প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সজীব হাসান, বগুড়া সংবাদদাতা ঃ
বগুড়ায় সরকারি চাকুরী দেওয়ার নামে ২/৩ বছর যাবত সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয়সহ বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিচয় ব্যবহার করে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে প্রতারকচক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ এর সদস্যরা। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার অভিযোগে শুক্রবার রাতে পৃথক অভিযানে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর এলাকা এবং সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ৫টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ২টি মোবাইল ও ৩টি সিম জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকার মৃত: আব্দুল খালেকের ছেলে মো. নবীন শেখ (৪৪) এবং একই উপজেলার বিশু বাড়ী এলাকার আব্দুল গনির ছেলে মো. মাহমুদ হাসান মজনু (৩৬)। শনিবার বিকেলে র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল ক্যাম্পে আয়োজিত এক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন।
কোম্পানি কমান্ডার জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরাসহ এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকেই সংঘবদ্ধভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সদস্য ভর্তি করার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আনুমানিক ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তবে এই চক্রটি বেশি সক্রিয় হয়েছিল ২০২১ সালে।
চক্রটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকের সাথে মোবাইলে কথা বলে বাল্ক এসএমএস ক্রয় করে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের মোবাইলে ভুয়া নিয়োগ এসএমএস পাঠাতো এবং বিভিন্ন সময় মোবাইল ব্যাংকিং/কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করতো। তাদের প্রতারণায় অনেক নিরীহ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার সোহরাব আরো বলেন, ২০২১ সালের শেষের দিকে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বাসিন্দা এই চক্রের প্রতারণার শিকার ৬ জন ভুক্তভোগী র্যাব-১২ তে অভিযোগ করলে তারা দীর্ঘদিন থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে প্রতারক নবীন শেখ কে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলা থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাবের আভিযানিক দল। শুধু তাই নয় গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে প্রতারণার এই কৌশলগুলো নিজেরাই র্যাব কে অবগত করে। একই সাথে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার সোহরাব হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান প্রতারণাকারী এমন চক্র থেকে সাধারণ মানুষদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান। এছাড়াও প্রতারণাকারী এমন চক্রের তথ্যসহ যেকোন অপরাধের তথ্য দিয়ে র্যাব কে সহযোগিতার কথা বলেন তিনি।