ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নগরীর বটতলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেলকোনিতে পথচারীদের আতঙ্ক মির্জাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ সিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসে আর এমপি’র পুলিশ কমিশনারের শ্রদ্ধা রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যোগ হলো আরো দুটি এসটিএস, উদ্বোধন করলেন মাননীয় সিটি মেয়র গণহত্যা দিবসে রাসিকের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর বাবুর সহায়তায় ওএমএস এর চাউল পেল ৩ শতাদিক পরিবার আমতলীতে গনহত্যা দিবস পালিত জগন্নাথপুরের হাতিরঝিলের আদলে নলজুর সেতু’র কাজ শুরু আমতলীতে সড়ক অবৈধ দখল মুক্ত করতে মোবাইল কোর্ট ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস স্মরণে দীপশিখা প্রজ্বলন ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে চালককে হত্যা দশমিনা কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত

১০ম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ১৬৫১ বার পড়া হয়েছে

১০ম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

জবি প্রতিনিধি। 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবিতে) ১০ম মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে (স্নাতক) সম্মান ও বিবিএ প্রথমবর্ষে এইবারে প্রথম শিক্ষার্থী পেতে বিলম্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করতে না পারার মূল কারণ হচ্ছে ভর্তি কার্যক্রম এখনো চলমান এবং ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।
জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের, ২৪ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ও পহেলা নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ২০ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের ফলাফল, ২৬ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ফলাফল এবং সর্বশেষ ৩ নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফলাফল প্রকাশিত হবার পর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় গতবছরের ১৫ নভেম্বর থেকে। আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
এরপর গত (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ২৩ হাজার ৯৫৫ জন, মানবিক (বি) ইউনিটে ৯ হাজার ৯৪০ জন এবং বাণিজ্য (সি) ইউনিটে সাত হাজার ৭৬২ জন ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
পরের দিন (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মোট সাতটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এতেও নির্ধারিত আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ফাঁকা আসন পূরণে গত ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি গণসাক্ষাৎকার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমে বিষয় বরাদ্দ পেয়েও যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হননি তাদেরও সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। তবে গণসাক্ষাৎকারেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি না মেলায় পরবর্তীতে আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয় ৮ মার্চ থেকে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করার।
তবে ক্লাস শুরু করার আগেই ফাঁকা থাকা আসন পূরণে (মঙ্গলবার) পহেলা মার্চ আবারো গণসাক্ষাৎকার আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে সাত হাজার ৬৫২ থেকে ১২ হাজার মেধাক্রম পর্যন্ত এবং মানবিক (বি) ইউনিটে দুই হাজার ৫১৭ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মেধাক্রম পর্যন্ত সাক্ষাৎকার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার (৩মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ওই সাক্ষাৎকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, এবার প্রথমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হল করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাকালীন বন্ধের সময়েও শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে৷ ফলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের সময় বাঁচানোর জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়েছে৷ এতে করে এখন শিক্ষার্থীদের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই সংকটের পেছনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কোন কারণ রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ লাঘব হয়েছে। অন্যান্য বছর শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ ছিলো না। তাই এক্ষেত্রে গুচ্ছের কোন ভূমিকা নেই।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান

১০ম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি

আপডেট সময় ০৭:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
জবি প্রতিনিধি। 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবিতে) ১০ম মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে (স্নাতক) সম্মান ও বিবিএ প্রথমবর্ষে এইবারে প্রথম শিক্ষার্থী পেতে বিলম্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করতে না পারার মূল কারণ হচ্ছে ভর্তি কার্যক্রম এখনো চলমান এবং ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।
জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের, ২৪ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ও পহেলা নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ২০ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের ফলাফল, ২৬ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ফলাফল এবং সর্বশেষ ৩ নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফলাফল প্রকাশিত হবার পর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় গতবছরের ১৫ নভেম্বর থেকে। আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
এরপর গত (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ২৩ হাজার ৯৫৫ জন, মানবিক (বি) ইউনিটে ৯ হাজার ৯৪০ জন এবং বাণিজ্য (সি) ইউনিটে সাত হাজার ৭৬২ জন ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
পরের দিন (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মোট সাতটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এতেও নির্ধারিত আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ফাঁকা আসন পূরণে গত ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি গণসাক্ষাৎকার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমে বিষয় বরাদ্দ পেয়েও যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হননি তাদেরও সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। তবে গণসাক্ষাৎকারেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি না মেলায় পরবর্তীতে আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয় ৮ মার্চ থেকে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করার।
তবে ক্লাস শুরু করার আগেই ফাঁকা থাকা আসন পূরণে (মঙ্গলবার) পহেলা মার্চ আবারো গণসাক্ষাৎকার আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে সাত হাজার ৬৫২ থেকে ১২ হাজার মেধাক্রম পর্যন্ত এবং মানবিক (বি) ইউনিটে দুই হাজার ৫১৭ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মেধাক্রম পর্যন্ত সাক্ষাৎকার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার (৩মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ওই সাক্ষাৎকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, এবার প্রথমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হল করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাকালীন বন্ধের সময়েও শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে৷ ফলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের সময় বাঁচানোর জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়েছে৷ এতে করে এখন শিক্ষার্থীদের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই সংকটের পেছনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কোন কারণ রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ লাঘব হয়েছে। অন্যান্য বছর শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ ছিলো না। তাই এক্ষেত্রে গুচ্ছের কোন ভূমিকা নেই।