বাংলাদেশ ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর আজহারুল কে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ফুলবাড়ীতে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির স্মরণসভা শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার মামলার আসামি আশারুল তার প্রধান সহযোগী ইলিয়াস ও খায়রুল কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। পঞ্চগড়ে কৃষিভিত্তিক কারখানায়, দূর হচ্ছে বেকারত্ব হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মামুনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে বাগাতিপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা! মধুপুরে অবৈধভাবে মাটিকাটার অপরাধে ১লক্ষ টাকা জরিমানা  পেকুয়ায় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত শের-ই- বাংলা পাবলিক লাইব্রেরীতে পিরোজপুর সাহিত্য পরিষদের ঈদপূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে

প্রতিবন্ধী শিল্পীর কাঁধে অসহায় মা-বাবার দায়িত্ব!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৭০৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবন্ধী শিল্পীর কাঁধে অসহায় মা-বাবার দায়িত্ব!

মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
শিল্পীর বয়স চৌত্রিশ পেড়িয়ে পঁয়ত্রিশ। সে শারীরিকভাবে অক্ষম। কিন্তু তাতে কী? তারপরও নিজের কাঁধে অসহায় মা-বাবার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। তাদের মুখে দু’বেলা দু-মুঠো খাবার তুলে দিতে ভিক্ষা করেন তিনি।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের মধ্য জগৎপুরা গ্রামের দৃষ্টি ও মানসিক প্রতিবন্ধী হাসমত মোল্ল্যা ও ফিরোজা বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী খাতুন। শিল্পীর সকালটা শুরু হয় মাথায় একরাশ চিন্তা নিয়ে। কোন সড়ক বা স্থানীয় হাটবাজারে বসে টাকা উপার্জন করবেন। কীভাবে খাবার তুলে দেবেন মা-বাবার মুখে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিল্পীর দুটি পা বিকল। তিনি হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করেন। মা-বাবাকে নিয়ে তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়কের পাশে উপজেলার জগৎপুরা গ্রামে বসবাস করেন। তাদের ঘরে নেই বিদ্যুতের আলো। একটি টিউবওয়েল থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , উপজেলার অজুর্না ইউনিয়নের জগৎপুরা গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাসমত মোল্ল্যা (৮০)। ছোট বেলায় জ্বর হওয়ার পর চিকিৎসার অভাবে দৃষ্টিশক্তি হারান। বসতবাড়ি থাকলেও যমুনার ভাঙনে তা বিলীন হয়ে গেছে। পরবর্তীতে মধ্য জগৎপুরা সড়কের পাশে একটি টিনের ঘর তুলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। স্ত্রী ফিরোজা বেগম মানসিক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী এবং মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী। পরিবারের তিন সদস্য প্রতিবন্ধী হলেও সরকারি কোনো ভাতা পান না তারা। এমনকি কোনো সাহায্য ও সহযোগিতাও পাননি তারা। ফলে জীবন বাঁচাতে শারীরিক অক্ষম শিল্পী রাস্তায় ও হাটবাজারে বসে ভিক্ষা করেন।

প্রতিবেশী সুফিয়া বেগম জানান, তাদের কষ্টের শেষ নেই। প্রতিবন্ধী মেয়ে মা-বাবার দায়িত্ব পালন করছেন। মেয়েটি ভিক্ষা করে যে টাকা উপার্জন করে, তা দিয়ে তিন বেলা খাবারও জোটে না তাদের।

অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব বলেন, প্রতিবন্ধী পরিবারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাদের তালিকা তৈরি করে সমাজসেবায় জমা দেওয়া হবে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান মাহমুদ বলেন, আমরা ওই পরিবারটির কথা জানতে পেরেছি। তারা যদি সমাজসেবা অধিদপ্তরে আসে, তাহলে তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, তারা যদি সরকারি ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়, তাহলে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাতার আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড

প্রতিবন্ধী শিল্পীর কাঁধে অসহায় মা-বাবার দায়িত্ব!

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
শিল্পীর বয়স চৌত্রিশ পেড়িয়ে পঁয়ত্রিশ। সে শারীরিকভাবে অক্ষম। কিন্তু তাতে কী? তারপরও নিজের কাঁধে অসহায় মা-বাবার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। তাদের মুখে দু’বেলা দু-মুঠো খাবার তুলে দিতে ভিক্ষা করেন তিনি।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের মধ্য জগৎপুরা গ্রামের দৃষ্টি ও মানসিক প্রতিবন্ধী হাসমত মোল্ল্যা ও ফিরোজা বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী খাতুন। শিল্পীর সকালটা শুরু হয় মাথায় একরাশ চিন্তা নিয়ে। কোন সড়ক বা স্থানীয় হাটবাজারে বসে টাকা উপার্জন করবেন। কীভাবে খাবার তুলে দেবেন মা-বাবার মুখে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিল্পীর দুটি পা বিকল। তিনি হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করেন। মা-বাবাকে নিয়ে তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়কের পাশে উপজেলার জগৎপুরা গ্রামে বসবাস করেন। তাদের ঘরে নেই বিদ্যুতের আলো। একটি টিউবওয়েল থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , উপজেলার অজুর্না ইউনিয়নের জগৎপুরা গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাসমত মোল্ল্যা (৮০)। ছোট বেলায় জ্বর হওয়ার পর চিকিৎসার অভাবে দৃষ্টিশক্তি হারান। বসতবাড়ি থাকলেও যমুনার ভাঙনে তা বিলীন হয়ে গেছে। পরবর্তীতে মধ্য জগৎপুরা সড়কের পাশে একটি টিনের ঘর তুলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। স্ত্রী ফিরোজা বেগম মানসিক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী এবং মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী। পরিবারের তিন সদস্য প্রতিবন্ধী হলেও সরকারি কোনো ভাতা পান না তারা। এমনকি কোনো সাহায্য ও সহযোগিতাও পাননি তারা। ফলে জীবন বাঁচাতে শারীরিক অক্ষম শিল্পী রাস্তায় ও হাটবাজারে বসে ভিক্ষা করেন।

প্রতিবেশী সুফিয়া বেগম জানান, তাদের কষ্টের শেষ নেই। প্রতিবন্ধী মেয়ে মা-বাবার দায়িত্ব পালন করছেন। মেয়েটি ভিক্ষা করে যে টাকা উপার্জন করে, তা দিয়ে তিন বেলা খাবারও জোটে না তাদের।

অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব বলেন, প্রতিবন্ধী পরিবারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাদের তালিকা তৈরি করে সমাজসেবায় জমা দেওয়া হবে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান মাহমুদ বলেন, আমরা ওই পরিবারটির কথা জানতে পেরেছি। তারা যদি সমাজসেবা অধিদপ্তরে আসে, তাহলে তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, তারা যদি সরকারি ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়, তাহলে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাতার আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।