ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান নেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জননেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জন বদলগাছিতে শিশু জুঁই ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগটি ৬০ হাজার টাকায় রফদফা একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোরে জোড়া খুন রানীশংকৈল জয়কালী বাজারে ভেজাল দুধ বিক্রী নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের অভিযান পটুয়াখালীতে রমজানে খেটে-খাওয়া রোজাদার পথেই পাবে ইফতার কুমিল্লায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। বদলগাছিতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির টাকা ইউপি সদস্যর পকেটে ব্রাহ্মণপাড়ায় ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১ জন যশোরে মামলা প্রত্যাহারসহ সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সাউন্ডবাংলা-পল্টনড্ডায় ইফতার ও স্বপ্নালোক-এর মোড়ক উন্মোচন নতুন কৌশলে ডাক্তার কোটিপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

তাহিরপুরে বাঁধের কাজে ধীরগতি: সময়সীমার ৪দিন পেরোলেও শেষ হয়নি রক্ষা বাঁধের কাজ, এক পি আই সি আটক 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • ১৬২৪ বার পড়া হয়েছে

তাহিরপুরে বাঁধের কাজে ধীরগতি: সময়সীমার ৪দিন পেরোলেও শেষ হয়নি রক্ষা বাঁধের কাজ, এক পি আই সি আটক 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

মোশারফ হোসেন লিটন সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ::
তাহিরপুরে বাঁধের কাজে ধীরগতি, বাঁধ নির্মাণের সময়সীমার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি এক ফসলি হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ। তাহিরপুর উপজেলার মহলিয়া হাওরে বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি আর অবহেলার কারণে এক পি আই সি কে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে দ্রুত বাধের কাজ শেষ করা শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয় ওই পি আই সি কে।
এ দিকে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ২৮শে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে শত ভাগ হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আজ ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার  দুপুর পর্যন্ত সময় সীমার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি তাহিরপুর উপজেলার ফসল রক্ষা বাধের কাজ। তবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বিভিন্ন হাওরের বোর ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ ৭০ ভাগ পর্যন্ত হয়েছে বলে দাবি করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান।কিন্তু হাওর পাড়ের জনসাধারণ ও হাওরের কৃষক সহ সচেতন মহল ও হাওর বাঁচাও আনন্দোলনের নেতারা বলেছেন ভিন্ন কথা, তাদের মতে বাঁধের কাজ হয়েছে সর্বোচ্ছ ৪৫  থেকে ৫০ ভাগ। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোন কোন বাঁধে এখনও মাটির কাজেই শেষ হয়নি।
এবছর তাহিরপুর উপজেলার ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ৫৩ বর্গকিলোমিটার ডুবন্ত বেড়িবাঁধ, ১০টি খাল (ক্লোজার) বন্ধের কাজ চলছে। ৬৮টি প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। তবে আজ ৩ মার্চ পর্যন্ত একটি বাঁধের কাজও সম্পূর্ণ করতে পারেনি বাধেঁর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির।
এ দিকে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের ব্যানারে গতকাল ২ মার্চ বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা সদর হাওরের বোর ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এবং বাঁধের কাজ ধীর গতিতে করার অপরাধের আজ ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার এক পি আই সি কে আটক করেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মোঃ রায়হান কবির।
তবু্ও সঠিক সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এবার বসন্তের ফাল্গুনেই আবহাওয়া ও আকাশে যে অশ্বনি বার্তার দেখা যায় এর ফলে আস্কমিক পাহাড়ী ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে বোরো ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক পরিবার। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা না হয় এই চিন্তাই স্থানীয় কৃষকদের। তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর সহ সবকটি হাওরের গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের ঢিলেমি ভাবে কাজ করছে বলেও এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসী ও হাররের কৃষকদের। তাই এক ফসলী বোরো ফসলী জমির ওপর র্নিভরশীল লাখ লাখ কৃষকদের মাঝে চাপা ক্ষোব বিরাজ করছে।
এদিকে বাঁধের কাজে টিলেমিতে অসন্তোষ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা। তারা বলছেন,পাউবো বরাবরই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করে না। ফলে এনিয়ে লাখ লাখ কৃষক উৎবেগ,উৎকণ্ঠা আর আতংকের মধ্যে সময় পার করে তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরের হাজার হাজার কৃষক পরিবার গুলো। এবার হাওরের কোন ক্ষতি হলে এর দায়ভার পাউবো কেই নিতে হবে।
টাংগুয়ার হাওর পাড়ের কৃষক শরিফুল ইসলামসহ অনেকেই জানায়,এখনও বাঁধ নির্মান কাজ শেষ হয়নি। আমরা খুবেই চিন্তাই আছি আগাম বন্যার আশংকায়। সরকার ফসল রক্ষা বাঁধের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। আর বাঁধ নির্মাণের কাজকে হাতিয়ার করে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই নাম কা ওয়াস্তে ২২,২৪নং পিআইসিসহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মানের ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি হাওরের স্থায়ী বেরীবাঁধ কেটে ও বেরীবাঁধে হাওরের থাকা গাছের গুড়া থেকে মাঠে কেটে চলতি বাঁধ নির্মাণে মেতে প্রকৃতি ও পরিবেশ ধংশে উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির দায়িত্বশীলরা উপজেলার গুরমার হাওর বর্ধিতাংশ উপ-প্রকল্পের বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের নামে এক্সভেটরের তান্ডবে ধ্বংস হচ্ছে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন টাংগুয়ার হাওর। এ হাওরের শত বছরের পুরোনো হিজল করছের বনভূমি(স্থানীয়দের ভাষায় কান্দা)ও হাওর সংলগ্ন পাটলাই নদীর পাড়কেটে নিয়মনীতি লঙঘন করে মাটি উত্তোলন করায় নদী ও নদীর পারের সারিবদ্ধ হিজল করচের গাছগুলো হুমকিতে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
আজ ৩ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। প্রতিটি বাঁধে মাটির কাজ শেষ হয়েছে তবে অন্যান্য কাজ বাকী রয়েছে বলে জানান,উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও তাহিরপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জানান।
এব্যাপারে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়নের কাজের সাথে যুক্ত আহমেদ কবির বলেন,যে হাওরের জীববৈচিত্র রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে সেই হাওরের বুকে দানব যন্ত্র এক্সভেটর দিয়ে গাছের চারপাশ থেকে গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে গাছগুলোকে হুমকিতে ফেলেছে। এতে করে প্রকৃতি ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। আর বাধঁ নির্মানে ধীর গতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে সরকারের অথ্রের অপচয়ের সাথে সাথে হাওর ধংশ হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির বলেন, বাঁধের কাজ ধীর গতিতে করার জন্য এক পি আই সি কে আটক করা হয়েছে।
এবং সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি(পি,আই,সি)কে যেসব স্থানে গাছের কাছ থেকে মাটি নিয়েছে সে গুলো ভরাট করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বাঁধ নির্মানে সবগুলো পিআইসি কে আগামী ৮তারিনখের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান,বাঁধ নির্মানে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। যারাই বাঁধ নির্মানে অনিয়ম করবে ও নির্ধারিত সময়ে মধ্যে কাজ শেষ করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান

তাহিরপুরে বাঁধের কাজে ধীরগতি: সময়সীমার ৪দিন পেরোলেও শেষ হয়নি রক্ষা বাঁধের কাজ, এক পি আই সি আটক 

আপডেট সময় ০৩:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
মোশারফ হোসেন লিটন সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ::
তাহিরপুরে বাঁধের কাজে ধীরগতি, বাঁধ নির্মাণের সময়সীমার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি এক ফসলি হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ। তাহিরপুর উপজেলার মহলিয়া হাওরে বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি আর অবহেলার কারণে এক পি আই সি কে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে দ্রুত বাধের কাজ শেষ করা শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয় ওই পি আই সি কে।
এ দিকে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ২৮শে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে শত ভাগ হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আজ ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার  দুপুর পর্যন্ত সময় সীমার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি তাহিরপুর উপজেলার ফসল রক্ষা বাধের কাজ। তবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বিভিন্ন হাওরের বোর ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ ৭০ ভাগ পর্যন্ত হয়েছে বলে দাবি করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান।কিন্তু হাওর পাড়ের জনসাধারণ ও হাওরের কৃষক সহ সচেতন মহল ও হাওর বাঁচাও আনন্দোলনের নেতারা বলেছেন ভিন্ন কথা, তাদের মতে বাঁধের কাজ হয়েছে সর্বোচ্ছ ৪৫  থেকে ৫০ ভাগ। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোন কোন বাঁধে এখনও মাটির কাজেই শেষ হয়নি।
এবছর তাহিরপুর উপজেলার ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ৫৩ বর্গকিলোমিটার ডুবন্ত বেড়িবাঁধ, ১০টি খাল (ক্লোজার) বন্ধের কাজ চলছে। ৬৮টি প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। তবে আজ ৩ মার্চ পর্যন্ত একটি বাঁধের কাজও সম্পূর্ণ করতে পারেনি বাধেঁর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির।
এ দিকে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের ব্যানারে গতকাল ২ মার্চ বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা সদর হাওরের বোর ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এবং বাঁধের কাজ ধীর গতিতে করার অপরাধের আজ ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার এক পি আই সি কে আটক করেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মোঃ রায়হান কবির।
তবু্ও সঠিক সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এবার বসন্তের ফাল্গুনেই আবহাওয়া ও আকাশে যে অশ্বনি বার্তার দেখা যায় এর ফলে আস্কমিক পাহাড়ী ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে বোরো ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক পরিবার। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা না হয় এই চিন্তাই স্থানীয় কৃষকদের। তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর সহ সবকটি হাওরের গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের ঢিলেমি ভাবে কাজ করছে বলেও এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসী ও হাররের কৃষকদের। তাই এক ফসলী বোরো ফসলী জমির ওপর র্নিভরশীল লাখ লাখ কৃষকদের মাঝে চাপা ক্ষোব বিরাজ করছে।
এদিকে বাঁধের কাজে টিলেমিতে অসন্তোষ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা। তারা বলছেন,পাউবো বরাবরই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করে না। ফলে এনিয়ে লাখ লাখ কৃষক উৎবেগ,উৎকণ্ঠা আর আতংকের মধ্যে সময় পার করে তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরের হাজার হাজার কৃষক পরিবার গুলো। এবার হাওরের কোন ক্ষতি হলে এর দায়ভার পাউবো কেই নিতে হবে।
টাংগুয়ার হাওর পাড়ের কৃষক শরিফুল ইসলামসহ অনেকেই জানায়,এখনও বাঁধ নির্মান কাজ শেষ হয়নি। আমরা খুবেই চিন্তাই আছি আগাম বন্যার আশংকায়। সরকার ফসল রক্ষা বাঁধের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। আর বাঁধ নির্মাণের কাজকে হাতিয়ার করে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই নাম কা ওয়াস্তে ২২,২৪নং পিআইসিসহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মানের ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি হাওরের স্থায়ী বেরীবাঁধ কেটে ও বেরীবাঁধে হাওরের থাকা গাছের গুড়া থেকে মাঠে কেটে চলতি বাঁধ নির্মাণে মেতে প্রকৃতি ও পরিবেশ ধংশে উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির দায়িত্বশীলরা উপজেলার গুরমার হাওর বর্ধিতাংশ উপ-প্রকল্পের বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের নামে এক্সভেটরের তান্ডবে ধ্বংস হচ্ছে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন টাংগুয়ার হাওর। এ হাওরের শত বছরের পুরোনো হিজল করছের বনভূমি(স্থানীয়দের ভাষায় কান্দা)ও হাওর সংলগ্ন পাটলাই নদীর পাড়কেটে নিয়মনীতি লঙঘন করে মাটি উত্তোলন করায় নদী ও নদীর পারের সারিবদ্ধ হিজল করচের গাছগুলো হুমকিতে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
আজ ৩ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। প্রতিটি বাঁধে মাটির কাজ শেষ হয়েছে তবে অন্যান্য কাজ বাকী রয়েছে বলে জানান,উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও তাহিরপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জানান।
এব্যাপারে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়নের কাজের সাথে যুক্ত আহমেদ কবির বলেন,যে হাওরের জীববৈচিত্র রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে সেই হাওরের বুকে দানব যন্ত্র এক্সভেটর দিয়ে গাছের চারপাশ থেকে গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে গাছগুলোকে হুমকিতে ফেলেছে। এতে করে প্রকৃতি ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। আর বাধঁ নির্মানে ধীর গতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে সরকারের অথ্রের অপচয়ের সাথে সাথে হাওর ধংশ হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির বলেন, বাঁধের কাজ ধীর গতিতে করার জন্য এক পি আই সি কে আটক করা হয়েছে।
এবং সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি(পি,আই,সি)কে যেসব স্থানে গাছের কাছ থেকে মাটি নিয়েছে সে গুলো ভরাট করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বাঁধ নির্মানে সবগুলো পিআইসি কে আগামী ৮তারিনখের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান,বাঁধ নির্মানে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। যারাই বাঁধ নির্মানে অনিয়ম করবে ও নির্ধারিত সময়ে মধ্যে কাজ শেষ করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।