বাংলাদেশ ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

সিআইডি ইন্সপেক্টর সেজে প্রতারণা করতেন বুড়িচংয়ের কামরুল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
  • ১৬৯৫ বার পড়া হয়েছে

সিআইডি ইন্সপেক্টর সেজে প্রতারণা করতেন বুড়িচংয়ের কামরুল

বুড়িচং ( কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
অনলাইনে এক নারী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সংবাদের ফুটেজ ধরে রিপোর্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতারক কামরুল। নারী নির্যাতন মামলার সেই বাদীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে নিজেকে সিআইডি ইন্সপেক্টর মেহেদী হিসেবে পরিচয় দেয় এবং নিজেকে সিআইডি সাইবার এক্সপার্ট হিসেবে জানায়।মামলায় যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বাদীর কাছে আবির্ভূত হয় ত্রাতা হিসেবে।মামলার আসামিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের ভয়ভীতি দেখায়। আসামিকে মাদকের অন্য একটি মামলা দিতে হবে বলে বাদীকে হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগের একটি ড্রাফট পাঠায়, এর জন্য পাঁচ হাজার টাকাও নেয় সে।আরেকজনকে ভুয়া এসপি সাজিয়ে বাদীর সঙ্গে কথা বলায়।
এতসব কার্যক্রম এবং যোগাযোগে দ্রুততায় বাদীর বিশ্বস্ততা অর্জন করে প্রতারক কামরুল হাসান।আটক কামরুল হাসানের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ঘিলাতলা বড় বাড়ির মৃত: জজু মিয়ার ছেলে।ছয়গ্রাম বাজারের হোমিও চিকিৎসক মোস্তফা জামাল জানান, সে এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে দীর্ঘদিন আত্মগোপন ছিলেন।জানা যায়,নারী নির্যাতন মামলা প্রমাণ করার জন্য প্রতারক কামরুল বাদীর কাছ থেকে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নেয়।
সরল বিশ্বাসে বাদী সিআইডি অফিসার ভেবে একান্ত গোপনীয় সব ফুটেজ শেয়ার করে। ফুটেজ পেয়েই প্রতারকের কথাবার্তার ধরন এবং চেহারা পাল্টে যায়। প্রতারক কামরুল এ কাজের বিনিময়ে ওই নারীর কাছে দুই লাখ টাকা এবং তার সঙ্গে রাত যাপনের প্রস্তাব দেয়। ওই নারী অবশেষে বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন। ভুয়া আইডি খুলে বাদীর ছবি ভাইরাল করার হুমকি দেয় কামরুল। রীতিমতো চাপে রাখে ওই নারীকে। ওই নারীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।উপায়ান্তর না দেখে ওই নারী মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যান। ইন্সপেক্টর মেহেদী নামের কাউকে খুঁজে পান না তিনি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই নারী। পরে এক সিনিয়র কর্মকর্তার নজরে এলে পুরো ঘটনা শুনে অভিযোগ নেওয়া হয়।
সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টার বিষয়টি অনুসন্ধান করে। আসামিকে শনাক্ত করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাইবার টিমের অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তার এ অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সব প্রমাণ পাওয়া যায়। ডিজিটাল আলামতের সূত্র ধরে জানা যায়, দীর্ঘদিন সে নিজেকে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নানা জনের সঙ্গে, বিশেষ করে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। কখনো সে নিজেকে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা বলেও অনলাইনে পরিচয় দিত।তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত সিল, বিভিন্ন দফতরে পাঠানো চিঠির কপি, পাঁচটি ফেক ফেসবুক আইডি, বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রতারক কামরুলের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

সিআইডি ইন্সপেক্টর সেজে প্রতারণা করতেন বুড়িচংয়ের কামরুল

আপডেট সময় ০২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
বুড়িচং ( কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
অনলাইনে এক নারী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সংবাদের ফুটেজ ধরে রিপোর্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতারক কামরুল। নারী নির্যাতন মামলার সেই বাদীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে নিজেকে সিআইডি ইন্সপেক্টর মেহেদী হিসেবে পরিচয় দেয় এবং নিজেকে সিআইডি সাইবার এক্সপার্ট হিসেবে জানায়।মামলায় যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বাদীর কাছে আবির্ভূত হয় ত্রাতা হিসেবে।মামলার আসামিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের ভয়ভীতি দেখায়। আসামিকে মাদকের অন্য একটি মামলা দিতে হবে বলে বাদীকে হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগের একটি ড্রাফট পাঠায়, এর জন্য পাঁচ হাজার টাকাও নেয় সে।আরেকজনকে ভুয়া এসপি সাজিয়ে বাদীর সঙ্গে কথা বলায়।
এতসব কার্যক্রম এবং যোগাযোগে দ্রুততায় বাদীর বিশ্বস্ততা অর্জন করে প্রতারক কামরুল হাসান।আটক কামরুল হাসানের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ঘিলাতলা বড় বাড়ির মৃত: জজু মিয়ার ছেলে।ছয়গ্রাম বাজারের হোমিও চিকিৎসক মোস্তফা জামাল জানান, সে এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে দীর্ঘদিন আত্মগোপন ছিলেন।জানা যায়,নারী নির্যাতন মামলা প্রমাণ করার জন্য প্রতারক কামরুল বাদীর কাছ থেকে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নেয়।
সরল বিশ্বাসে বাদী সিআইডি অফিসার ভেবে একান্ত গোপনীয় সব ফুটেজ শেয়ার করে। ফুটেজ পেয়েই প্রতারকের কথাবার্তার ধরন এবং চেহারা পাল্টে যায়। প্রতারক কামরুল এ কাজের বিনিময়ে ওই নারীর কাছে দুই লাখ টাকা এবং তার সঙ্গে রাত যাপনের প্রস্তাব দেয়। ওই নারী অবশেষে বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন। ভুয়া আইডি খুলে বাদীর ছবি ভাইরাল করার হুমকি দেয় কামরুল। রীতিমতো চাপে রাখে ওই নারীকে। ওই নারীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।উপায়ান্তর না দেখে ওই নারী মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যান। ইন্সপেক্টর মেহেদী নামের কাউকে খুঁজে পান না তিনি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই নারী। পরে এক সিনিয়র কর্মকর্তার নজরে এলে পুরো ঘটনা শুনে অভিযোগ নেওয়া হয়।
সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টার বিষয়টি অনুসন্ধান করে। আসামিকে শনাক্ত করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাইবার টিমের অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তার এ অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সব প্রমাণ পাওয়া যায়। ডিজিটাল আলামতের সূত্র ধরে জানা যায়, দীর্ঘদিন সে নিজেকে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নানা জনের সঙ্গে, বিশেষ করে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। কখনো সে নিজেকে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা বলেও অনলাইনে পরিচয় দিত।তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত সিল, বিভিন্ন দফতরে পাঠানো চিঠির কপি, পাঁচটি ফেক ফেসবুক আইডি, বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রতারক কামরুলের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।