ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬ পুঠিয়া উপজেলাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল ৫৯৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার বাল্যবিবাহের প্রস্তুতির সময় একজন ভুয়া কাজীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪ বুড়িচংয়ে চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল ৯৯ টি পরিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে দুই শিক্ষার্থী নিহত,গুরুত্বর আহত ১ পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে বাজার তদারকি বিদ্যালয়ের সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদ করায় আহত শিক্ষার্থী নাটোরের নলডাঙ্গায় ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সুনামগঞ্জে জে.পি.এল’র ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন মানবিক ও সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় সন্মাননা পেলেন দেব বিশ্বাস পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়েছে আজ নেত্রকোণার ৯ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা নারায়ণগঞ্জের শীতলেখা নদীতে অজ্ঞাত নারীর লাশ ধানক্ষেত দেখতে গিয়ে নেত্রকোণায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু নীলফামারীতে এমপি রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় জাতীয়পার্টির মানববন্ধন

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ১৬৬৭ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া  সংরক্ষিত বনভূমির পূর্ব ভারুয়াখালী রব্বানিয়া পাড়ায় এলাকার চিহ্নিত বনদস্যূ আবুল কাশেম,ইউনুচ ও ইলিয়াছ এর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালীতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে মাটি  বিক্রি করে আসছে। সবুজ-বেষ্টনি ঘেরা এ বনাঞ্চলে অবাধে পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তনের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের পেকুয়ার পাহাড়ি সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। পাহাড়গুলো হারাচ্ছে স্বকীয়তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চট্রগ্রাম দক্ষিণ  বন বিভাগের কতিপয় কর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে চিহ্নিত কিছু পাহাড় খেকো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও  দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে দেদারসে টাকার বিনিময়ে পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫/৬ জন ব্যক্তিরা সরকার দলীয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে দীর্ঘদিন ধরে। চক্রটি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় স্থল ভূমির খুঁটি নামে খ্যাত পাহাড় ধংস করে চলেছে। এ বনখেকোর  সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরোক্ষ যোগসাজশে।

স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলের।

আদালত কর্তৃক পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তারা  তা মানছে না।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শীঘ্রই  অভিযান পরিচালনা করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

আপডেট সময় ১১:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া  সংরক্ষিত বনভূমির পূর্ব ভারুয়াখালী রব্বানিয়া পাড়ায় এলাকার চিহ্নিত বনদস্যূ আবুল কাশেম,ইউনুচ ও ইলিয়াছ এর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালীতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে মাটি  বিক্রি করে আসছে। সবুজ-বেষ্টনি ঘেরা এ বনাঞ্চলে অবাধে পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তনের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের পেকুয়ার পাহাড়ি সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। পাহাড়গুলো হারাচ্ছে স্বকীয়তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চট্রগ্রাম দক্ষিণ  বন বিভাগের কতিপয় কর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে চিহ্নিত কিছু পাহাড় খেকো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও  দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে দেদারসে টাকার বিনিময়ে পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫/৬ জন ব্যক্তিরা সরকার দলীয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে দীর্ঘদিন ধরে। চক্রটি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় স্থল ভূমির খুঁটি নামে খ্যাত পাহাড় ধংস করে চলেছে। এ বনখেকোর  সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরোক্ষ যোগসাজশে।

স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলের।

আদালত কর্তৃক পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তারা  তা মানছে না।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শীঘ্রই  অভিযান পরিচালনা করা হবে।