বাংলাদেশ ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান মির্জাগঞ্জে বিনাদোষে দুই নারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যে নারী। নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

যশোরে সরকারি গুদামে বোরো ধান বিক্রিতে কৃষকের অনিহা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • ১৬৮১ বার পড়া হয়েছে

যশোরে সরকারি গুদামে বোরো ধান বিক্রিতে কৃষকের অনিহা

প্রিয়ব্রত ধর, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরে এ বছর বোরো ধান চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্য প্রায় সমান্ত্রালে অবস্থান করায় এ অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি গুদামে এ বছর ধানের ম্যূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ আর চাল ৪০ টাকা কেজি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোটা ধান ৯শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে নানা রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করছে কম।
এ বছর যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৭২৮ মে.টন আর চাল ২৬ হাজার ৭৪৪ মে.টন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব করে দেখা যায় এ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা অর্জণ হয়েছে মাত্র ৮.৮৪ শতাংশ। মে মাসে শুরু হয়েছে সংগ্রহ অভিযার আর ৩১ আগষ্ট পয়র্ন্ত অভিযান তা চলবে।
বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ৩ হাজার ১৩৮ মে.টন, চাল ৬ হাজার ২৫৫ মে.টন,অর্জিত হয়েছে ধান ১৬০ মে.টন ও চাল ৪ হাজার ৩৯.৪৭০ মে.টন। মনিরামপুর উপজেলায় ধানের লক্ষ মাত্রা ৩ হাজার ৮৯২ মে.টন, চাল ২ হাজার ৫২৫ মে.টন অর্জিত হয়েছে ধান শূন্য এবং চাল ১ হাজার ১৫২ মে.টন। কেশবপুরে লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৩৬০ মে.টন চাল ১ হাজার ১৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪২০ মে.টন আর চাল ৩৭০ মে.টন।
ঝিকোরগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৭১৫ মে.টন চাল ১ হাজার ৬০৮ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪০৫ মে.টন ও চাল ২ হাজার ৩৪২ মে. টন। শার্সায় লক্ষমাত্রা ধান ৩ হাজার ৩২৫ টন, চাল ৬ হাজার ১৭১ টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২১৯ মে.টন চাল ২ হাজার ৩৪২ মে.টন। চৌগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৪৭১ মে.টন চাল ১ হাজার ৬৩১ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২৪৭ মে.টন চাল ১ হাজার ৮ মে.টন। বাঘারপাড়ায় লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৯৭৫ মে.টন চাল ৩২৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ১২৬ মে.টন আর চাল ১২৬ মে.টন। অভয়নগরে ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ মে.টন আর চাল ৭ হাজার ২১০ মে.টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ড বলেন, ধানের বাজার মূল্য ও গুদাম মূল্য প্রায় সমান যে কারনে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় ধান সংগ্রহের পুরোপুরি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবেনা। ৫০ শতাংশ অর্জিত হতে পারে। তবে চালের লক্ষমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

যশোরে সরকারি গুদামে বোরো ধান বিক্রিতে কৃষকের অনিহা

আপডেট সময় ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

প্রিয়ব্রত ধর, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরে এ বছর বোরো ধান চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্য প্রায় সমান্ত্রালে অবস্থান করায় এ অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি গুদামে এ বছর ধানের ম্যূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ আর চাল ৪০ টাকা কেজি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোটা ধান ৯শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে নানা রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করছে কম।
এ বছর যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৭২৮ মে.টন আর চাল ২৬ হাজার ৭৪৪ মে.টন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব করে দেখা যায় এ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা অর্জণ হয়েছে মাত্র ৮.৮৪ শতাংশ। মে মাসে শুরু হয়েছে সংগ্রহ অভিযার আর ৩১ আগষ্ট পয়র্ন্ত অভিযান তা চলবে।
বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ৩ হাজার ১৩৮ মে.টন, চাল ৬ হাজার ২৫৫ মে.টন,অর্জিত হয়েছে ধান ১৬০ মে.টন ও চাল ৪ হাজার ৩৯.৪৭০ মে.টন। মনিরামপুর উপজেলায় ধানের লক্ষ মাত্রা ৩ হাজার ৮৯২ মে.টন, চাল ২ হাজার ৫২৫ মে.টন অর্জিত হয়েছে ধান শূন্য এবং চাল ১ হাজার ১৫২ মে.টন। কেশবপুরে লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৩৬০ মে.টন চাল ১ হাজার ১৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪২০ মে.টন আর চাল ৩৭০ মে.টন।
ঝিকোরগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৭১৫ মে.টন চাল ১ হাজার ৬০৮ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪০৫ মে.টন ও চাল ২ হাজার ৩৪২ মে. টন। শার্সায় লক্ষমাত্রা ধান ৩ হাজার ৩২৫ টন, চাল ৬ হাজার ১৭১ টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২১৯ মে.টন চাল ২ হাজার ৩৪২ মে.টন। চৌগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৪৭১ মে.টন চাল ১ হাজার ৬৩১ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২৪৭ মে.টন চাল ১ হাজার ৮ মে.টন। বাঘারপাড়ায় লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৯৭৫ মে.টন চাল ৩২৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ১২৬ মে.টন আর চাল ১২৬ মে.টন। অভয়নগরে ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ মে.টন আর চাল ৭ হাজার ২১০ মে.টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ড বলেন, ধানের বাজার মূল্য ও গুদাম মূল্য প্রায় সমান যে কারনে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় ধান সংগ্রহের পুরোপুরি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবেনা। ৫০ শতাংশ অর্জিত হতে পারে। তবে চালের লক্ষমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে।