সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
সোনাগাজীতে বিবাহের চার মাসের মাথায় ছয় ভরি স্বর্ণলংকার সহ পরকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে বিবি আশা নামে এক গৃহবধু। ঘটনাটি গতকাল শুক্রবার বিকালে ঘটে বলে জানিয়েছেন ওই গৃহবধুর শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম। বিবি আশার বাড়ি উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিন চরদরবেশ গ্রামে। সে ওই গ্রামের আতর আলী খান বাড়ির যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রহমান খানের মেয়ে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ছয় নাম্বার ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম হৃদয়ের সাথে গত ১ মার্চ পাবিবারিকভাবে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবি আশা বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আমিনুল ইসলাম হৃদয় বলেন, বিয়ের কিছু পরেই আমার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের ঘটনাটি ধরা পড়ে। সে আমার অগোচরে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের মো: ছাদেকের ছেলে রবিনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি আমি আমার শাশুড়ি বিবি কুলসুম আক্তার কে অবহিত করি।
পরে পারিবারিকভাবে শালিসি বৈঠকে আমার স্ত্রী ভবিষ্যতে কোন অনৈতিক কাজে জড়াবেনা অঙ্গীকার করে এবং আমার শাশুড়ি সকল দায়িত্ব গ্রহন করলে আমি সংসার করতে রাজি হই। আমার শাশুড়ির অনুরোধে গত ২৫ তারিখে আমার স্ত্রী বেড়ানোর কথা বলে পিতার বাড়িতে যায়।
গতকাল শুক্রবার তাকে আনতে গেলে জানতে পারি আমার স্ত্রী আমাদের বাড়িতে আসার কথা বলে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে আমার শাশুড়ি ও শ্যালক জহির খান পরকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিবি আশার পরকিয়া প্রেমের ঘটনাটি গোপন করে তার পরিবার আমার ছেলের সাথে বিবাহ দেয়। ইচ্ছে করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে তারা আমাদের মানসম্মান ক্ষুন্ন করেছে। বিবাহের সময় বিবি আশাকে আমরা ছয় ভরি স্বর্ণালংকার প্রদান করি। পালিয়ে যাওয়ার সময় সে আমাদো দেওয়া স্বর্ণলংকারও নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পর শুক্রবার রাতে আমিনুল ইসলাম হৃদয় বাদি হয়ে প্রতারণার দায়ে বিবি আশা, তার মা বিবি কুলসুম, ভাই জহির খান ও চাচা মিজান খানের নামে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ খবর পেয়ে বিবি আশার পরিবার রাতে থানায় এসে সিরাজুল ইসলামের সাথে মুচলেকা দিয়ে সমযোতা করেন।
বিবি আশার চাচা মিজান খান বলেন, তাদেরতো কোন দোষ নেই, সব দোষ আমাদের মেয়ের। আমরা তাদের স্বর্ণালংকার ফেরত দিবো এবং দেনমোহরের জন্য আইনগত ব্যাবস্থা নিবোনা এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে সমযোতা করি। পরকিয়া প্রেমিক রবিনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে রবিনের ঘনিষ্ট বন্ধু শাহাদাত হোসেনের সাথে কথা হয় মুঠোফোনে। সে জানায় রবিন ও বিবি আশা শনিবার সকালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে অবগত নেই বলে জানান তিনি।