বাংলাদেশ ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অবৈধ জালটাকাসহ ০১জন জালটাকা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদকের উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীর শাস্তি দাবী করেছেন এফবিজেও চেয়ারম্যান এসএম মোরশেদ বঙ্গবন্ধু সমাধিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শওকত আকবর এর শ্রদ্ধা  পঞ্চগড়ে চেয়ারম্যান পদে ১৪ প্রার্থীসহ ৩৮জনের মনোনয়নপত্র দাখিল ছাতকে সড়ক দুর্ঘটনায় কন্ঠশিল্পী পাগল হাসান সহ দুইজনের মৃত্যু, আহত ৩। মাদক মামলায় পলাতক আসামি কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মির্জাগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে কার চালকের মৃত্যু ভান্ডারিয়ায় ৪ নেতাকে কারাগারে প্রেরণ করায় জেলা বিএনপির নিন্দা চেয়ারে বসা নিয়ে দুই সহপাঠির তর্ক, প্রাণ গেলো এক কিশোরের পেকুয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে কিশোরীর ভিডিও ধারণ, যুবক আটক কলাপাড়ায় বৈশাখী মেলায় দোলনা নৌকা ভেঙ্গে শিশু সহ আহত – ৮ ভৈরবনদ রক্ষা ও নদী নিয়ে সংঘটিত অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিচারের দাবীতে সভা অনুষ্ঠিত  জবির রেজিস্ট্রারকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জবিশিস পেকুয়া হাসপাতালের টয়লেট থেকে নবজাতক উদ্ধার পটুয়াখালীতে সাবেক ইউপি সদস্যের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

১০ম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ১৭০২ বার পড়া হয়েছে

১০ম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি

জবি প্রতিনিধি। 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবিতে) ১০ম মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে (স্নাতক) সম্মান ও বিবিএ প্রথমবর্ষে এইবারে প্রথম শিক্ষার্থী পেতে বিলম্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করতে না পারার মূল কারণ হচ্ছে ভর্তি কার্যক্রম এখনো চলমান এবং ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।
জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের, ২৪ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ও পহেলা নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ২০ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের ফলাফল, ২৬ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ফলাফল এবং সর্বশেষ ৩ নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফলাফল প্রকাশিত হবার পর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় গতবছরের ১৫ নভেম্বর থেকে। আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
এরপর গত (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ২৩ হাজার ৯৫৫ জন, মানবিক (বি) ইউনিটে ৯ হাজার ৯৪০ জন এবং বাণিজ্য (সি) ইউনিটে সাত হাজার ৭৬২ জন ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
পরের দিন (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মোট সাতটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এতেও নির্ধারিত আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ফাঁকা আসন পূরণে গত ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি গণসাক্ষাৎকার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমে বিষয় বরাদ্দ পেয়েও যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হননি তাদেরও সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। তবে গণসাক্ষাৎকারেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি না মেলায় পরবর্তীতে আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয় ৮ মার্চ থেকে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করার।
তবে ক্লাস শুরু করার আগেই ফাঁকা থাকা আসন পূরণে (মঙ্গলবার) পহেলা মার্চ আবারো গণসাক্ষাৎকার আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে সাত হাজার ৬৫২ থেকে ১২ হাজার মেধাক্রম পর্যন্ত এবং মানবিক (বি) ইউনিটে দুই হাজার ৫১৭ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মেধাক্রম পর্যন্ত সাক্ষাৎকার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার (৩মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ওই সাক্ষাৎকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, এবার প্রথমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হল করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাকালীন বন্ধের সময়েও শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে৷ ফলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের সময় বাঁচানোর জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়েছে৷ এতে করে এখন শিক্ষার্থীদের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই সংকটের পেছনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কোন কারণ রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ লাঘব হয়েছে। অন্যান্য বছর শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ ছিলো না। তাই এক্ষেত্রে গুচ্ছের কোন ভূমিকা নেই।
জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ জালটাকাসহ ০১জন জালটাকা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

১০ম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি

আপডেট সময় ০৭:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
জবি প্রতিনিধি। 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবিতে) ১০ম মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে (স্নাতক) সম্মান ও বিবিএ প্রথমবর্ষে এইবারে প্রথম শিক্ষার্থী পেতে বিলম্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করতে না পারার মূল কারণ হচ্ছে ভর্তি কার্যক্রম এখনো চলমান এবং ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।
জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের, ২৪ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ও পহেলা নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ২০ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের ফলাফল, ২৬ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ফলাফল এবং সর্বশেষ ৩ নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফলাফল প্রকাশিত হবার পর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় গতবছরের ১৫ নভেম্বর থেকে। আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
এরপর গত (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ২৩ হাজার ৯৫৫ জন, মানবিক (বি) ইউনিটে ৯ হাজার ৯৪০ জন এবং বাণিজ্য (সি) ইউনিটে সাত হাজার ৭৬২ জন ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
পরের দিন (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মোট সাতটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এতেও নির্ধারিত আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ফাঁকা আসন পূরণে গত ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি গণসাক্ষাৎকার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমে বিষয় বরাদ্দ পেয়েও যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হননি তাদেরও সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। তবে গণসাক্ষাৎকারেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি না মেলায় পরবর্তীতে আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয় ৮ মার্চ থেকে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করার।
তবে ক্লাস শুরু করার আগেই ফাঁকা থাকা আসন পূরণে (মঙ্গলবার) পহেলা মার্চ আবারো গণসাক্ষাৎকার আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে সাত হাজার ৬৫২ থেকে ১২ হাজার মেধাক্রম পর্যন্ত এবং মানবিক (বি) ইউনিটে দুই হাজার ৫১৭ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মেধাক্রম পর্যন্ত সাক্ষাৎকার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার (৩মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ওই সাক্ষাৎকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, এবার প্রথমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হল করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাকালীন বন্ধের সময়েও শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে৷ ফলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের সময় বাঁচানোর জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়েছে৷ এতে করে এখন শিক্ষার্থীদের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই সংকটের পেছনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কোন কারণ রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ লাঘব হয়েছে। অন্যান্য বছর শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ ছিলো না। তাই এক্ষেত্রে গুচ্ছের কোন ভূমিকা নেই।