কচুয়া, বাগেরহাট প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের বাগেরহাট জেলা শাখার আওতাধীন কচুয়া উপজেলা ছাএদলের ০৭ টি ইউনিয়ন এর আংশিক কমিটি ঘোষণা হয়েছে।প্রতিটি কমিটিতে ১ জন করে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিলে মোট ৫ জনকে রাখা হয়েছে।
২৮-০২-২০২২ ইং তারিখ বাগেরহাট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক ইয়াহিয়া শেখ সুমন স্বাক্ষরিত কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।এর পর থেকে তৃনমূল ছাত্রদল কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। ছাত্রদল সমর্থনকারিদের সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে নব ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাওয়া কয়েক জনের নামে জোরালো অভিযোগ তুলতে দেখাগেছে। এর পর থেকেই তৃনমূল ছাত্র দলের কর্মীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে হতাশা।
এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্র দলের কর্মী ও জেলা- উপজেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একাধিক নেতাকর্মী নবগঠিত ইউনিয়ন কমিটির সমালোচনা করে বলেন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল করে দিয়ে একটি মহল বিশেষ স্বার্থ হাসিলের জন্য একটা মনগড়া কমিটি ঘোষণা করেছে।এটাকে পকেট কমিটি ছাড়া কিছু বলা যায় না। যেখানে দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের কোন মতামত নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন ঘোষিত কমিটিতে মাদকাশক্ত ব্যাক্তি, চুরি-ডাকাতি সহ নানা অপরাধে জরিত থাকা ব্যাক্তি সহ অসাংগঠনিক, অছাত্র, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং সংগঠনের কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেননি এমন ব্যাক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে।এছাড়াও কচুয়া উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে আহবায়ক রানা দিদারের পদত্যাগের দাবিতে ০৭ টি ইউনিয়নের ছাত্রদল কর্মীরা ধারাবাহিক বিক্ষোভ মিছিল করেন।এরপর থেকেই কমিটি গঠন প্রকৃয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়।
কচুয়া উপজেলা শাখা ছাত্র দলের সদস্য সচিব সাওন সরদারের কাছে কমিটির বিষয় জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,আমি কমিটি ঘোষণার কথা লোকমুখে সুনেছি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে একটি তালিকা সংগ্রহ করেছি কিন্তু ঘোষিত নতুন কমিটি সম্পর্কে আমার কিছু জানানেই।তবে এ বিষয়ে জানার জন্য আমি বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নাই।তবে ইতিপূর্বে কমিটি দেওয়ার জন্য আমি উপজেলা শাখার আহবায়ক ও জেলা সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু কেন আমাকে নাজানিয়ে তৃণমূলের পরিক্ষিত ছাত্রদল কর্মীদের বাদদিয়ে বিতর্কিত দের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে জানিনা।আশাকরি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।ছাত্র সংগঠনের মধ্যে কোন কোন্দল আছে কিনা?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে খুটি নাটি কিছু সমস্যা এবং মতো বিরোধ থাকতে পারে তবে আলোচনা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হলে এ ধরনের অভিযোগ উঠার কথা না।
বিষয়টি নিয়ে কচুয়া উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক রানা দিদারের সাথে কথা হয়।তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন ৭ ইউনিয়নের যে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা মুল দলের মতামতের ভিত্তিতে আমাদের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।এক পর্যায়ে কমিটির অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কচুয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক আরো বলেন,আমাদের উপজেলা কমিটির আহবায়ক ও সাধারন সম্পাদকের বিরুপ মতার্দশের কারনে আমরা অনুমোদন দিতে পারিনি তাই এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক।
এই বিষয়ে অন্যএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দলের নীতিমালা রয়েছে সভাপতি সাধারন সম্পাদকের যদি বিরুপ মতার্দশা থাকে তাহলে দপ্তর সম্পাদক কমিটির অনুমোদন দিতে পারবে বলে এমটিই জানান। তবে কমিটি গঠন প্রকৃয়ায় কতটা সচ্ছতা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিষয়টির বিস্তারিত জানার জন্য ছাত্র দলের বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি ইমরানখান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক আলী সাদ্দাম আহম্মেদ দীপের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।