বাংলাদেশ ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে- নির্বাচন কমিশনার ২৪ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলা কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন চসিক ভ্রাম্যমান আদালত চলতি বছরেই পঁচিশ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরী নিশ্চিত করতে হবে — জেলা প্রশাসক নলছিটিতে শেষ হলো মরহুম আঃ সোবাহান চেয়ারম্যান স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। নওগাঁর হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া রুগী  ভান্ডারিয়ায় প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা  ব্রাহ্মণপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হতদরিদ্রের মাঝে ঘর উপহার  ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লায় সিএনজি ভাড়া দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে! বাগেরহাটে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত একযুগেরও বেশি সময় পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন দোকান কর্মচারি, গৃহবধু, ঝাড়ুদার ভোটার। অনিয়মের ছড়াছড়ি তালতলীতে এবার ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত ভিজিএফ এর চাল নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দিলেন মেয়র

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • ১৬৮৭ বার পড়া হয়েছে

উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত ভিজিএফ এর চাল নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দিলেন মেয়র

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত দুর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়র চাল গ্রহন না করে তা আটকে দিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর পৌরসভায়।

 

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৮১ দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এর ১০ কেজি করে চাল বিতরনের বরাদ্দ পাওয়া যায়। সে হিসাবে ৩০ টন ৮শ ১০ কেজি (৩০ হাজার ৮শ ১০ কেজি ) চাল সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়।

 

 

ওই চাল টলি যোগে পৌরসভায় পৌছিলে কিছু চালের বস্তা গুদামে তোলা হয়। এরমধ্যে দুগন্ধযুক্ত নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চালের বিষয়টি চোখে পরে। তখন পৌর কর্মচারীরা চালের বস্তা বাছাই করতে গিয়ে দেখেন বিভিন্ন ধরনের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। কোন বস্তার চাল ছাতা ধরা, কোন বস্তায় দূর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের আবার কোন বস্তায় খুদগুড়া মেশানো চাল।

 

 

 

এছাড়া চালের বস্তা গুলোর মুখের সেলাই দুই ধরনের ছিল। হাতের এবং মেশিনের সেলাই। এ অবস্থা দেখে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান পৌরসভায় গিয়ে খারাপ চাল পরিবর্তন করে দিতে চান। কিন্তু মেয়র খারাপ চাল আটকে দিয়ে জানতে চান এই নিম্নমানের চাল কোথায় সরবরাহ করা হবে। ফলে চাল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে নিম্নমানের পঁচা চাল সরবরাহ করা হয়েছে। যা খাওয়ার যোগ্য নয়। এ চাল গরীব মানুষের মাঝে বিতরন করলে আমার বদনাম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন হবে। কিভাবে পঁচা চাল সরকারি খাদ্য গুদামে আসলো তা জানতে হবে। বিষয়টি আমি সকলকে জানিয়েছি। নিম্নমানের চালগুলো পৌর চত্বরে রয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে উলিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, ডিলাররা ছাটাইয়ের মাধ্যমে চালগুলো দিয়েছেন। গুদামে চালের খামালের চারিদিকের ওষুধ প্রয়োগের কারনে (আউটার লেয়ারে) চাল গুলো সাদা হতে পারে।

 

 

দুর্ঘন্ধের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধান ছাইটাইয়ের সময় মিলাররা হাউজের পানি পরিবর্তন না করায় কিছুটা গন্ধ হতে পারে। আমি খারাপ চালের বস্তা গুলো পরিবর্তন করে দিতে চাইলেও মেয়র তা মানতে রাজি হয়নি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম

উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত ভিজিএফ এর চাল নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দিলেন মেয়র

আপডেট সময় ০৮:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত দুর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়র চাল গ্রহন না করে তা আটকে দিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর পৌরসভায়।

 

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৮১ দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এর ১০ কেজি করে চাল বিতরনের বরাদ্দ পাওয়া যায়। সে হিসাবে ৩০ টন ৮শ ১০ কেজি (৩০ হাজার ৮শ ১০ কেজি ) চাল সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়।

 

 

ওই চাল টলি যোগে পৌরসভায় পৌছিলে কিছু চালের বস্তা গুদামে তোলা হয়। এরমধ্যে দুগন্ধযুক্ত নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চালের বিষয়টি চোখে পরে। তখন পৌর কর্মচারীরা চালের বস্তা বাছাই করতে গিয়ে দেখেন বিভিন্ন ধরনের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। কোন বস্তার চাল ছাতা ধরা, কোন বস্তায় দূর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের আবার কোন বস্তায় খুদগুড়া মেশানো চাল।

 

 

 

এছাড়া চালের বস্তা গুলোর মুখের সেলাই দুই ধরনের ছিল। হাতের এবং মেশিনের সেলাই। এ অবস্থা দেখে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান পৌরসভায় গিয়ে খারাপ চাল পরিবর্তন করে দিতে চান। কিন্তু মেয়র খারাপ চাল আটকে দিয়ে জানতে চান এই নিম্নমানের চাল কোথায় সরবরাহ করা হবে। ফলে চাল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে নিম্নমানের পঁচা চাল সরবরাহ করা হয়েছে। যা খাওয়ার যোগ্য নয়। এ চাল গরীব মানুষের মাঝে বিতরন করলে আমার বদনাম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন হবে। কিভাবে পঁচা চাল সরকারি খাদ্য গুদামে আসলো তা জানতে হবে। বিষয়টি আমি সকলকে জানিয়েছি। নিম্নমানের চালগুলো পৌর চত্বরে রয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে উলিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, ডিলাররা ছাটাইয়ের মাধ্যমে চালগুলো দিয়েছেন। গুদামে চালের খামালের চারিদিকের ওষুধ প্রয়োগের কারনে (আউটার লেয়ারে) চাল গুলো সাদা হতে পারে।

 

 

দুর্ঘন্ধের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধান ছাইটাইয়ের সময় মিলাররা হাউজের পানি পরিবর্তন না করায় কিছুটা গন্ধ হতে পারে। আমি খারাপ চালের বস্তা গুলো পরিবর্তন করে দিতে চাইলেও মেয়র তা মানতে রাজি হয়নি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।