ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
পিরোজপুরের কাউখালীতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা সংঘবদ্ধ সাইবার অপরাধ চক্রের মূলহোতা কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯ মনোহরদীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নেত্রকোণায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কর্ম পাঠ শুরু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় শিশু নিহত শিশু খাদিজাকে বাঁচাতে বাবার আকুতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামীর গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন তালতলীতে ইউসিবি’র ৪১১তম এজেন্ট শাখার উদ্বোধন তানোরে উপজেলা মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত গৌরীপুরে বিষ প্রয়োগে পাটক্ষেত বিনষ্ট করার অভিযোগ খানসামায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রি; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেত্রকোণায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী “আদ্যাক্ষর” এর চিত্র প্রদর্শনী পিরোজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পরিবার কল্যাণ সহকারীর মৃত্যু মহান স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলী র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃর্ত্যুর ঘটনায় জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

রামগড় মৎস্য হ্যাচারী বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
  • ১৬৩৮ বার পড়া হয়েছে

রামগড় মৎস্য হ্যাচারী বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

জহিরুল ইসলাম, রামগড় খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে মৎস্য পোনা ও রেনু উৎপাদন কারী বহু পুরনো একটি হ্যাচারী বিলুপ্তির দারপ্রান্তে রয়েছে, এটি রামগড় মিনি মৎস্য হ্যাচারী নামে পরিচিত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়নও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি হ্যাচারীতে মৎস্য রেনু, পোনা উৎপাদিত হয় এই রেনু/পোনা তিন পার্বত্য জেলার বিশাল জন গোষ্টির জন্য মৎস্য চাহিদা পুরনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । রামগড়ে মৎস হ্যাচারী স্থাপিত হয় ১৯৭৯ সালে। দীর্ঘ বছর বিভিন্ন মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে চলে আসছিলো এটি।
২০১৩ সাল থেকে  পরিচালিত হয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত  রাঙামাটি মৎস্য বিভাগ পাহাড়ি প্রকল্পের অধিনে থাকার পর( ৩০ জুন ২০১৮) হ্যাচারীটি খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অধিনে নিয়ে আসা হয়। তার পর থেকেই ৪বছরে ধরে রামগড় মৎস্য হ্যাচারীর করুন পরিনিতি দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে উৎপাদনের চেয়ে  চাহিদা বেশি থাকার কারণে  সংশ্লিষ্ট  প্রকল্প পরিচালক আরো একটি হ্যাচারী স্থাপনের আবেদন করেন,সেটি বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদরে স্থাপিত হয়েছে, এবং ঐ হ্যাচারীতেও রেনু উৎপাদন শুরু হয়েছে।নতুন হ‍্যাচারী কার্যক্রম চলমান থাকলেও  বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে  প্রাচীন কালের রামগড় মৎস্য হ‍্যাচারিটি।
রামগড় মৎস্য হ্যাচারীর কর্মচারী নাসির উদ্দীন বলেন, অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী প্রকল্পের জন্য দীর্ঘ সময় উৎপাদন থমকে গেছে, আমরা লক্ষ করছি,  জেলার ক্ষুদ্র চাষিরা রেনু/পোনার জন্য হিমসিম খেতে হয়। গুনগত মানের রেনু পোনা না পেয়ে বহু মৎস্য চাষি মুখ পিরিয়ে নিচ্ছেন লাভ জনক এখাত থেকে।
তিনি আরো জানান  চলমান প্রকল্প ৩০ শে জুন২০১৮ ইং মেয়াদ কাল শেষ হয়েছে  ৪ বছর আগে সেই থেকে খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে এটি, স্থবির হয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ পোনা উৎপাদন। অনিচ্ছয়তার মাঝে পড়ে আছে এই হ্যাচারী। অপরদিকে  উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকা দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। প্রশ্নের মুখে পড়েছে এটি, কেন এমন  অবহেলিত হয়ে  গেছে সরকারের  কোটি  টাকার এই সম্পদ তা সবারই অজানা।
 বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বর্তমানে  বিদ্যুৎ লাইনও কেটে দেয়া হয়েছে।মাছের খাদ্য সংকটের কারণে মরে যাচ্ছে অনেক মাছ। আগামী মৌসুমে প্রজননে মাছ সংকেট দেখা দেবে,নাসির উদ্দীন বলেন, বর্তমানে অত্র হ্যাচারীতে আমরা দুইজন কর্মচারী অনাহারে অধ্যাহারে দিন কাটাচ্ছি, সামান্য বিলের অজুহাতে সরকারি এমন উৎপাদনে বাধা ও কর্মচারীদের  ঘর বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছে।
রামগড় উপজেলা মৎস্য অফিসার বিজয় কুমার দাস জানান হ‍্যাচারী”টি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়,এবং জেলা পরিষদের  অধিনস্থ,  প্রকল্প চলমান থাকাকালীন আমরা তদারকি”র কাজ করে থাকি, এছাড়া  আমাদের কিছু করার নেই, আর বর্তমানে  প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, হ‍্যাচারীটি পূণরায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো জন্য উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে  খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদের এলাকার স্বার্থে এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরের কাউখালীতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা

রামগড় মৎস্য হ্যাচারী বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে

আপডেট সময় ০৬:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
জহিরুল ইসলাম, রামগড় খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে মৎস্য পোনা ও রেনু উৎপাদন কারী বহু পুরনো একটি হ্যাচারী বিলুপ্তির দারপ্রান্তে রয়েছে, এটি রামগড় মিনি মৎস্য হ্যাচারী নামে পরিচিত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়নও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি হ্যাচারীতে মৎস্য রেনু, পোনা উৎপাদিত হয় এই রেনু/পোনা তিন পার্বত্য জেলার বিশাল জন গোষ্টির জন্য মৎস্য চাহিদা পুরনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । রামগড়ে মৎস হ্যাচারী স্থাপিত হয় ১৯৭৯ সালে। দীর্ঘ বছর বিভিন্ন মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে চলে আসছিলো এটি।
২০১৩ সাল থেকে  পরিচালিত হয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত  রাঙামাটি মৎস্য বিভাগ পাহাড়ি প্রকল্পের অধিনে থাকার পর( ৩০ জুন ২০১৮) হ্যাচারীটি খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অধিনে নিয়ে আসা হয়। তার পর থেকেই ৪বছরে ধরে রামগড় মৎস্য হ্যাচারীর করুন পরিনিতি দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে উৎপাদনের চেয়ে  চাহিদা বেশি থাকার কারণে  সংশ্লিষ্ট  প্রকল্প পরিচালক আরো একটি হ্যাচারী স্থাপনের আবেদন করেন,সেটি বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদরে স্থাপিত হয়েছে, এবং ঐ হ্যাচারীতেও রেনু উৎপাদন শুরু হয়েছে।নতুন হ‍্যাচারী কার্যক্রম চলমান থাকলেও  বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে  প্রাচীন কালের রামগড় মৎস্য হ‍্যাচারিটি।
রামগড় মৎস্য হ্যাচারীর কর্মচারী নাসির উদ্দীন বলেন, অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী প্রকল্পের জন্য দীর্ঘ সময় উৎপাদন থমকে গেছে, আমরা লক্ষ করছি,  জেলার ক্ষুদ্র চাষিরা রেনু/পোনার জন্য হিমসিম খেতে হয়। গুনগত মানের রেনু পোনা না পেয়ে বহু মৎস্য চাষি মুখ পিরিয়ে নিচ্ছেন লাভ জনক এখাত থেকে।
তিনি আরো জানান  চলমান প্রকল্প ৩০ শে জুন২০১৮ ইং মেয়াদ কাল শেষ হয়েছে  ৪ বছর আগে সেই থেকে খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে এটি, স্থবির হয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ পোনা উৎপাদন। অনিচ্ছয়তার মাঝে পড়ে আছে এই হ্যাচারী। অপরদিকে  উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকা দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। প্রশ্নের মুখে পড়েছে এটি, কেন এমন  অবহেলিত হয়ে  গেছে সরকারের  কোটি  টাকার এই সম্পদ তা সবারই অজানা।
 বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বর্তমানে  বিদ্যুৎ লাইনও কেটে দেয়া হয়েছে।মাছের খাদ্য সংকটের কারণে মরে যাচ্ছে অনেক মাছ। আগামী মৌসুমে প্রজননে মাছ সংকেট দেখা দেবে,নাসির উদ্দীন বলেন, বর্তমানে অত্র হ্যাচারীতে আমরা দুইজন কর্মচারী অনাহারে অধ্যাহারে দিন কাটাচ্ছি, সামান্য বিলের অজুহাতে সরকারি এমন উৎপাদনে বাধা ও কর্মচারীদের  ঘর বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছে।
রামগড় উপজেলা মৎস্য অফিসার বিজয় কুমার দাস জানান হ‍্যাচারী”টি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়,এবং জেলা পরিষদের  অধিনস্থ,  প্রকল্প চলমান থাকাকালীন আমরা তদারকি”র কাজ করে থাকি, এছাড়া  আমাদের কিছু করার নেই, আর বর্তমানে  প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, হ‍্যাচারীটি পূণরায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো জন্য উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে  খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদের এলাকার স্বার্থে এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।