রিয়াজ আহমেদ হান্নান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী কারা? আমরা সবাই কম বেশি দায়ী কিছুটা উদাসীনতায় বা অসচেতনতায়। প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে ১৩.৭৮ জন প্রাণ হারাচ্ছে শুধুমাত্রই সড়কে। এ যেন মৃত্যুর মিছিল চলছে। যত্রতত্র চলছে গাড়ি, চালকদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব। অকারণে ওভারটেকিং, দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছার জন্য চেষ্টা, হেলপার দ্বারা গাড়ি চালনা এগুলোর জন্য অহরহ ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘনা।
দিনদিন সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, দুরপাল্লার গাড়ি গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা, কত কম সময়ে বেশি রাস্তা চলা যায় মনোভাব। আর ইদানিং ইজিবাইক,ইঞ্জিন চালিত বডবটি গাড়ি,ভ্যান রিক্সা মহাসড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। এদের জন্য আলাদা পার্শ্বররাস্তা না হলে দূর্ঘটনা বাড়বেই, কমবে না। বালুবাহী গাড়ি গুলো বালু না ঢেকে রাস্তা গাড়ি চালাবে, পিছনের গাড়ির ড্রাইভারের চোখে পড়ে।
ঢাকা পাবনা মহাসড়কে চলাচলের গাড়ি গুলো দেখলে এক একটা হেলিকপ্টার মনে হয়। এরা পারে তো উড়ে যায়। ট্যাংক লড়ি, পদ্মা মেঘনা যমুনার গাড়ি গুলো, দূর পাল্লার গাড়ি এরা মাঝরাস্তা বরাবর ড্রাইভ করে, কাউকে সাইড দিতে অপারগ এরা। মুরগীর বহন করা গাড়ির গতি দেখলে অবাক লাগে! তরুণ প্রজন্মের স্মার্ট টেকনোলজিস পোলাপান গুলা তো এক একটা বিশ্বখ্যাতি বাইকার, এঁকেবেঁকে সড়কের নিয়মের তোয়াক্কা না করে ড্রাইভ করছে।
যত্রতত্র পার্কিংং, রাস্তার দুপাশে সাড়ি বদ্ধ গাড়ির লাইন, মোড়ে অভারটেক করা খুবই দুরহ। শৃঙ্খলা ফেরাতে সচেতনতা জরুরি। এমনিতেই রাস্তার মধ্যে খানাখন্দভরা, রাস্তার দুপাশে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্ষমতার অপব্যবহার, বালু দস্যুরা, মাটিখেকো পরিচালিত লড়িগুলোও সড়কের বারোটা বাজাচ্ছেন। এছাড়া নিয়ম না মেনে পাশে নির্মাণ, ভবণ দোকানপাট গড়ে উঠেছে। গ্রামের রাস্তায় খড় শুকানো, সরিষা মাড়াই, ধান শুকানো, বাড়ির পানি গড়িয়ে গ্রামের সড়কের বারোটা বাজাচ্ছেন। শুধু সরকারের সমালোচনা করবে। নিজেদের অবস্থান থেকে সচেতনতা জরুরি।
মোড়ে মোড়ে অসচেতনতা সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে সড়কের নিরাপত্তা কে উসকে দিচ্ছে সবাই। সড়কের পাশে, ব্রিজ, বা কালভার্ট বা গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থানে ব্যক্তিস্বার্থে নির্মান সামগ্রী, পাকা দালান, পার্ক, বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এখানে বুদ্ধিজীবী মহল, রাজনৈতিক মহল সবাই সবার স্বার্থ খোঁযে। গ্রামের রাস্তা গুলো বাড়ির চেয়ে অনেক নিচু হওয়ায় বারোমাস জলাবদ্ধ থাকে। বাইরে থেকে অচেনা ড্রাইভার, বা অসতর্ক ভাবে এইসব মোড়ে মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১৩.৭৮ জন প্রাণ হারাচ্ছে শুধুমাত্র সড়কেই।