বাংলাদেশ ০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

সাপাহারে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আটক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৭০১ বার পড়া হয়েছে

সাপাহারে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আটক

 

নাদিম অহমেদ অনিক,স্টাফ রিপোর্টার-

নওগাঁর সাপাহারে গরু চুরি করে পালানোর সময় পুলিশের অভিযানে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে ও আন্তঃবিভাগীয় কুখ্যাত ডাকাত আলম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মশরীভোজা গ্রামের বোধন মন্ডলের ছেলে পালাশ (৪০)।

 

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই দুই ডাকাত সদস্যদের আটক করা হয়। ওই দিন রাত ১২টার সময় উপজেলার লাল পাড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র পালের ছেলে ও অনিক ড্রাগ হাউজের মালিক অনিক পাল তার দোকান বন্ধ করে নিজ বাসায় ফিরছিলো। অনিক তার বাড়ী নিকট পৌঁছলে একদল ডাকাত তার পথ রোধ করে দাঁড়ায়।

 

এসময় ডাকাতদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে অনিক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা অনিককে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বিষয়টি সাপাহার থানা পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে ওসি তারেকুর রহমান ও তদন্ত ওসি আলমাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করেন।

 

এমতাবস্থায় রাত্রি ৩টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা উপজেলার উঁচাডাঙ্গা গ্রাম হতে একটি গরু ও একটি বাইসাইকেল ডাকাতি করে ভুটভুটিতে উঠিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে টহলরত পুলিশ পিক-আপ ভ্যান দিয়ে তাদের ভুটভুটির পথ রোধ করে। ডাকাত সদস্যরা পুলিশ ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে ভুটভুটি উল্টে যায়। ভুটভুটিতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা দিক বিদিক ছুটে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে। ভুটভুটির আঘাতে আহত ডাকাত পলাশকে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ১টি হাসুয়া ১টি শাবল ও ১টি সুচালো লোহার রড সহ তাকে আটক করে।

 

 

 

অপর কুখ্যাত ডাকাত আলম পায়ে আঘাত পেয়েও দৌড়ে গিয়ে তাজপুর গ্রামের একটি পুকুরে ঝাপ দেয়। এসময় পুলিশের দল পানি হতে তাকে তুলতে ব্যর্থ হলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে তাজপুর গ্রামের জনগন জেগে যায়। পরে সাধারণ লোকজন ও পুলিশ সদস্যারা সারা পুকুরটিকে ঘিরে ফেলে ডাকাত আলমকে পুকুর থেকে তোলার চেষ্টা করে। পুলিশ ও জনগনের সকল চেষ্টা ব্যার্থ হলে পুলিশের দুইজন কনষ্টবল পুকুরে নেমে আলমকে ধরে উপরে তোলেন।

 

 

তাদেরকে আহত অবস্থায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। আটক আলম ও পলাশের দেয়া তথ্য মতে আরও দুইজন সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। এবিষয়ে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

সাপাহারে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আটক

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

 

নাদিম অহমেদ অনিক,স্টাফ রিপোর্টার-

নওগাঁর সাপাহারে গরু চুরি করে পালানোর সময় পুলিশের অভিযানে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে ও আন্তঃবিভাগীয় কুখ্যাত ডাকাত আলম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মশরীভোজা গ্রামের বোধন মন্ডলের ছেলে পালাশ (৪০)।

 

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই দুই ডাকাত সদস্যদের আটক করা হয়। ওই দিন রাত ১২টার সময় উপজেলার লাল পাড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র পালের ছেলে ও অনিক ড্রাগ হাউজের মালিক অনিক পাল তার দোকান বন্ধ করে নিজ বাসায় ফিরছিলো। অনিক তার বাড়ী নিকট পৌঁছলে একদল ডাকাত তার পথ রোধ করে দাঁড়ায়।

 

এসময় ডাকাতদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে অনিক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা অনিককে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বিষয়টি সাপাহার থানা পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে ওসি তারেকুর রহমান ও তদন্ত ওসি আলমাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করেন।

 

এমতাবস্থায় রাত্রি ৩টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা উপজেলার উঁচাডাঙ্গা গ্রাম হতে একটি গরু ও একটি বাইসাইকেল ডাকাতি করে ভুটভুটিতে উঠিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে টহলরত পুলিশ পিক-আপ ভ্যান দিয়ে তাদের ভুটভুটির পথ রোধ করে। ডাকাত সদস্যরা পুলিশ ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে ভুটভুটি উল্টে যায়। ভুটভুটিতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা দিক বিদিক ছুটে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে। ভুটভুটির আঘাতে আহত ডাকাত পলাশকে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ১টি হাসুয়া ১টি শাবল ও ১টি সুচালো লোহার রড সহ তাকে আটক করে।

 

 

 

অপর কুখ্যাত ডাকাত আলম পায়ে আঘাত পেয়েও দৌড়ে গিয়ে তাজপুর গ্রামের একটি পুকুরে ঝাপ দেয়। এসময় পুলিশের দল পানি হতে তাকে তুলতে ব্যর্থ হলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে তাজপুর গ্রামের জনগন জেগে যায়। পরে সাধারণ লোকজন ও পুলিশ সদস্যারা সারা পুকুরটিকে ঘিরে ফেলে ডাকাত আলমকে পুকুর থেকে তোলার চেষ্টা করে। পুলিশ ও জনগনের সকল চেষ্টা ব্যার্থ হলে পুলিশের দুইজন কনষ্টবল পুকুরে নেমে আলমকে ধরে উপরে তোলেন।

 

 

তাদেরকে আহত অবস্থায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। আটক আলম ও পলাশের দেয়া তথ্য মতে আরও দুইজন সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। এবিষয়ে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার।