বাংলাদেশ ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ১৭১৩ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মোঃ এনামুল হক ( খোকন) পাটওয়ারী
চাঁদপুর জেলা– প্রতিনিধি 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সাহাপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে আব্দুল হান্নান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে মো. এমরান হোসেন (২৭), আব্দুল মমিন (৩২) ও বুলু বেগমকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এমরান হোসেন পূর্ব সাহাপুর গ্রামের মো. আবু শেখের ছেলে, আব্দুল মমিন মো. সিরাজুল হকের ছেলে এবং বুলু বেগম আবু শেখের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে হান্নানের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হন হান্নান ও তার স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম (৩৭)। হান্নানকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী শামছুন্নাহার ওই দিনই ফরিদগঞ্জ থানায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ওই বছর ২৯ নভেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহামেদ অভি বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছরেরও অধিক সময় আদালতে চলমান অবস্থায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। তবে মামলার রায়ের সময় ৩ আসামি পলাতক ছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. হান্নান কাজী ও সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ১১:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
মোঃ এনামুল হক ( খোকন) পাটওয়ারী
চাঁদপুর জেলা– প্রতিনিধি 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সাহাপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে আব্দুল হান্নান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে মো. এমরান হোসেন (২৭), আব্দুল মমিন (৩২) ও বুলু বেগমকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এমরান হোসেন পূর্ব সাহাপুর গ্রামের মো. আবু শেখের ছেলে, আব্দুল মমিন মো. সিরাজুল হকের ছেলে এবং বুলু বেগম আবু শেখের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে হান্নানের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হন হান্নান ও তার স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম (৩৭)। হান্নানকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী শামছুন্নাহার ওই দিনই ফরিদগঞ্জ থানায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ওই বছর ২৯ নভেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহামেদ অভি বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছরেরও অধিক সময় আদালতে চলমান অবস্থায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। তবে মামলার রায়ের সময় ৩ আসামি পলাতক ছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. হান্নান কাজী ও সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।