বাংলাদেশ ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ১৭৪০ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া  সংরক্ষিত বনভূমির পূর্ব ভারুয়াখালী রব্বানিয়া পাড়ায় এলাকার চিহ্নিত বনদস্যূ আবুল কাশেম,ইউনুচ ও ইলিয়াছ এর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালীতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে মাটি  বিক্রি করে আসছে। সবুজ-বেষ্টনি ঘেরা এ বনাঞ্চলে অবাধে পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তনের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের পেকুয়ার পাহাড়ি সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। পাহাড়গুলো হারাচ্ছে স্বকীয়তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চট্রগ্রাম দক্ষিণ  বন বিভাগের কতিপয় কর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে চিহ্নিত কিছু পাহাড় খেকো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও  দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে দেদারসে টাকার বিনিময়ে পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫/৬ জন ব্যক্তিরা সরকার দলীয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে দীর্ঘদিন ধরে। চক্রটি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় স্থল ভূমির খুঁটি নামে খ্যাত পাহাড় ধংস করে চলেছে। এ বনখেকোর  সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরোক্ষ যোগসাজশে।

স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলের।

আদালত কর্তৃক পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তারা  তা মানছে না।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শীঘ্রই  অভিযান পরিচালনা করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

আপডেট সময় ১১:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া  সংরক্ষিত বনভূমির পূর্ব ভারুয়াখালী রব্বানিয়া পাড়ায় এলাকার চিহ্নিত বনদস্যূ আবুল কাশেম,ইউনুচ ও ইলিয়াছ এর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালীতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে মাটি  বিক্রি করে আসছে। সবুজ-বেষ্টনি ঘেরা এ বনাঞ্চলে অবাধে পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তনের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের পেকুয়ার পাহাড়ি সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। পাহাড়গুলো হারাচ্ছে স্বকীয়তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চট্রগ্রাম দক্ষিণ  বন বিভাগের কতিপয় কর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে চিহ্নিত কিছু পাহাড় খেকো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও  দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে দেদারসে টাকার বিনিময়ে পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫/৬ জন ব্যক্তিরা সরকার দলীয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে দীর্ঘদিন ধরে। চক্রটি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় স্থল ভূমির খুঁটি নামে খ্যাত পাহাড় ধংস করে চলেছে। এ বনখেকোর  সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরোক্ষ যোগসাজশে।

স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলের।

আদালত কর্তৃক পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তারা  তা মানছে না।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শীঘ্রই  অভিযান পরিচালনা করা হবে।