বাংলাদেশ ১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

ছাটাই-নির্যাতন বন্ধ এবং স্থায়ী পদে নিয়োগের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর এসএমসি কারখানার শ্রমিকদের স্মারকলিপি প্রদান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • ১৮৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছাটাই-নির্যাতন বন্ধ এবং স্থায়ী পদে নিয়োগের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর এসএমসি কারখানার শ্রমিকদের স্মারকলিপি প্রদান

মোহাম্মদ ছালাহ্ উদ্দিন উজ্জ্বল বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধি পরিপন্থি স্থায়ী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করে আউটসোর্সিং কোম্পানি এ এইচ খান এন্ড কোং কর্তৃক নিয়োগকৃত এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি: ভালুকা কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিকদের স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রদান এবং শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধের দাবিতে (৬ মার্চ, ২০২২) ময়মনসিংহ  জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভালুকায় অবস্থিত এসএমসি কারখানার শ্রমিকরা।
স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে শহরের র‍্যালীর মোড় হতে শ্রমিকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয় যেয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি এডভোকেট হারুন-অর-রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেনসহ কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
স্মারকলিপিতে শ্রমিকরা উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকার, ইউএসএআইডি এবং পিএসআই নামে ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে খাবার স্যালাইন ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইটেম তৈরির জন্য এসএমসি এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৯০ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ অলাভজনক কম্পানি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটিতে বেশ ভালো পরিমাণ অতিরিক্ত রেভিনিউ থেকে যায়। যা পুনঃ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ ঘটে এবং ২০১৪ সালের অক্টোবরে লাভজনক কম্পানি হিসেবে এসএমসি এন্টারপ্রাইজের যাত্রা শুরু হয়।
মুনাফাভিত্তিক হওয়ার পর এসএমসি এন্টারপ্রাইজ প্রতিবছরই আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে। অথচ আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দেড়  হাজার  শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৭০০ শ্রমিকই  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগকৃত। যারা কোম্পানীতে কয়েক বছর ধরে কাজ করলেও এসএমসি কোম্পানী বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেউই তাদের স্থায়ী করে নি।
যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৩ মাস কাজ করলেই শ্রমিককে স্থায়ী পদে নিয়োগ দেয়ার আইনী বাধ্যকতা রয়েছে। উপরন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এএইচ খান এন্ড কোং শ্রমিকদের প্রদত্ত পরিচয়পত্রে ডে লেবার হিসেবে পদবী নির্ধারণ করেছে। যা বাংলাদেশ শ্রম আইনের কোথাও “ডে লেবার” নামে কোন শ্রমিকের স্বীকৃতি নেই।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার ধারা- ৮(৩) অনুযায়ী ঠিকাদারী সংস্থা ও কর্মীর মধ্যে সম্পাদিত চাকরির নিয়োগপত্রে আইন বর্ণিত শর্তাদি অপেক্ষা কম অনুকূল শর্তাদি সন্নিবেশ করা যাবে না। শ্রম বিধিমালার ধারা- ১৬ (৫) অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান উহার স্থায়ী জনবল কাঠামোর কোন পদে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কোন শ্রমিক বা কর্মী নিয়োগ করা যাবে না বলে বিধান রয়েছে।
আশ্চর্য্যরে বিষয় হচ্ছে এই বিধান অমান্য করে এসএমসি এন্টারপ্রাইজের মত একটি প্রতিষ্ঠান তার স্থায়ী জনবল কাঠামোর অধিকাংশই কর্মি কিভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ নেয়? অথচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিবালোকে আইন লঙ্ঘণ করছে, তার প্রেক্ষিতেও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা নেই।
এছাড়াও কারখানার ট্রেড ইউনিয়ন ও সিবিএ’কে কোম্পানীর ম্যানেজমেন্টের কতিপয় দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগী ব্যক্তি প্রভাবিত করে শ্রমিকদের স্বার্থের বিপক্ষে ভূমিকা নেয়ায়  শ্রমিকদের মধ্যে আরো ক্ষোভ পুঞ্জিভুত হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে গত ১০ জানুয়ারী ২০২২ খ্রি: তারিখে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ, ভালুকা, কারখানায় শ্রম অসন্তোষ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রম অসন্তোষের প্রেক্ষিতে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তর সরেজমিন পরিদর্শন করে শ্রম আইন ও বিধি অনুযায়ী কোম্পানীর করণীয় নির্ধারণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলা হলেও অদ্যাবধি এসএমসি এন্টারপ্রাইজ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ এইচ খান এন্ড কোং কোন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে নি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রি: থেকে ৪ মার্চ ২০২২ খ্রি: পর্যন্ত ম্যাটেরিয়ালস (পটাশিয়াম) সংকটের অজুহাতে  কারখানায় ১ সপ্তাহ ছুটির নোটিশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩ মার্চ ২০২২ খ্রি: তারিখের নোটিশ অনুযায়ী গতকাল ৫ মার্চ তারিখে শ্রমিকরা ডিউটি করতে গেলে ম্যাটেরিয়ালস এর ঘাটতি  দেখিয়ে কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি।
অথচ শনিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় কারখানা ম্যানেজমেন্ট থেকে মুখ চিনে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হাতে গোণা কয়েকজন শ্রমিককে ফোন করে কারখানায় ডিউটি করতে যেতে বলা হয়।
এমতাবস্থায় শ্রমিকরা তাদের চাকুরিচ্যুতির আশংকা করছেন। তাই বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধি পরিপন্থি স্থায়ী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করে আউটসোর্সিং কোম্পানি এ এইচ খান এন্ড কোং কর্তৃক নিয়োগকৃত এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি:, ভালুকা কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রদান এবং শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি শ্রমিকেরা স্মারকলিপিতে অনুরোধ জানান।
স্মারকলিপির অনুলিপি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর; মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর; বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ বিভাগ ও পুলিশ সুপার, শিল্প পুলিশ জোন-৫ কে প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

ছাটাই-নির্যাতন বন্ধ এবং স্থায়ী পদে নিয়োগের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর এসএমসি কারখানার শ্রমিকদের স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ০৩:৪০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
মোহাম্মদ ছালাহ্ উদ্দিন উজ্জ্বল বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধি পরিপন্থি স্থায়ী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করে আউটসোর্সিং কোম্পানি এ এইচ খান এন্ড কোং কর্তৃক নিয়োগকৃত এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি: ভালুকা কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিকদের স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রদান এবং শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধের দাবিতে (৬ মার্চ, ২০২২) ময়মনসিংহ  জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভালুকায় অবস্থিত এসএমসি কারখানার শ্রমিকরা।
স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে শহরের র‍্যালীর মোড় হতে শ্রমিকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয় যেয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি এডভোকেট হারুন-অর-রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেনসহ কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
স্মারকলিপিতে শ্রমিকরা উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকার, ইউএসএআইডি এবং পিএসআই নামে ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে খাবার স্যালাইন ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইটেম তৈরির জন্য এসএমসি এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৯০ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ অলাভজনক কম্পানি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটিতে বেশ ভালো পরিমাণ অতিরিক্ত রেভিনিউ থেকে যায়। যা পুনঃ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ ঘটে এবং ২০১৪ সালের অক্টোবরে লাভজনক কম্পানি হিসেবে এসএমসি এন্টারপ্রাইজের যাত্রা শুরু হয়।
মুনাফাভিত্তিক হওয়ার পর এসএমসি এন্টারপ্রাইজ প্রতিবছরই আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে। অথচ আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দেড়  হাজার  শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৭০০ শ্রমিকই  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগকৃত। যারা কোম্পানীতে কয়েক বছর ধরে কাজ করলেও এসএমসি কোম্পানী বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেউই তাদের স্থায়ী করে নি।
যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৩ মাস কাজ করলেই শ্রমিককে স্থায়ী পদে নিয়োগ দেয়ার আইনী বাধ্যকতা রয়েছে। উপরন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এএইচ খান এন্ড কোং শ্রমিকদের প্রদত্ত পরিচয়পত্রে ডে লেবার হিসেবে পদবী নির্ধারণ করেছে। যা বাংলাদেশ শ্রম আইনের কোথাও “ডে লেবার” নামে কোন শ্রমিকের স্বীকৃতি নেই।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার ধারা- ৮(৩) অনুযায়ী ঠিকাদারী সংস্থা ও কর্মীর মধ্যে সম্পাদিত চাকরির নিয়োগপত্রে আইন বর্ণিত শর্তাদি অপেক্ষা কম অনুকূল শর্তাদি সন্নিবেশ করা যাবে না। শ্রম বিধিমালার ধারা- ১৬ (৫) অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান উহার স্থায়ী জনবল কাঠামোর কোন পদে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কোন শ্রমিক বা কর্মী নিয়োগ করা যাবে না বলে বিধান রয়েছে।
আশ্চর্য্যরে বিষয় হচ্ছে এই বিধান অমান্য করে এসএমসি এন্টারপ্রাইজের মত একটি প্রতিষ্ঠান তার স্থায়ী জনবল কাঠামোর অধিকাংশই কর্মি কিভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ নেয়? অথচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিবালোকে আইন লঙ্ঘণ করছে, তার প্রেক্ষিতেও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা নেই।
এছাড়াও কারখানার ট্রেড ইউনিয়ন ও সিবিএ’কে কোম্পানীর ম্যানেজমেন্টের কতিপয় দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগী ব্যক্তি প্রভাবিত করে শ্রমিকদের স্বার্থের বিপক্ষে ভূমিকা নেয়ায়  শ্রমিকদের মধ্যে আরো ক্ষোভ পুঞ্জিভুত হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে গত ১০ জানুয়ারী ২০২২ খ্রি: তারিখে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ, ভালুকা, কারখানায় শ্রম অসন্তোষ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রম অসন্তোষের প্রেক্ষিতে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তর সরেজমিন পরিদর্শন করে শ্রম আইন ও বিধি অনুযায়ী কোম্পানীর করণীয় নির্ধারণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলা হলেও অদ্যাবধি এসএমসি এন্টারপ্রাইজ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ এইচ খান এন্ড কোং কোন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে নি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রি: থেকে ৪ মার্চ ২০২২ খ্রি: পর্যন্ত ম্যাটেরিয়ালস (পটাশিয়াম) সংকটের অজুহাতে  কারখানায় ১ সপ্তাহ ছুটির নোটিশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩ মার্চ ২০২২ খ্রি: তারিখের নোটিশ অনুযায়ী গতকাল ৫ মার্চ তারিখে শ্রমিকরা ডিউটি করতে গেলে ম্যাটেরিয়ালস এর ঘাটতি  দেখিয়ে কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি।
অথচ শনিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় কারখানা ম্যানেজমেন্ট থেকে মুখ চিনে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হাতে গোণা কয়েকজন শ্রমিককে ফোন করে কারখানায় ডিউটি করতে যেতে বলা হয়।
এমতাবস্থায় শ্রমিকরা তাদের চাকুরিচ্যুতির আশংকা করছেন। তাই বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধি পরিপন্থি স্থায়ী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করে আউটসোর্সিং কোম্পানি এ এইচ খান এন্ড কোং কর্তৃক নিয়োগকৃত এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি:, ভালুকা কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রদান এবং শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি শ্রমিকেরা স্মারকলিপিতে অনুরোধ জানান।
স্মারকলিপির অনুলিপি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর; মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর; বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ বিভাগ ও পুলিশ সুপার, শিল্প পুলিশ জোন-৫ কে প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি