ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান নেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জননেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জন বদলগাছিতে শিশু জুঁই ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগটি ৬০ হাজার টাকায় রফদফা একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোরে জোড়া খুন রানীশংকৈল জয়কালী বাজারে ভেজাল দুধ বিক্রী নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের অভিযান পটুয়াখালীতে রমজানে খেটে-খাওয়া রোজাদার পথেই পাবে ইফতার কুমিল্লায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। বদলগাছিতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির টাকা ইউপি সদস্যর পকেটে ব্রাহ্মণপাড়ায় ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১ জন যশোরে মামলা প্রত্যাহারসহ সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সাউন্ডবাংলা-পল্টনড্ডায় ইফতার ও স্বপ্নালোক-এর মোড়ক উন্মোচন নতুন কৌশলে ডাক্তার কোটিপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

ফাগুনের বনে চোখধাঁধানো শিমুল ফুলের প্রস্থান রচিত হচ্ছে ধীরে ধীরে। 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে

ফাগুনের বনে চোখধাঁধানো শিমুল ফুলের প্রস্থান রচিত হচ্ছে ধীরে ধীরে। 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
“নারী হয় লজ্জাতে লাল,ফাগুনে লাল শিমুল বন, এ কোন রঙে রঙিন হলো বাউল মন”? গীতিকারের গানের ছন্দে উচ্ছ্বসিত যৌবন ফুটে উঠেছে শিমুল ফুলের।পকৃতপক্ষে প্রকৃতির যৌবনের বাঁধ ভাঙ্গা মনোলোভা সৌন্দর্যের অবগাহন এই বসন্তের আমলে।প্রকৃতি থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত। গাছে গাছে সবুজ পাতা। ফসলের মাঠ সবুজে ছেয়ে আছে। মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে। নাকে ভেসে আসছে শিমুল ফুলের ঘ্রাণ। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রকৃতিতে এমনি রুপের দেমাগ  এখন।
প্রকৃতিতে বইছে দখিনা বাতাস। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন। শিমুল ফুলে এখন বসন্তের হাসি। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতি রাঙিয়ে উঠে নয়নাভিরাম শিমুল ফুল।
কিন্তু কালের বিবর্তনে কিশোরগঞ্জের ফাগুনে চোখধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। এক যুগ আগেও কিশোরগঞ্জের প্রত্যেকটি উপজেলার গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তায়, পতিত ভিটায় প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিত, এসেছে বসন্ত।বর্তমানে শিমুলের বিয়োজনে মলিন হাসির আনাগোনা দিগন্তজোড়া।
প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। জানা যায়, এ গাছের সব অংশেই রয়েছে ভেষজগুণ। শীতের শেষে শিমুলের পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে যায়। বাতাসে আপনা-আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সঙ্গে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই নতুন গাছের জন্ম হয়।
অন্যান্য গাছের মতো এ গাছ কেউ শখ করে রোপণ করে না। নেওয়া হয় না কোনো যত্ন। প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য।
বর্তমানে মানুষ এ গাছ কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে মানুষ। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ কিশোরগঞ্জ জেলায় বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ।
নিকলী উপজেলার হাসিবুল হাসান বলেন, আগে গ্রামে প্রচুর শিমুল গাছ ছিল। এখন আর দেখা যায় না। একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। তবুও এই গাছ বিলুপ্তির পথে। আগের যুগে শিমুল তুলা দিয়ে লেপ, তোশক ও বালিশ তৈরি করা হতো। কিন্তু শিমুল তুলার মূল্য বৃদ্ধিতে গার্মেন্টের জুট কাপড় দিয়ে তৈরি তুলা, পাম্পের তোশক, বালিশসহ পঞ্চ, কাপাশ তুলা আজ শিমুল তুলার স্থান দখল করে নিয়েছে। তা ছাড়া শিমুল ফল ফেটে তুলা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। তাই শিমুল গাছকে একটি বাড়তি ঝামেলা হিসেবে দেখতে শুরু করেছে গ্রাম বাংলার মানুষ।’হোসেনপুর উপজেলার হোসেনপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক আশরাফ আহমেদ, তাড়াইল উপজেলার মামুন ভূইয়া,সদরের মনিরুজ্জামান, নিকলী উপজেলার আব্দুর রহিম,বাজিতপুরের সাইদুর রহমান, মিঠামইনের শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন,এই সময়কালে রাস্তার ধারে আপন সৌন্দর্যে ফুটে থাকা কিংবা গাছের নিচে লাল জাজিম আগের মত চোখে পড়েনা।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়,বর্তমানে শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, আর গার্মেন্টের জুট দিয়ে তৈরি তুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাপাশ তুলা ২৫০ এবং পজ্ঞের তুলা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিমুলগাছে রয়েছে অসংখ্য গুনাগুন আমাদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বীর্য ঘন করে থাকে। অনেক পুরুষের বাবা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে এর প্রধান কারন এদের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান অনেক কম। তাই স্ত্রী সহবাস করার পরেও তাদের সন্তান হয় না। বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান বৃদ্ধি করতে শিমুল মূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এই মূল চুর্ণ খেলে শুক্রাণুর বেড়ে যাবে এবং সন্তান হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এছারা আরো কিছু উপকারিতা জেনে নিই। মাওলানা জাকির হোসাইন আজাদীর সত্যকথা প্রকাশনীর “গাছ-গাছড়ার হাজার গুন লতা পাতায় রোগমুক্তিতে উল্লেখিতঃ-
১) অনেক পুরুষ আছে স্ত্রী সহবাসে অধিক সময় থাকতে পারেন না। এতে দুই জনের মিলন তৃপ্তি হয় না। স্ত্রীর মনে সবসময় কষ্ট থেকে যায়। এবং জীবনে নেমে আসে হতাসা। এর প্রধান কারণ পুরুষের বীর্য পাতলা। আর বীর্য পাতলা হলে স্ত্রী সহবাসে কখনো দীর্ঘ সময় থাকা যায় না। এই কঠিন সমস্যার সমাধান দিবে শিমুল মূল। কারণ নিয়মিত শিমুল মূল,তেতুল বীজের গুড়া ও অর্শ্বগন্ধা একত্রে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। ফলে দীর্ঘ সময় স্ত্রী সহবাস করা যাবে। ২) আগেই বলা হয়েছে এটি খেলে পুরুষের শুক্ররানু বৃদ্ধি পায়। এবং এটি যৌবন ধরে রাখে দীর্ঘদিন। ৩) অনেকের রক্ত আময়শায় ভূগছেন। আর এই থেকে পরিত্রাণ পেতে শিমুল মূল চুর্ণ এর সাথে ছাগলের দুধ পান করতে হবে। বেশ কয়েক দিন খেলে এটি ভালো হয়ে যাবে।
৪) কিছু কিছু সময় আমাদের ফোরা দেখা যায়। এবং এটি অধিক যন্ত্রনা দেয়। এই ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে শিমুল মূল ছেচে ক্ষত স্থানে লাগালে দ্রুত কাজ করবে। ৫) অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয় । আর এটি খেলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ৬) এটি মেছতা ও উদরাময় রোগ দূর করে থাকে।
৭) শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতা উভয় দূর করতে প্রতিদিন এই চূণের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ করে। এতে বলা যায় শিমুল মূলের উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক।(বিশেষজ্ঞদের পরমর্শ অনুযায়ী সেব্য)
বন ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্যিকভাবে এখন জেলার কোথাও এই শিমুলগাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। যার কারণে শিমুলগাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এর তুলাটা খুবই ভালো এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে মানুষ আসল তুলার মর্ম বুঝত।

কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান

ফাগুনের বনে চোখধাঁধানো শিমুল ফুলের প্রস্থান রচিত হচ্ছে ধীরে ধীরে। 

আপডেট সময় ০৩:০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
“নারী হয় লজ্জাতে লাল,ফাগুনে লাল শিমুল বন, এ কোন রঙে রঙিন হলো বাউল মন”? গীতিকারের গানের ছন্দে উচ্ছ্বসিত যৌবন ফুটে উঠেছে শিমুল ফুলের।পকৃতপক্ষে প্রকৃতির যৌবনের বাঁধ ভাঙ্গা মনোলোভা সৌন্দর্যের অবগাহন এই বসন্তের আমলে।প্রকৃতি থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত। গাছে গাছে সবুজ পাতা। ফসলের মাঠ সবুজে ছেয়ে আছে। মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে। নাকে ভেসে আসছে শিমুল ফুলের ঘ্রাণ। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রকৃতিতে এমনি রুপের দেমাগ  এখন।
প্রকৃতিতে বইছে দখিনা বাতাস। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন। শিমুল ফুলে এখন বসন্তের হাসি। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতি রাঙিয়ে উঠে নয়নাভিরাম শিমুল ফুল।
কিন্তু কালের বিবর্তনে কিশোরগঞ্জের ফাগুনে চোখধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। এক যুগ আগেও কিশোরগঞ্জের প্রত্যেকটি উপজেলার গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তায়, পতিত ভিটায় প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিত, এসেছে বসন্ত।বর্তমানে শিমুলের বিয়োজনে মলিন হাসির আনাগোনা দিগন্তজোড়া।
প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। জানা যায়, এ গাছের সব অংশেই রয়েছে ভেষজগুণ। শীতের শেষে শিমুলের পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে যায়। বাতাসে আপনা-আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সঙ্গে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই নতুন গাছের জন্ম হয়।
অন্যান্য গাছের মতো এ গাছ কেউ শখ করে রোপণ করে না। নেওয়া হয় না কোনো যত্ন। প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য।
বর্তমানে মানুষ এ গাছ কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে মানুষ। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ কিশোরগঞ্জ জেলায় বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ।
নিকলী উপজেলার হাসিবুল হাসান বলেন, আগে গ্রামে প্রচুর শিমুল গাছ ছিল। এখন আর দেখা যায় না। একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। তবুও এই গাছ বিলুপ্তির পথে। আগের যুগে শিমুল তুলা দিয়ে লেপ, তোশক ও বালিশ তৈরি করা হতো। কিন্তু শিমুল তুলার মূল্য বৃদ্ধিতে গার্মেন্টের জুট কাপড় দিয়ে তৈরি তুলা, পাম্পের তোশক, বালিশসহ পঞ্চ, কাপাশ তুলা আজ শিমুল তুলার স্থান দখল করে নিয়েছে। তা ছাড়া শিমুল ফল ফেটে তুলা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। তাই শিমুল গাছকে একটি বাড়তি ঝামেলা হিসেবে দেখতে শুরু করেছে গ্রাম বাংলার মানুষ।’হোসেনপুর উপজেলার হোসেনপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক আশরাফ আহমেদ, তাড়াইল উপজেলার মামুন ভূইয়া,সদরের মনিরুজ্জামান, নিকলী উপজেলার আব্দুর রহিম,বাজিতপুরের সাইদুর রহমান, মিঠামইনের শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন,এই সময়কালে রাস্তার ধারে আপন সৌন্দর্যে ফুটে থাকা কিংবা গাছের নিচে লাল জাজিম আগের মত চোখে পড়েনা।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়,বর্তমানে শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, আর গার্মেন্টের জুট দিয়ে তৈরি তুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাপাশ তুলা ২৫০ এবং পজ্ঞের তুলা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিমুলগাছে রয়েছে অসংখ্য গুনাগুন আমাদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বীর্য ঘন করে থাকে। অনেক পুরুষের বাবা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে এর প্রধান কারন এদের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান অনেক কম। তাই স্ত্রী সহবাস করার পরেও তাদের সন্তান হয় না। বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান বৃদ্ধি করতে শিমুল মূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এই মূল চুর্ণ খেলে শুক্রাণুর বেড়ে যাবে এবং সন্তান হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এছারা আরো কিছু উপকারিতা জেনে নিই। মাওলানা জাকির হোসাইন আজাদীর সত্যকথা প্রকাশনীর “গাছ-গাছড়ার হাজার গুন লতা পাতায় রোগমুক্তিতে উল্লেখিতঃ-
১) অনেক পুরুষ আছে স্ত্রী সহবাসে অধিক সময় থাকতে পারেন না। এতে দুই জনের মিলন তৃপ্তি হয় না। স্ত্রীর মনে সবসময় কষ্ট থেকে যায়। এবং জীবনে নেমে আসে হতাসা। এর প্রধান কারণ পুরুষের বীর্য পাতলা। আর বীর্য পাতলা হলে স্ত্রী সহবাসে কখনো দীর্ঘ সময় থাকা যায় না। এই কঠিন সমস্যার সমাধান দিবে শিমুল মূল। কারণ নিয়মিত শিমুল মূল,তেতুল বীজের গুড়া ও অর্শ্বগন্ধা একত্রে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। ফলে দীর্ঘ সময় স্ত্রী সহবাস করা যাবে। ২) আগেই বলা হয়েছে এটি খেলে পুরুষের শুক্ররানু বৃদ্ধি পায়। এবং এটি যৌবন ধরে রাখে দীর্ঘদিন। ৩) অনেকের রক্ত আময়শায় ভূগছেন। আর এই থেকে পরিত্রাণ পেতে শিমুল মূল চুর্ণ এর সাথে ছাগলের দুধ পান করতে হবে। বেশ কয়েক দিন খেলে এটি ভালো হয়ে যাবে।
৪) কিছু কিছু সময় আমাদের ফোরা দেখা যায়। এবং এটি অধিক যন্ত্রনা দেয়। এই ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে শিমুল মূল ছেচে ক্ষত স্থানে লাগালে দ্রুত কাজ করবে। ৫) অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয় । আর এটি খেলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ৬) এটি মেছতা ও উদরাময় রোগ দূর করে থাকে।
৭) শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতা উভয় দূর করতে প্রতিদিন এই চূণের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ করে। এতে বলা যায় শিমুল মূলের উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক।(বিশেষজ্ঞদের পরমর্শ অনুযায়ী সেব্য)
বন ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্যিকভাবে এখন জেলার কোথাও এই শিমুলগাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। যার কারণে শিমুলগাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এর তুলাটা খুবই ভালো এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে মানুষ আসল তুলার মর্ম বুঝত।