![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশনে সাসাতি রায় চৈতি (২৫) নামের এক গৃহবধূর ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ মার্চ) রাত ২ টার দিকে চরফ্যাশন পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের স্বামীর বাস ভবন থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। সে চরফ্যাশন পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের হরিবাড়ি সংলগ্ন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সমির চন্দ্র মজুমদারের ছেলে, বোরহানউদ্দিন কর্মরত কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার শাওনের স্ত্রী, ও চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়ের কণ্যা।
চরফ্যাশন থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় গৃহবধূর শশুর সমির চন্দ্র মজুমদার ও স্বামী মনোজ কুমার মজুমদার শাওনকে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর পিতা সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। গত এক বছর পূর্বে সমির চন্দ্র মজুমদারের ছেলে শাওনের সঙ্গে আমার মেয়েকে বিয়ে দেই। আমার মেয়েকে তার শ্বশুর, শ্বাশুরি ও স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তারা যৌতুকের টাকা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি দেশের প্রচলিত আইনে এ হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
এদিকে গৃহবধূর শ্বশুর সমির চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশি মেয়ের বিয়ে হলে শুক্রবার তাকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার ছেলে শাওনের সঙ্গে তজুমদ্দিন উপজেলায় ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে পুত্রবধূ যেতে চাইলে ভাঙ্গা রাস্তার কারণে ছেলে তাকে নিয়ে যায়নি। ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে না নিয়ে যাওয়ায় চৈতি অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে। স্বামী শাওন মুজমদার বলেন, আমি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রাত ১টায় বাসায় ফিরে একাধিকবার দরজা নক দিয়েও চৈতির সারাশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখি সে আত্মহত্যা করেছে।
চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাসাতি রায় চৈতি’র সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ি পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। চরফ্যাশন থানার ওসি তদন্ত রিপন সাহা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলায় সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট এলেই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।