাজিতে আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ার কারনে এজাহারনামীয় আসামীসহ অন্যান্য অজ্ঞাতনামা আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অত্র মামলার ভিকটিম ইয়াসিন আরাফাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দা দ্বারা কুপিয়ে ও চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত করে হত্যা করে।