জবি প্রতিনিধি।
সুত্রাপুর থানার আওতাধীন বাংলাবাজার পুলিশ ফাড়ির আইসি এসআই পলাশ কুন্ডের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রকি মেরাজ নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। এমন অভিযোগ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
( বৃহস্পতিবার) দুপুর তিনটায় সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। একাধিক সেলাইসহ তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ভর্তি আছে। রকি মেরাজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (১৫ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীকে লঞ্চে উঠিয়ে দিয়ে রকি মেরাজ ও তার আরেক বন্ধু অনিক সদরঘাট থেকে ফেরার পথে টার্মিনালে টাইলসের উপর দিয়ে হাটার সময় নতুন টাইলস নড়ে গেলে রাজমিস্ত্রিরা তাদেরকে বকাঝকা করে। এসময় রকি মেরাজ বলে, এটা নতুন লাগানো টাইলস বুঝতে পারিনি, আমি দুঃখিত। রাজমিস্ত্রিরা চেঁচামেচি করলে রকি মেরাজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়।
এসময় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে এসআই পলাশ কুন্ডু ঘটনাস্থলে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দেখে বিষয়টি উস্কানি দিলে পুলিশ, রাজমিস্ত্রি ও ঘাটের কুলিরা এক হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এরপর তারা দৌড়ে পালাতে চাইলে, অনিক পালাতে সক্ষম হলেও রকি মেরাজ পড়ে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এসময় ভুক্তভোগী অচেতন অবস্থায় পরে থাকে। পরে তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে পলাশ কুন্ড তাদেরকে চাঁদাবাজ অপবাদ দেয় এবং অকথ্য ভাষায় অপমান করে। পরে সহপাঠীরা আহতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রকি মেরাজ বলেন, বিনা কারনে আমাকে মারধর করছে। আমার মানিব্যাগ নিয়ে গেছে। আমি পানি চেয়ে পুলিশের পায়ে ধরলে ওই পুলিশ আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পলাশ কুন্ড বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে হকারদের মারামারি হইছে। আমি ঘটনার পরে আসছি। পুলিশের ২টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওদের উদ্ধার করে। আমার নামে অভিযোগ মিথ্যা।
এবিষয়ে সুত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, নির্মাণরত ফুটপাতে হাঁটা নিয়ে মারামারি। এরপর স্থানীয়দের সাথেও তাদের মারামারি হয়। আর ছাত্রদের সাথে পুলিশ মারামারি করেনি, এগুলো বানোয়াট। আমি এখনো কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি।
এ ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে মুঠোফোনে একাধিক ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।