রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শৈরশৈই মারকাজুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাজ্জাদ হোসাইন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে পিকআপ ভ্যান ভাংচুর ও মালিক শাহজাহানের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়ে অর্থ জরিমানার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, রাত আনুমানিক ৯টায় মাদ্রাসা ছাত্র সাজ্জাদ হোসাইন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ী করেছে পিকআপ মালিক ও ড্রাইভারকে।
তবে পিকআপ আসার পূর্বে ট্রলি যেতে দেখেন মাদ্রাসার দুজন ছাত্র। এছাড়াও স্থানীয় অনেকেই নিহতের ঘটনায় ফরিদ কাজীর ট্রলিকেই দায়ী করছেন। এছাড়াও মাদ্রাসা কমিটি ও শিক্ষকদেরও দায়ী করছেন স্থানীয়রা। বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ছেলেটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন শৈরশই বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ী মানিক হোসেনের কাছে খবর নিয়ে আসেন। তখন ঐ পিকআপটি বাজারে দাঁড়ানো ছিল বলে জানান মানিক সহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী।
মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, আমাদের মাদ্রাসায় দুজন ছাত্র না বলে বাহিরে জান। সেখানে সাজ্জাদ ও ছিল। বাহিরে যাওয়ার কিছুক্ষন পর সাথে থাকা ছাত্র খবর নিয়ে আসে সাজ্জাদ এক্সিডেন্ট হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে আছে। শিক্ষকরা গিয়ে মাদ্রাসায় আনার পর মৃত্যু বরণ করেন সাজ্জাদ। মাদ্রাসার প্রধান মুহতামিম ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের আসার খবর শুনে পালিয়ে যায়। মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ট্রলির মালিক ফরিদ কাজী বলেন, সাজ্জাদের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়রা এসে পিকআপের মালিক ও ড্রাইভারকে হাতেনাতে পায়। মাদ্রাসার সিসি ক্যামেরা দেখে সনাক্ত করা হোক পিকআপ নাকি ট্রলি। যদি আমার ট্রলি হয়ে থাকে তাহলে আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এবিষয়ে পিকআপের মালিক শাহজাহান বলেন, হাজিগঞ্জ থেকে বালি ভর্তি পিকআপ নিয়ে শৈরশই বাজারে এসে শুনি একটি ছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা যায়। আমি ড্রাইভার সহ বালি নামিয়ে আসার পর মাদ্রাসার সামনে লোকজন আমাদেরকে আটক করে মারধর করেন। আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাই, এদিকে উত্তেজিত জনতা আমার গাড়ি ভাঙচুর করে।
গাড়ি সহ আমাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আমার ভাইয়ের সাথে চেয়ারম্যান সোহেল রানা, ফরিদ কাজী, আবুল খায়ের কোম্পানি সহ অনেকেই সালিশি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল পাটোয়ারী বলেন, আমি এখন এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাইনা। মাদ্রাসার ভবনের মালিক ঢাকা থেকে আসলে এবং সিসি ক্যামেরা দেখে মন্তব্য করবো। রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমদাদুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিকআপ আটক করে থানায় এসে স্থানীয়রা নিজেরা নিজেরাই মীমাংসা করেন।