নাদিম আহমেদ অনিক,স্টাফ রিপোর্টার-
নওগাঁয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ অর্থ লুটপাট ও মধ্যবয়সী গৃহবধূর সাথে অসামাজিক আচরণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পরেও কোন সুবিচার পাননী বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার শেষের পাতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘নওগাঁয় গৃহবধূকে মারপিট বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাট’ শিরোনামে এক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খুরশিদা আক্তার লতা বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাষায় কেউ ছিলোনা, আমি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করে স্বপন সরদার ও ইসলাম সরদার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আমার টিন শেডের বাড়ির দেয়াল ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঐ দিনই আমি থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করি। সেদিন পুলিশ তদন্তে আসলেও এখনো পর্যন্ত আমি এর কোন সুবিচার পাইনী। আমি এর বিচার চাই।
খুরশিদা আক্তার লতার ছেলে মোঃ মানিকুজ্জামান বলেন, এর আগেও স্বপন আমাদের বাড়ি ভাংচুর করেছিল, যার পরিপেক্ষিতে আমি নিজে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। এবারও ভাংচুর করলো কিন্তু আমরা কোন আইনী বিচার পাইনী। তাছাড়া স্বপন সরদার এখনো বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তবে কী দেশে কোন সুবিচার নেই?
এ অভিযোগটির তদন্ত অফিসার নওগাঁ সদর মডেল থানার এস.আই হুমায়ুন রশিদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নওগাঁ পৌরসভায় একটি ডিড হয়েছে এখন বিষয়টা তারা দেখবে।
বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পরে পৌরসভাতে কিসের ডিড হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে দু পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মিমাংসার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আইন নিজস্ব নীতিতে অটুট। অপরাধী যেই হোকনা কেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলা সদরের বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ছাতিয়ানকুড়ি এলাকার বাসিন্দা মোঃ নবির উদ্দিন সরদার এর বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে, যার পরিপেক্ষিতে ঐ দিনই নবির উদ্দিনের গৃহবধূ খুরশিদা আক্তার লতা বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় ১। মোঃ স্বপন সরদার (৩১) ও ২। মোঃ ইসলাম সরদার (৪৪) উভয় পিতা- মৃত আজিজার সরদার,উভয় সাং- ছাতিয়ানকুড়ি, থানা ও জেলা- নওগাঁদ্বয়কে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত বিষয়ে পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক খবর বাংলাদেশ’ পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।