বাংলাদেশ ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

যশোরে সরকারি গুদামে বোরো ধান বিক্রিতে কৃষকের অনিহা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • ১৬৯৩ বার পড়া হয়েছে

যশোরে সরকারি গুদামে বোরো ধান বিক্রিতে কৃষকের অনিহা

প্রিয়ব্রত ধর, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরে এ বছর বোরো ধান চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্য প্রায় সমান্ত্রালে অবস্থান করায় এ অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি গুদামে এ বছর ধানের ম্যূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ আর চাল ৪০ টাকা কেজি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোটা ধান ৯শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে নানা রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করছে কম।
এ বছর যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৭২৮ মে.টন আর চাল ২৬ হাজার ৭৪৪ মে.টন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব করে দেখা যায় এ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা অর্জণ হয়েছে মাত্র ৮.৮৪ শতাংশ। মে মাসে শুরু হয়েছে সংগ্রহ অভিযার আর ৩১ আগষ্ট পয়র্ন্ত অভিযান তা চলবে।
বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ৩ হাজার ১৩৮ মে.টন, চাল ৬ হাজার ২৫৫ মে.টন,অর্জিত হয়েছে ধান ১৬০ মে.টন ও চাল ৪ হাজার ৩৯.৪৭০ মে.টন। মনিরামপুর উপজেলায় ধানের লক্ষ মাত্রা ৩ হাজার ৮৯২ মে.টন, চাল ২ হাজার ৫২৫ মে.টন অর্জিত হয়েছে ধান শূন্য এবং চাল ১ হাজার ১৫২ মে.টন। কেশবপুরে লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৩৬০ মে.টন চাল ১ হাজার ১৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪২০ মে.টন আর চাল ৩৭০ মে.টন।
ঝিকোরগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৭১৫ মে.টন চাল ১ হাজার ৬০৮ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪০৫ মে.টন ও চাল ২ হাজার ৩৪২ মে. টন। শার্সায় লক্ষমাত্রা ধান ৩ হাজার ৩২৫ টন, চাল ৬ হাজার ১৭১ টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২১৯ মে.টন চাল ২ হাজার ৩৪২ মে.টন। চৌগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৪৭১ মে.টন চাল ১ হাজার ৬৩১ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২৪৭ মে.টন চাল ১ হাজার ৮ মে.টন। বাঘারপাড়ায় লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৯৭৫ মে.টন চাল ৩২৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ১২৬ মে.টন আর চাল ১২৬ মে.টন। অভয়নগরে ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ মে.টন আর চাল ৭ হাজার ২১০ মে.টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ড বলেন, ধানের বাজার মূল্য ও গুদাম মূল্য প্রায় সমান যে কারনে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় ধান সংগ্রহের পুরোপুরি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবেনা। ৫০ শতাংশ অর্জিত হতে পারে। তবে চালের লক্ষমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

যশোরে সরকারি গুদামে বোরো ধান বিক্রিতে কৃষকের অনিহা

আপডেট সময় ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

প্রিয়ব্রত ধর, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরে এ বছর বোরো ধান চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্য প্রায় সমান্ত্রালে অবস্থান করায় এ অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি গুদামে এ বছর ধানের ম্যূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ আর চাল ৪০ টাকা কেজি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোটা ধান ৯শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে নানা রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করছে কম।
এ বছর যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৭২৮ মে.টন আর চাল ২৬ হাজার ৭৪৪ মে.টন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব করে দেখা যায় এ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা অর্জণ হয়েছে মাত্র ৮.৮৪ শতাংশ। মে মাসে শুরু হয়েছে সংগ্রহ অভিযার আর ৩১ আগষ্ট পয়র্ন্ত অভিযান তা চলবে।
বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ৩ হাজার ১৩৮ মে.টন, চাল ৬ হাজার ২৫৫ মে.টন,অর্জিত হয়েছে ধান ১৬০ মে.টন ও চাল ৪ হাজার ৩৯.৪৭০ মে.টন। মনিরামপুর উপজেলায় ধানের লক্ষ মাত্রা ৩ হাজার ৮৯২ মে.টন, চাল ২ হাজার ৫২৫ মে.টন অর্জিত হয়েছে ধান শূন্য এবং চাল ১ হাজার ১৫২ মে.টন। কেশবপুরে লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৩৬০ মে.টন চাল ১ হাজার ১৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪২০ মে.টন আর চাল ৩৭০ মে.টন।
ঝিকোরগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৭১৫ মে.টন চাল ১ হাজার ৬০৮ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪০৫ মে.টন ও চাল ২ হাজার ৩৪২ মে. টন। শার্সায় লক্ষমাত্রা ধান ৩ হাজার ৩২৫ টন, চাল ৬ হাজার ১৭১ টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২১৯ মে.টন চাল ২ হাজার ৩৪২ মে.টন। চৌগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৪৭১ মে.টন চাল ১ হাজার ৬৩১ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২৪৭ মে.টন চাল ১ হাজার ৮ মে.টন। বাঘারপাড়ায় লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৯৭৫ মে.টন চাল ৩২৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ১২৬ মে.টন আর চাল ১২৬ মে.টন। অভয়নগরে ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ মে.টন আর চাল ৭ হাজার ২১০ মে.টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ড বলেন, ধানের বাজার মূল্য ও গুদাম মূল্য প্রায় সমান যে কারনে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় ধান সংগ্রহের পুরোপুরি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবেনা। ৫০ শতাংশ অর্জিত হতে পারে। তবে চালের লক্ষমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে।