মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের মহালক্ষীপাড়া গ্রামে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগে ঐ এলাকার সাত্তার মোল্লার বিরুদ্ধে গতকাল ৫ মার্চ শনিবার সকালে কাটা রাস্তার উপর মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের মহালক্ষীপাড়া গ্রামের কয়েক হাজার লোকের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি একই এলাকার মৃত ওয়াছ মিয়া মোল্লার ছেলে সাত্তার মোল্লা রাস্তা থেকে মাটি কেটে রাস্তা সংকীর্ণ করে যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় গ্রামবাসী ও সাত্তার মোল্লার পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে গতকাল ৫ মার্চ শনিবার সকালে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নিন্দা ও বিচার দাবী করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মৃত হোসেন মোল্লার ছেলে সুলতান মোল্লা বলেন, “সাত্তার মোল্লার বাড়ির পাশের হাজার লোকের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন দুলালপুরের বেজোড়া, বালিনা দুলালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের একটি সংযোগ সড়ক। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, কয়েকটি মসজিদ ও ২ টি হাফিজিয়া মাদরাসায় যাতায়াত করে অনেক শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সড়কের সংস্কারও করা হয়েছে।” সে আরও বলেন, “এই রাস্তা বন্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সাত্তার মোল্লা ও তার অনুসারীরা নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও হয়রানী করে আসছেন। শেষমেশ সাত্তার মোল্লা তার অনুসারীদের নিয়ে রাস্তার মাটি কেটে রাস্তাটিকে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহালক্ষীপাড়া গ্রামের মৃত আঃ সালামের ছেলে হাজী ওসমান, মৃত আবুল হাসেমের ছেলে ইব্রাহিম, শামসুল হক মাস্টারের ছেলে মতিউর রহমান, কবির আহমদ মোল্লার ছেলে মোবারক মোল্লা, মৃত আফজাল আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম, আঃ মজিদের ছেলে খোরশেদ আলম, আঃ রশীদের ছেলে মোঃ কবির হোসেন, নজরুল ইসলামের ছেলে নাছির উদ্দীনসহ আরও অনেকে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সাত্তার মোল্লার ভাই শাহ আলম মোল্লা বলেন, “গত একবছর যাবত আমাদের জায়গার উপর নির্মিত এই রাস্তা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে।” রাস্তা কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।”
এব্যপারে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল হক জানান, “বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে ইউএনও মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাত্তার মোল্লাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কেটে ফেলা রাস্তা পুনরায় সংস্কার করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।”
এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক বলেন, এই রাস্তাটি সরকারি বরাদ্দকৃত একটি রাস্তা। ঐ এলাকার সাত্তার মোল্লা রাস্তাটি কেটে চলাচলের অনুপযোগী করে ফেলে।আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঐ ব্যক্তিকে রাস্তাটি পুনরায় জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দিয়ে এসেছি।