ভোলা প্রতিনিধি॥
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার অপরাধে ১৫ জন জেলেকে আটক করেছেন মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ১৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) ভোরে ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইনের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ভোলায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অভয়াশ্রমে,, আটককৃত জেলেরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম (৪০), মো. আফসার (৩৫), মো. দুলাল (৪২), সরিফ (৩৪), আব্দুল মান্নান (৩৯), মো. লিটন (২৮), মো. রাসেল (২৬), মো. আমির হোসেন (৩৭), মো.ফয়সাল (৩৫) মো.সুজন (২৩) মো. আসরাফ আলী (৪৩), মো.আব্বাস (৩৬), মারুফ (১২), ইয়ামিন (১১) ও জাকির হোসেন (১৪)।
উপজেলা মৎস্য কমকর্তা মো. জামাল হোসাইন জানান, আটক জেলেদের পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সালেহ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাজির করলে ১২ জেলেকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৩ জেলে নাবালক হওয়ার তাদের সচেতন করে ছেড়ে দেয়া হয়।
পাশাপাশি জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং জব্দকৃত মাছ স্থানীয় মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের দায়ে আজ প্রথম দিনে মেঘনা নদী থেকে ১৫ জেলেসহ ৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ১৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধর লক্ষ্যে মেঘনা- তেতুলীয়া নদীতে আমাদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দুই মাস নদীতে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা পয়েন্ট থেকে মনপুরা উপজেলার চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর ভোলা সদর উপজেলার চর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব প্রকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।