ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নগরীর বটতলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেলকোনিতে পথচারীদের আতঙ্ক মির্জাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ সিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসে আর এমপি’র পুলিশ কমিশনারের শ্রদ্ধা রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যোগ হলো আরো দুটি এসটিএস, উদ্বোধন করলেন মাননীয় সিটি মেয়র গণহত্যা দিবসে রাসিকের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর বাবুর সহায়তায় ওএমএস এর চাউল পেল ৩ শতাদিক পরিবার আমতলীতে গনহত্যা দিবস পালিত জগন্নাথপুরের হাতিরঝিলের আদলে নলজুর সেতু’র কাজ শুরু আমতলীতে সড়ক অবৈধ দখল মুক্ত করতে মোবাইল কোর্ট ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস স্মরণে দীপশিখা প্রজ্বলন ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে চালককে হত্যা দশমিনা কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৭৯০ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর ও অন্যের দোকানে কর্মচারীর লব্ধ অভিজ্ঞতা পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন।
একসময়ের স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী পঞ্চাশোর্ধ পানা উল্লাহ । এরপর পদ্মার ভাঙনে সহায়সম্বল হারিয়ে স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান নিয়ে নিকটাত্মীয়ের বাসায় থাকতেন। দোকানে কাজ করে কোন মতে সংসার চলতো। এটাই শেষ নয় কোভিড-১৯ এর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। একদিকে চরম অভাব-অনটন, অন্যদিকে বিবাহ উপযুক্ত তিন কন্যা। তিনি যেন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
এর মাঝেই আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় তিন কন্যাকে বিবাহ দেন। কিন্তু বসতভিটা না থাকায় শ্বসুর বাড়ির লোকজনের কটু কথা শুনতে হতো তার মেয়েদের। অপরদিকে ছোট মেয়েকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার মত সঙ্গতি ছিল না। একদিকে মৌলিক চাহিদা প‚রণের ব্যর্থতা, অন্যদিকে আত্মীয় স্বজনের তীব্র উপহাস, এভাবেই কাটতে থাকে পানা উল্লাহর জীবন। এরই মাঝে সু-সংবাদ আসে তার কাছে।
স্থানীয় সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোজার ঠাঁই হয় তার। তিনি পান স্বপ্নের ঠিকানা। জমিসহ সেমি পাকা বাড়ী তার নিকট যেন আকাশের চাঁদ। লালপুর বাজার থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের জমিসহ বাড়ি পেয়ে পানা উল্লাহ’র চোখে মুখে উন্নত জীবনের স্বপ্ন। অন্যের দোকানে কর্মচারীর কাজের পরিবর্তে লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন স্বর্নকারের দোকান।
দৃষ্টিনন্দন রূপা (চাদি) অলংকার এলাকাবাসীর নজরে আসে, দামেও অন্যান্য দোকানের চেয়ে সাশ্রয়। বাড়তে থাকে ক্রেতা। গ্রোথ সেন্টারের নিবকবর্তী হওয়ায় ক্রেতা পেতে বেগ পেতে হয় না তার। অপরদিকে স্ত্রী মাজেদা বাড়ীতে নকশীকাঁথার কাজ করেন। তার সুনিপুণ কারুকাজ আয়ের উৎসকে প্রসারিত করেছে। এছাড়াও বাড়িতে হাঁস মুরগী পালনেও বাড়তি আয় হচ্ছে । তাদের পরিবার এখন নিম্ন আয়ের মানুষের আদর্শ অনুকরণীয়। চতুর্থ মেয়ে মিলি খাতুন দশম শ্রেণিতে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। সে এখন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে।
গোপালপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলায় হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যে চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।’
লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, ৯২ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরে তুলে দিয়েছি। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। এছাড়াও ১৪২ টি ঘরের কাজ কাজ চলমান রয়েছে।’ আমরা এ বছরের মধ্যেই তাদের ঘরে তুলে দিবো।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণ, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ফলে তাদের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে যাদের জমি নেই তাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন

আপডেট সময় ১০:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর ও অন্যের দোকানে কর্মচারীর লব্ধ অভিজ্ঞতা পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন।
একসময়ের স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী পঞ্চাশোর্ধ পানা উল্লাহ । এরপর পদ্মার ভাঙনে সহায়সম্বল হারিয়ে স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান নিয়ে নিকটাত্মীয়ের বাসায় থাকতেন। দোকানে কাজ করে কোন মতে সংসার চলতো। এটাই শেষ নয় কোভিড-১৯ এর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। একদিকে চরম অভাব-অনটন, অন্যদিকে বিবাহ উপযুক্ত তিন কন্যা। তিনি যেন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
এর মাঝেই আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় তিন কন্যাকে বিবাহ দেন। কিন্তু বসতভিটা না থাকায় শ্বসুর বাড়ির লোকজনের কটু কথা শুনতে হতো তার মেয়েদের। অপরদিকে ছোট মেয়েকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার মত সঙ্গতি ছিল না। একদিকে মৌলিক চাহিদা প‚রণের ব্যর্থতা, অন্যদিকে আত্মীয় স্বজনের তীব্র উপহাস, এভাবেই কাটতে থাকে পানা উল্লাহর জীবন। এরই মাঝে সু-সংবাদ আসে তার কাছে।
স্থানীয় সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোজার ঠাঁই হয় তার। তিনি পান স্বপ্নের ঠিকানা। জমিসহ সেমি পাকা বাড়ী তার নিকট যেন আকাশের চাঁদ। লালপুর বাজার থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের জমিসহ বাড়ি পেয়ে পানা উল্লাহ’র চোখে মুখে উন্নত জীবনের স্বপ্ন। অন্যের দোকানে কর্মচারীর কাজের পরিবর্তে লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন স্বর্নকারের দোকান।
দৃষ্টিনন্দন রূপা (চাদি) অলংকার এলাকাবাসীর নজরে আসে, দামেও অন্যান্য দোকানের চেয়ে সাশ্রয়। বাড়তে থাকে ক্রেতা। গ্রোথ সেন্টারের নিবকবর্তী হওয়ায় ক্রেতা পেতে বেগ পেতে হয় না তার। অপরদিকে স্ত্রী মাজেদা বাড়ীতে নকশীকাঁথার কাজ করেন। তার সুনিপুণ কারুকাজ আয়ের উৎসকে প্রসারিত করেছে। এছাড়াও বাড়িতে হাঁস মুরগী পালনেও বাড়তি আয় হচ্ছে । তাদের পরিবার এখন নিম্ন আয়ের মানুষের আদর্শ অনুকরণীয়। চতুর্থ মেয়ে মিলি খাতুন দশম শ্রেণিতে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। সে এখন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে।
গোপালপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলায় হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যে চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।’
লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, ৯২ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরে তুলে দিয়েছি। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। এছাড়াও ১৪২ টি ঘরের কাজ কাজ চলমান রয়েছে।’ আমরা এ বছরের মধ্যেই তাদের ঘরে তুলে দিবো।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণ, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ফলে তাদের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে যাদের জমি নেই তাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।