নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানীত সদস্য ও বানিয়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম ঈশা খান। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান যে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং তারিখ নেত্রকোণা জার্নাল অনলাইন পত্রিকায় “আটপাড়ার দুই কৃতী সন্তান ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ ও চবি শিক্ষক সুরভী” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
এতে ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ ও চবি শিক্ষক সুরভী’র পিতা মো: নূরুল ইসলাম সরকার একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সম্মানীত ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মো: নূরুল ইসলাম সরকারের পিতা মরহুম আব্দুর রাশিদ সরকার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর ও আটপাড়া থানা শান্তি কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে আটপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় লোটপাট, অঙ্গি সংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করায় স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ তাকে আটক করে আটপাড়া থানায় সোপর্দ করলে দীর্ঘ সময় কারাভোগ করে ৭৫ এর পরবর্তীতে মুক্তিলাভ করে। মো: নূরুল ইসলাম সরকার ও তার পরিবার কোন দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং তার বাড়িতে ২০০১ সালে উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও প্রবীণ নেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বাড়িতে অবস্থান করার সংবাদটি বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলে অবহিত করেন।
একজন রাজাকার পরিবারের সন্তান প্রকৌশলী জাকিরুল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এর যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন এবং নাজনীন সরকার সুরভী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তীব্র ও প্রতিবাদ জ্ঞান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো: খায়রুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মো: সুলতান উদ্দিন আহমেদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান উদ্দিন, হাজী মোজাম্মেল হক, আবু নাসের মিলু, মিজানুর রহমান খান নন্দন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুছ লালচান সহ অন্যান্য উপস্থিত সুধীজন জানান মরহুম আব্দুর রাশিদ সরকার একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন এবং মো: নূরুল ইসলাম সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন তিনিও তার পিতাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকলেই এ ধরণের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এবং রাজাকারের পরিবারের সন্তানেরা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়োজিত এবং সরকারি সুযোগ ভোগ করায় এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং অবিলম্বে তাদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতিসহ আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানান।