ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ লালপুরে কৃষি বীজ, চেক ও সেলাই মেশিন বিতরণ ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই এবং অনুমোদনহীন ও নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা অভিনব কায়দায় ০২ টি প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ ০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ কুমিল্লায় র‌্যাব সদস্যের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচলো ছোট শিশু ইসরাতের র‌্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ০২ টি খাবার তৈরী প্রতিষ্ঠান এবং ০২ টি আয়রন রড, শীট বিক্রয় প্রতিষ্ঠান’কে জরিমানা ভান্ডারিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে এসআইয়ের ওপর মাদক কারবারির হামলা পুর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে যশোরে দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বার উদ্বোধন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের কন্ট্রোলারের শ্রদ্ধা মুলাদীতে সিনিয়র আইনজীবি মজিবুর রহমান দুলালের মৃত্যুতে বিভিন্ন জনের শোক॥ মুলাদীতে সর্বজনীন কল্যানে ইসলামী ব্যাংকিং শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল॥ প্রথম আলো’র সম্পাদকের উপর মামলার ঘটনায় সিলেট জেলা বিএনপির নিন্দা জামালগঞ্জে ব্যানার ফেস্টুন ছেড়ার হিড়িক থানায় জিডি দায়ের

শিশু গৃহকর্মীদের অধিকার আদায়ে সরকারের পাশাপাশি দরকার বেসরকারী উদ্যোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৯ বার পড়া হয়েছে

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

নাদিম আহমেদ অনিক, স্টাফ রিপোর্টার:
গৃহ শিশু শ্রম বাংলাদেশে একটি জটিল সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনেই শ্রম হিসেবে এই কাজটির কোন স্বীকৃতি নেই। যেকোন বিবেচনায় এটি শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় এর উল্লেখ নেই। এছাড়া জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও তাদের মধ্যে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু শ্রমিকের কোন উল্লেখ নাই। গৃহ শিশুশ্রম সবসময়েই উপেক্ষিত থেকে গেছে।
এ বিষয়ে সালিশী ও আইন সহায়তা কেন্দ্র মানবাধিকার, নওগাঁ এর নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হলেও শিশুগৃহ শ্রমিকদের প্রতি মানুষের সাংস্কৃতিক চিন্তা ভাবনার খুব একটা উন্নতি হয়নি।
তাছাড়া স্বল্প বেতনে কাজে রাখার জন্য মেয়ে গৃহকর্মীদেরকে কাজে নেওয়ার ব্যাপারে বেশি অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত অনেক ভয়ানক ভয়ানক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা আমরা দেখতে পেরেছি। কিন্তু এর মধ্যে বেশিরভাগরই বিচারকাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি।
এর আগেই মামলার সমঝোতা করা হয়েছে। যার কারণে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। যার ফলে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের সঠিক বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠে না। শিশু গৃহ কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এদেরকে আইনের মাধ্যমে স্বীকৃতির মধ্যে আনতে হবে।
জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, যে সকল মেয়েরা গৃহ কর্মী হিসেবে বাসায় কাজ করে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ সময়ও বিশ্রামের সুযোগ পায় না। এমনকি তারা কাজ করে টাকাও পায় না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বেতন দেওয়া হয় তাদের অভিভাবকের কাছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নীতিমালার বাস্তবায়ন না করলে তাদের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না। সরকার আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এখনো অনুমোদন না করলেও শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। তবে তা বাস্তবায়নের অভাবে খুব একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে না।
সেই সাথে গৃহ শিশুকর্মী শিশুশ্রমের অন্যতম একটি অপ্রাতিষ্ঠানিকখাত যেখানে বিশাল সংখ্যক শিশু শ্রমে নিয়োজিত আছে এবং প্রায়শই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কাজেই তা বন্ধ করতে হলে এদেরকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি যা এখনো করা হয় নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিশু অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংগঠন বা এনজিও সমূহের এ বিষয়ে আরো বেশী কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারীভাবে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের মৌলিক অধিকার সহ সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইন বাস্তবায়নের উদ্যেগ নিতে হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

শিশু গৃহকর্মীদের অধিকার আদায়ে সরকারের পাশাপাশি দরকার বেসরকারী উদ্যোগ

আপডেট সময় ১০:১১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
নাদিম আহমেদ অনিক, স্টাফ রিপোর্টার:
গৃহ শিশু শ্রম বাংলাদেশে একটি জটিল সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনেই শ্রম হিসেবে এই কাজটির কোন স্বীকৃতি নেই। যেকোন বিবেচনায় এটি শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় এর উল্লেখ নেই। এছাড়া জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও তাদের মধ্যে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু শ্রমিকের কোন উল্লেখ নাই। গৃহ শিশুশ্রম সবসময়েই উপেক্ষিত থেকে গেছে।
এ বিষয়ে সালিশী ও আইন সহায়তা কেন্দ্র মানবাধিকার, নওগাঁ এর নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হলেও শিশুগৃহ শ্রমিকদের প্রতি মানুষের সাংস্কৃতিক চিন্তা ভাবনার খুব একটা উন্নতি হয়নি।
তাছাড়া স্বল্প বেতনে কাজে রাখার জন্য মেয়ে গৃহকর্মীদেরকে কাজে নেওয়ার ব্যাপারে বেশি অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত অনেক ভয়ানক ভয়ানক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা আমরা দেখতে পেরেছি। কিন্তু এর মধ্যে বেশিরভাগরই বিচারকাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি।
এর আগেই মামলার সমঝোতা করা হয়েছে। যার কারণে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। যার ফলে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের সঠিক বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠে না। শিশু গৃহ কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এদেরকে আইনের মাধ্যমে স্বীকৃতির মধ্যে আনতে হবে।
জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, যে সকল মেয়েরা গৃহ কর্মী হিসেবে বাসায় কাজ করে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ সময়ও বিশ্রামের সুযোগ পায় না। এমনকি তারা কাজ করে টাকাও পায় না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বেতন দেওয়া হয় তাদের অভিভাবকের কাছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নীতিমালার বাস্তবায়ন না করলে তাদের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না। সরকার আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এখনো অনুমোদন না করলেও শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। তবে তা বাস্তবায়নের অভাবে খুব একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে না।
সেই সাথে গৃহ শিশুকর্মী শিশুশ্রমের অন্যতম একটি অপ্রাতিষ্ঠানিকখাত যেখানে বিশাল সংখ্যক শিশু শ্রমে নিয়োজিত আছে এবং প্রায়শই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কাজেই তা বন্ধ করতে হলে এদেরকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি যা এখনো করা হয় নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিশু অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংগঠন বা এনজিও সমূহের এ বিষয়ে আরো বেশী কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারীভাবে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের মৌলিক অধিকার সহ সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইন বাস্তবায়নের উদ্যেগ নিতে হবে।