মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদাদাতাঃ
মোঃ তারেক হোসেন, বয়স মাত্র ১৫ বছর। এ বয়সে তার শরীরের ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৫ কেজিতে। শরীরের ভারে এক প্রকার নুয়ে পড়ার মতো অবস্থা। হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। ওজনের কারনে ৫ বোনের এক ভাই তারেকের শরীরে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের। চোখে কম দেখে, তার উপর খাবারের চাহিদা প্রচুর।
গরীব বাবা মা তার জন্য কিছুই করতে পারেন না। খাবার বা ওষুধের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় নিজেই বেছে নিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তির। রামগঞ্জ উপজেলার পুর্ব উদনপাড়া মসজিদ বাড়ীর বাবা ইব্রাহীম মিয়া ও মা তাছলিমার ঘরে জন্ম নেয়া তারেকের খাবারের ব্যবস্থা নিয়েছেন রামগঞ্জ বাইপাস সড়কের মোহাম্মদিয়া হোটেল মালিক মোঃ আবদুল ওয়াদুদ। আর তার বেশিরভাগ অবস্থানই মোহাম্মদিয়া হোটেলের সামনে। সেখানে দাঁড়িয়েই ভিক্ষা করে তারেক। শনিবার সকালে তারেক জানান, আমি চোখে কম দেখি।
ওজন ১১৫ কেজি। বোনদের মাঝে তারেক ছোট। গরীব বাবা মা তার খাবার বা চিকিৎসায় কোন সহযোগীতা করতে পারেন না। হাঁটতে কষ্ট হয়। কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তারেক হোসেন তার চিকিৎসায় দেশ বিদেশের বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনারা আমাকে একটু একটু করে সহযোগীতা করলে হয়তো আমার চিকিৎসা করানো সম্ভব। তিনি এসময় তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। তারেক হোসেনের মোবাইল নম্বর: ০১৮৩৪৯৬৬৬১৮। এছাড়া বিস্তারিত জানার জন্য রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার’স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদ ফারুকের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।