খুলনা মহানগরীতে র্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর “খুকু মনি”কে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল-ফারুক মাদ্রসা রোডে আসামী কামরুল ইসলাম স্বাধীন তার স্ত্রী ভিকটিম খুকুমনিকে পারিবারিক কলহের জেরে মারপিট করে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে শেখ হাসিনা জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ঢাকায় ভর্তি করে। ভিকটিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মৃত্যুবরণ করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের মা শিউলি বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়ান্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ২১.১৫ ঘটিকার সময় কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক মাদ্রাসা রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিজ স্ত্রী “খুকু মনি”কে পুড়িয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী ১। মোঃ কামরুল ইসলাম স্বাধীন@ কামরুল(২২), পিতা-দেলোয়ার হোসেন, মাতা-তহমিনা, সাং-২৯/গ, আল-ফারুক মাদ্রাসা রোড, থানা-সোনাডাঙ্গা, কেএমপি খুলনা’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।