চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিবাদমান বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে।
বিবাদমান গ্রুপ দুটি হলো বিজয় ও সিএফসি। উভয় গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারি হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিতি।
বিজয় গ্রুপের নেতৃত্বে আছে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস এবং সিএফসি গ্রুপের নেতৃত্বে আছে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ সাতটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে, সিফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। উভয় গ্রুপের কর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর রাত পৌনে দশটায় আবারও দ্বিতীয় সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিজয় ও সিফসি গ্রুপ। এ সময় কয়েক দফা ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে হলে ঢুকিয়ে দেয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও মেরিন সাইন্স ১৫-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র অনিক হোসেন রিফাতকে ৯টা২০ এর দিকে মারধর করে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। এ কারণে আরেক দফা সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জানান, গতকালের ঘটনার জেড়ে বূধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রব হলের ঝুপড়ির সামনে বিজয় গ্রুপের অনুসারী চবি ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল হাসান রুপমের সঙ্গে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ নিয়ে পরে দুই গ্রুপের কর্মীদের উত্তেজনার ঘটনা সৃষ্টি হয়।
রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতে এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বার বার সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। গুটি কয়েক শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় না। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত কোনো আহতের খবর পাওয়া যায় নি।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দীন সুমন বলেন, পরিস্থিতি এখন আমরা শান্ত। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ে তারা যেভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় আমরা কার্যকর করবো।
বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল আজকে তার গ্রুপের কর্মীদের নিয়ে একটা শোডাউন দেয়। এ সময় তিনি সোহরাওয়ার্দী, আলাওল, রব হলে উস্কানি দেন। আমাদের একটা ছেলে রব হলের ঝুপড়িতে খেতে গেলে সিএফিসি গ্রুপের কয়েকজন কর্মী তাকে কিল ঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি দাবি করার, কমিটি না দেয়ার জন্য রুবেল বিভিন্ন ভাবে উস্কানি দিয়ে ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতির চেষ্টা করছে।
সিফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, একটা ছেলে রব হলের দিকে চাঁদাবাজি করতে গেছিল। রব হলের ছেলেরা ও সাধারণ ছাত্ররা তাকে প্রতিহত করেছে।
উস্কানির বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে দিনের বেলা আমি আমার মতো করে ঘুরেছি।