যশোরের কেশবপুর উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন “বীর নিবাস”নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে একতলা পাকা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শুরু করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় অর্থায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সুজাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন হাওলাদারের জন্য ঘরের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে যশোর-৬ কেশবপুর আসনের সাংসদ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা শাহীন চাকলাদার এমপি। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামাল প্রমুখ।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য একতলা বিশিষ্ট পাকাঘর তৈরি করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন “বীর নিবাস”নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ২টি বেড রুম, ১টি ড্রইং রুম, ১টি রান্নাঘর এবং ১টি বাথরুম বিশিষ্ট একতলা পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বীর নিবাস পেয়েছেন তারা হলেন-সুজাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন হাওলাদার, উপজেলার চিংড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, সাগরদাঁড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নিমাই দেবনাথ, ভরত ভায়না গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিপদ মন্ডল, মহাদেবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, হাড়িয়াঘোপ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র দেবনাথ, পাত্রপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন সরকারের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার ও ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ফকিরের ছেলে মমরেজ ফকির।