বাংলাদেশ ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিড়িবি) বোদা উপজেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। বুড়িচংয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন  কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাসিন জোমাদ্দার আর নেই।  সলঙ্গায় জামাল মাস্টারের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত 

সড়ক দুর্ঘটনার দায়ী কারা?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • ১৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

রিয়াজ আহমেদ হান্নান, স্টাফ রিপোর্টারঃ 

সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী কারা? আমরা সবাই কম বেশি দায়ী কিছুটা উদাসীনতায় বা অসচেতনতায়। প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে ১৩.৭৮ জন প্রাণ হারাচ্ছে শুধুমাত্রই সড়কে। এ যেন মৃত্যুর মিছিল চলছে। যত্রতত্র চলছে গাড়ি, চালকদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব। অকারণে ওভারটেকিং, দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছার জন্য চেষ্টা,  হেলপার দ্বারা গাড়ি চালনা এগুলোর জন্য অহরহ ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘনা।
দিনদিন সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, দুরপাল্লার গাড়ি গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা,  কত কম সময়ে বেশি রাস্তা চলা যায় মনোভাব। আর ইদানিং ইজিবাইক,ইঞ্জিন চালিত  বডবটি গাড়ি,ভ্যান রিক্সা মহাসড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। এদের জন্য আলাদা পার্শ্বররাস্তা না হলে দূর্ঘটনা বাড়বেই, কমবে না। বালুবাহী গাড়ি গুলো বালু না ঢেকে রাস্তা গাড়ি চালাবে, পিছনের গাড়ির ড্রাইভারের চোখে পড়ে।
 ঢাকা পাবনা মহাসড়কে চলাচলের গাড়ি গুলো দেখলে এক একটা হেলিকপ্টার মনে হয়। এরা পারে তো উড়ে যায়। ট্যাংক লড়ি, পদ্মা মেঘনা যমুনার গাড়ি গুলো, দূর পাল্লার গাড়ি এরা মাঝরাস্তা বরাবর ড্রাইভ করে, কাউকে সাইড দিতে অপারগ এরা। মুরগীর বহন করা গাড়ির গতি দেখলে অবাক লাগে!  তরুণ প্রজন্মের স্মার্ট টেকনোলজিস পোলাপান গুলা তো এক একটা বিশ্বখ্যাতি বাইকার, এঁকেবেঁকে সড়কের নিয়মের তোয়াক্কা না করে ড্রাইভ করছে।
যত্রতত্র পার্কিংং, রাস্তার দুপাশে সাড়ি বদ্ধ গাড়ির লাইন, মোড়ে অভারটেক করা খুবই দুরহ। শৃঙ্খলা ফেরাতে সচেতনতা জরুরি। এমনিতেই রাস্তার মধ্যে খানাখন্দভরা, রাস্তার দুপাশে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্ষমতার অপব্যবহার,  বালু দস্যুরা, মাটিখেকো পরিচালিত লড়িগুলোও সড়কের বারোটা বাজাচ্ছেন। এছাড়া  নিয়ম না মেনে পাশে নির্মাণ, ভবণ দোকানপাট গড়ে উঠেছে। গ্রামের রাস্তায় খড় শুকানো, সরিষা মাড়াই, ধান শুকানো,  বাড়ির পানি গড়িয়ে গ্রামের সড়কের বারোটা বাজাচ্ছেন।  শুধু সরকারের সমালোচনা করবে। নিজেদের অবস্থান থেকে সচেতনতা জরুরি।
মোড়ে মোড়ে অসচেতনতা সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে সড়কের নিরাপত্তা কে উসকে দিচ্ছে সবাই। সড়কের পাশে, ব্রিজ, বা কালভার্ট বা গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থানে ব্যক্তিস্বার্থে নির্মান সামগ্রী,  পাকা দালান, পার্ক, বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।  এখানে বুদ্ধিজীবী মহল, রাজনৈতিক মহল সবাই সবার স্বার্থ খোঁযে। গ্রামের রাস্তা গুলো বাড়ির চেয়ে অনেক নিচু হওয়ায় বারোমাস জলাবদ্ধ থাকে। বাইরে থেকে অচেনা ড্রাইভার, বা অসতর্ক ভাবে এইসব মোড়ে মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১৩.৭৮ জন প্রাণ হারাচ্ছে শুধুমাত্র সড়কেই।
জনপ্রিয় সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনার দায়ী কারা?

আপডেট সময় ০৭:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

 

 

 

 

রিয়াজ আহমেদ হান্নান, স্টাফ রিপোর্টারঃ 

সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী কারা? আমরা সবাই কম বেশি দায়ী কিছুটা উদাসীনতায় বা অসচেতনতায়। প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে ১৩.৭৮ জন প্রাণ হারাচ্ছে শুধুমাত্রই সড়কে। এ যেন মৃত্যুর মিছিল চলছে। যত্রতত্র চলছে গাড়ি, চালকদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব। অকারণে ওভারটেকিং, দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছার জন্য চেষ্টা,  হেলপার দ্বারা গাড়ি চালনা এগুলোর জন্য অহরহ ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘনা।
দিনদিন সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, দুরপাল্লার গাড়ি গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা,  কত কম সময়ে বেশি রাস্তা চলা যায় মনোভাব। আর ইদানিং ইজিবাইক,ইঞ্জিন চালিত  বডবটি গাড়ি,ভ্যান রিক্সা মহাসড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। এদের জন্য আলাদা পার্শ্বররাস্তা না হলে দূর্ঘটনা বাড়বেই, কমবে না। বালুবাহী গাড়ি গুলো বালু না ঢেকে রাস্তা গাড়ি চালাবে, পিছনের গাড়ির ড্রাইভারের চোখে পড়ে।
 ঢাকা পাবনা মহাসড়কে চলাচলের গাড়ি গুলো দেখলে এক একটা হেলিকপ্টার মনে হয়। এরা পারে তো উড়ে যায়। ট্যাংক লড়ি, পদ্মা মেঘনা যমুনার গাড়ি গুলো, দূর পাল্লার গাড়ি এরা মাঝরাস্তা বরাবর ড্রাইভ করে, কাউকে সাইড দিতে অপারগ এরা। মুরগীর বহন করা গাড়ির গতি দেখলে অবাক লাগে!  তরুণ প্রজন্মের স্মার্ট টেকনোলজিস পোলাপান গুলা তো এক একটা বিশ্বখ্যাতি বাইকার, এঁকেবেঁকে সড়কের নিয়মের তোয়াক্কা না করে ড্রাইভ করছে।
যত্রতত্র পার্কিংং, রাস্তার দুপাশে সাড়ি বদ্ধ গাড়ির লাইন, মোড়ে অভারটেক করা খুবই দুরহ। শৃঙ্খলা ফেরাতে সচেতনতা জরুরি। এমনিতেই রাস্তার মধ্যে খানাখন্দভরা, রাস্তার দুপাশে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্ষমতার অপব্যবহার,  বালু দস্যুরা, মাটিখেকো পরিচালিত লড়িগুলোও সড়কের বারোটা বাজাচ্ছেন। এছাড়া  নিয়ম না মেনে পাশে নির্মাণ, ভবণ দোকানপাট গড়ে উঠেছে। গ্রামের রাস্তায় খড় শুকানো, সরিষা মাড়াই, ধান শুকানো,  বাড়ির পানি গড়িয়ে গ্রামের সড়কের বারোটা বাজাচ্ছেন।  শুধু সরকারের সমালোচনা করবে। নিজেদের অবস্থান থেকে সচেতনতা জরুরি।
মোড়ে মোড়ে অসচেতনতা সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে সড়কের নিরাপত্তা কে উসকে দিচ্ছে সবাই। সড়কের পাশে, ব্রিজ, বা কালভার্ট বা গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থানে ব্যক্তিস্বার্থে নির্মান সামগ্রী,  পাকা দালান, পার্ক, বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।  এখানে বুদ্ধিজীবী মহল, রাজনৈতিক মহল সবাই সবার স্বার্থ খোঁযে। গ্রামের রাস্তা গুলো বাড়ির চেয়ে অনেক নিচু হওয়ায় বারোমাস জলাবদ্ধ থাকে। বাইরে থেকে অচেনা ড্রাইভার, বা অসতর্ক ভাবে এইসব মোড়ে মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১৩.৭৮ জন প্রাণ হারাচ্ছে শুধুমাত্র সড়কেই।