![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সোমবার (২৭ জুন) রাত আটটার দিকে তিনি( মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী) কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেশবপুরের সাংসদ শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই ফন্টু চাকলাদারসহ ৮ জনের নামে মামলা রেকর্ড হয়।
ঐদিন দুপুরে যশোর শহরের কাঁঠালতলা ব্রিজের উপর থেকে মামলার তিন আসামিকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, পুরাতন কসবা কাঁঠালতলার আমজেদ গাজীর ছেলে বাবুল গাজী (৪৫), কাঁঠালতলা বটতলার তৌফিক সরদার তপুর ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন তাপস (৩৫) ও মানিকতলার মৃত আব্দুল করীমের ছেলে নুরুন্নবী (৪০)।
মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান উল্লেখ করেনো, রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে রোববার গভীর রাতে বাড়ির সামনে গিয়ে শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই শহরের কাজীপাড়ার তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু (৪৫), লোন অফিস পাড়ার আশিকুল ইসলাম বাধন (৪০), কাজীপাড়ার তেঁতুলতলার রওশন ইকবাল শাহী (৩২), কাঁঠালতলার বাবুল (৪৫), রেলগেট তেঁতুলতলার ফাহমিদ হুদা বিজয় (২৫), কাঁঠালতলা বটতলার তাপস (৩৫), কাজীপাড়া মানিকতলার নূরনবী ও কাজীপাড়ার মেহেদী হাসান রনিসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা কয়েকজনগালিগালাজ করতে থাকে।
ফরিদ চৌধুরী অভিযোগে বলেছেন, ঘর হতে বের হয়ে আসলে অভিযোগের এক নাম্বারে থাকা ব্যক্তি আমাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর গাড়ি দুটি আমার বাড়ির সামনে আবার এসে এক নাম্বার আসামি ফন্টু চাকলাদার আমাকে শাহীন চাকলাদারের রাজনৈতিক বাধা উল্লেখ করে খুনের হুমকি দিয়ে বলে যে, পথ পরিস্কার করে ফেলব। আমি পুলিশে খবর দিলে টহল গাড়ি এসে পড়ায় তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
উল্লেখিত বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরীর দেয়া অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে থানা পুলিশ। আর এদিনই তিনজন আসামিকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও তাদের ব্যবহৃত গাড়ীসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম দুই হাজার টাকা বন্ডে তিনজনকেই জামিন দিয়েছেন।