ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত আসামী আদম শফিউল্যাহ ও ফেরদাউসকে আটক করেছেন। আটক দুই আসামীকে বুধবার চরফ্যাশন আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চরফ্যাসন থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারের বড় ভাই মোসলে উদ্দিনের সঙ্গে জমি নিয়ে আসামী আদম হাওলাদারদের বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে উপজেলা পরিষদের সামনে বারেক হাওলাদারের ছেলে ফেরদাউসের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সেলিম চেয়ারম্যানের উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর এবং শ্বাস রোধে হত্যার চেষ্টা করে।
এঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে মামলার আসামী আদম হাওলাদারের বাবা বারেক হাওলাদার অভিযোগ করেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে সেলিম হাওলাদারের বড় ভাই মোসলে উদ্দিন হাওলাদার তার ছোট ছেলে আদমকে চেয়ারম্যান বাজারে মারধর করে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে তার বড় ছেলে ফেরদাউস চেয়ারম্যান’র কাছে বিচার দিলে তিনি উত্তেজিত হন এবং কথা কাটির জের ধরে তার ছেলেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। পরে চেয়ারম্যানের ভাই মোসলেউদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০-৩০জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বারেক হাওলাদারের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। চেয়ারম্যানের ভাই মোসলেউদ্দিন বলেন, বারেক হাওলাদারের ছেলে আদম হাওলাদার তার পুকুর থেকে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেন।
তিনি ওই পুকুরের সেচ মেশিন বন্ধ করে দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ভাই চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারকে মারধর এবং গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করেন এবং নিজেদের ঘর নিজেরা ভাংচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। চরফ্যাসন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টা এবং মরধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার এজারহার ভূক্ত দুই আসামীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।