জাহিদ হাসান চৌধুরী
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের মাঝে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই’র পক্ষে হাদিয়া বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রবিবার ও আজ সোমববার বিভিন্ন্ন জেলায় কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলিভীবাজার, বি.বাড়ীয়া, চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে পীর সাহেব চরমোনাই’র পক্ষে হাদিয়া বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এসব জেলাগুলোতে দলের কয়েকটি টিম কাজ করছে। কুড়িগ্রাম জেলায় ত্রাণ বিতরণ করেন দলের নায়েবে আমীর বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হক আজাদ।
এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম পিয়াল, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাদের, ইসলামী যুব আন্দোলনের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক যুবনেতা মাওলানা আব্দুল মুমিন জেহাদী প্রমুখ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলভাষা, পাঁচগাতি, যাত্রাপুর ভোগাদহ, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে হাদিয়া বিতরণ করা হয়।
রবিবার ও সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের নেতৃত্বে সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ মণিপুরে হাদিয়া বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলের সিলেট মহানগরের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সিলেট জেলা সভাপতি সাঈদ আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খোকন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি সাব্বির আহমাদ, সহ-সভাপতি ইউসুফ পিয়াস প্রমূখ।
নেত্রকোনায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে দলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী’র নেতৃত্বে হাদিয়া বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মুফতী ওয়ালী উল্লাহ, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন, রাকিবুল ইসলামসহ নেত্রকোনা জেলা নেতৃবৃন্দ। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পর থেকে এ অঞ্চলের দূর্গতদের মাঝে হাদিয়া (ত্রাণ) তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
এদিকে ইসলামী আন্দোলনের সহযোগি সংগঠন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় পীর সাহেব চরমোনাই পক্ষ থেকে ৫শত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি মোঃ মোস্তফা কামাল, মাওলানা ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফা, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, আলহাজ্ব শামিম খান, মোঃ শহিদুল ইসলাম, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানীয়া প্রমুখ। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা সিলেট মহানগরের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৃত অভাবীদের খুঁজে বের করে টোকেন এর মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন ত্রাণ বিতরণ করে। শতভাগ শৃঙ্খলা রক্ষা করে আমাদের বিতরণ কার্যক্রম প্রতিটি এলাকায় নজির স্থাপন করেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের একমাত্র অভিভাবক মহান আল্লাহ।
ত্রাণ বিতরণকালে দলের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেন, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, জামালপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বি.বাড়ীয়াসহ দেশের ১৮টি জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট।
সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের পক্ষে তেমন কোন সহযোগিতার দেখা মিলছে না। অসহায় ও দুর্যোগে বিপন্ন মানুষ অসহায় দিনাতিপাত করছে। সরকার একটি উদ্বোধনী কাজে ২শ কোটি টাকা ব্যয় করলেও বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ করেছে মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ। এভাবে অসহায় মানুষের সাথে তামাশা করছে সরকার। প্রচার সর্বস্ব ত্রাণ বিতরণ করেছে।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা পানির কারণে দেশে প্লাবন দেখা দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব নদীগুলো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজের সব সুইচ গেইট খুলে দেওয়ায় পানি ঢুকে সব কিছু প্লাবিত হচ্ছে। বানভাসি মানুষকে লাল সংকেত দেখিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। তারপরও সরকার বলে দিল্লী তাদের পরম বন্ধু। সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণে দেশের মানুষ পানি আগ্রাসনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।