বরিশাল প্রতিনিধিঃ
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় কবুতর উন্মুক্ত করন ও বেলুন উরিয়ে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে বরিশালে আইটি/ হাই-টেক পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, এডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস, প্রশাসনের উর্ধোতন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান এবং অন্যন্য নেতৃবৃন্দসহ প্রমুখ।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমি বরিশালের তরুণ প্রজন্মের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশর সপ্নদ্রোষ্টা,আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সূযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে চাই।
এই আইটেক পার্কই হচ্ছে বরিশালের তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার এবং আইটেক পার্কটি ডিজিটাল বাংলাদেশর আর্কিটেক্ট,তারুণ্যের গর্ব, সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেইন চাইল।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, এতদিন আমরা ছিলাম শ্রমনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে করেছেন প্রযুক্তি নির্ভর, তারুণ্য নির্ভর। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্যই সারাদেশে ব্রানব্বই টি হাইটেক পার্ক উনি নির্মাণ করেছেন।
বিশকুটি টাকায় একটা সিনাপ্লেক্সসহ সব মিলিয়ে প্রায় দুই শত কোটি টাকা ব্যায়ে সাড়ে ছয় একর জায়গায় তরুনদের বিনোদনের জন্য এই হাইটেক পার্কটি নির্মিত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন আমরা আশা রাখছি আগামী দুই বছরের মধ্যে হাইটেক পার্কটির কাজ শেষ হবে। তখন প্রতি বছর এক হাজার তরুণ তরুণীকে আমরা সরাসরি প্রশিক্ষণ দেবো এবং তিন হাজার তরুণ তরুণীকে আমরা প্রতিবছরএখানে প্রতক্ষ্যভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবো। বরিশালের শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের আর ঢাকা মুখী হতে হবে না।তারা বরিশালের মাটিতে বসেই ইউরোপ আমেরিকাতে কাজ করবে,বাংলাদেশে প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে এবং বরিশালকে একটি সিলিকন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই হাইটেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। মাননীয় উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষ থেকে বরিশাল বাসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং তারুন্যের শক্তি মেধা প্রযুক্তির শক্তির সাথে একত্রিত করে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার দু হাজার এক চল্লিশ ভিশন বাস্তবায়ন করবো বলে জয় বংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন মেয়রসহ আরো অনেকে। বক্তব্য শেষে গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।