বাংলাদেশ ০৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কেন্দুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু  ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত  নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে বিএনপি নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু শাহজাহান ওমরের হলফনামায় মামলার কোন তথ্য নেই ঈশ্বরগঞ্জে যুব ফোরাম গঠিত সাংবাদিকদের নির্বাচনী সহিংসতার হুমকির আগাম বার্তা দিলেন বিএনপি নেতা জলিল মিয়াজী  নরসিংদীতে ৬০টি স্কুল কলেজ মাদ্রাাসার ডাইনামিক ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও হস্তান্তর পেকুয়ায় নিহত জিহাদের স্বরণে শোক সভা  বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পেলেন নেত্রকোণার কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা (মরণোত্তর)  রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত  আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে অসময়ে বৃস্টিতে স্হবির হয়ে পড়েছে জনজীবন বুড়িচংয়ে শ্রীমন্তপুর এম এ সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পুলিশের কাজে বাঁধা দান ও হত্যার উদ্দ্যেশ্যে হামলা সংক্রান্ত নাশকতার মামলায় ০২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। ভান্ডারিয়ার মানুষের পাশে আছেন জননেতা মহিউদ্দিন মহারাজ: মশিউর রহমান মৃধা

অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস, চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
  • ১৬৭০ বার পড়া হয়েছে

অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস, চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

 

চবি প্রতিনিধি

নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের ৫৩৭ তম সভায় ফারসি বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিল করা হয়।

শনিবার (৫ মার্চ) চারুকলা ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান।

এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের তিনটি অডিও প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় আমরা রবীনকে উপচার্যের পিএস থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা করেছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধী কাউকে প্রশাসন ছাড় দেবে না।’

ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘অভিযোগ উঠার সঙ্গে সঙ্গে আজকের সিন্ডিকেট স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, এবং সততার স্বার্থে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরুপে বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী মূল হোতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টরবৃন্দরা।

এর আগে গত ৩ মার্চ ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির পদে ১২ লাখ, চতুর্থ শ্রেণি পদে ৮ লাখ, অফিসার পদে ১৫ লাখ ও শিক্ষক নিয়োগে ১৬ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হয় বলে উঠে আসে।

এরমধ্যে একটি কল রেকর্ডে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। ফাঁস হওয়া সেই ফোনালাপে একজন আবেদনকারীকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে বলতে শোনা গেছে। বাকি দুইটিতে উপাচার্যের ভাতিজা ও এক বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার এক কর্মচারীরও আর্থিক লেনদেনের নানা বিষয়ে কথোপকথন শোনা যায়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার উপাচার্যের একান্ত সহকারী পদ থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা হয়।

এছাড়া ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে সিলেকশন বোর্ডে বিভাগসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ শিক্ষক না রাখা, আবেদনের সময়স্বল্পতা, আবেদন করেও মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীরা ডাক না পাওয়া, উচ্চ আদালতের রুল নিষ্পত্তি না করেই নিয়োগপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ নানা অভিযোগ উঠে।

 

 

 

 

 

কেন্দুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু 

অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস, চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল

আপডেট সময় ১০:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

 

 

 

 

চবি প্রতিনিধি

নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের ৫৩৭ তম সভায় ফারসি বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিল করা হয়।

শনিবার (৫ মার্চ) চারুকলা ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান।

এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের তিনটি অডিও প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় আমরা রবীনকে উপচার্যের পিএস থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা করেছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধী কাউকে প্রশাসন ছাড় দেবে না।’

ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘অভিযোগ উঠার সঙ্গে সঙ্গে আজকের সিন্ডিকেট স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, এবং সততার স্বার্থে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরুপে বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী মূল হোতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টরবৃন্দরা।

এর আগে গত ৩ মার্চ ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির পদে ১২ লাখ, চতুর্থ শ্রেণি পদে ৮ লাখ, অফিসার পদে ১৫ লাখ ও শিক্ষক নিয়োগে ১৬ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হয় বলে উঠে আসে।

এরমধ্যে একটি কল রেকর্ডে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। ফাঁস হওয়া সেই ফোনালাপে একজন আবেদনকারীকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে বলতে শোনা গেছে। বাকি দুইটিতে উপাচার্যের ভাতিজা ও এক বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার এক কর্মচারীরও আর্থিক লেনদেনের নানা বিষয়ে কথোপকথন শোনা যায়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার উপাচার্যের একান্ত সহকারী পদ থেকে সরিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা হয়।

এছাড়া ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে সিলেকশন বোর্ডে বিভাগসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ শিক্ষক না রাখা, আবেদনের সময়স্বল্পতা, আবেদন করেও মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীরা ডাক না পাওয়া, উচ্চ আদালতের রুল নিষ্পত্তি না করেই নিয়োগপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ নানা অভিযোগ উঠে।