ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
বখাটেদের উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ হয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা নিয়ামতি ইউনিয়নে বিনামূল্য ৫৭ টি গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ন প্রকল্পের ২ শতাংশ জমি সহ সেমি পাকা ঘর পেল। পটুয়াখালীতে র‌্যাবের অভিযানে ৫ কেজি ৩০০ গ্ৰাম গাঁজাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার সিংড়ায় মারপিট মামলায় ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯ নেতাকর্মীর জেল বুড়িচংয়ে মসজিদের ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৯ রাঙ্গাবালীতে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ এর পক্ষ থেকে ইফতার বিতরণ যশোরের কারবালা চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাংবাদিক শাহানারা মেজর জিয়ার ঘোষনার মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় : ভিপি মাহবুব লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গৌরীপুর পৌরসভার উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা তাড়াশে লোকালয়ে অবৈধ পুরাতন ব্যাটারি কারখানায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকীর মুখে নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০০ দরিদ্র পরিবারের জন্য উন্নত টয়লেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ভালুকায় বাড়ীর সামনে ইট ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ বাগমারায় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করলেন এমপি এনামুল হক জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ উলিপুরে জমি দখল করতে এসে ১০ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আটক

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর চান ভান্ডারিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অসহায় বাবা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর চান ভান্ডারিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অসহায় বাবা

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

 

মামুন হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘

 

শুনেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমিও একটি ঘর চাই, ঘরটি পেলে আমার দুঃখ ঘুচতো, প্রতিবন্ধী মেয়েটি ও নাতী নাতনীদের নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো, আর ঝর বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হতো না’। একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানান ভা-ারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা বেগমের বাবা শাহ আলম তালুকদার (৭৩)। অসহায় শাহ আলম তালুকদার শনিবার সকালে জানান, আমার ৫ মেয়ে।

 

 

কোন ছেলে নেই। শত দারিদ্রের মধ্যেও তাদের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন আমি ৭৩ বছরের একজন বৃদ্ধ। দীর্ঘদিন ডাইবেটিক্সে রোগে ভুগছি এবং কয়েক বার স্ট্রক করে এখন বিছানায় পড়ে আছি। দু একপা হাটতে পাড়লেও আয় করার সমর্থ নেই তার। তিনি আরো জানান, আমার মেঝ মেয়ে আসমা শিশু অবস্থা থেকে জ্ঞান বুদ্ধিহীন সহ নানান সমস্যায় বেড়ে উঠে। তার চরম মানসিক সমস্যার কারনে পড়াশোনাও করানো হয়নি। নিজের দারিদ্রতা ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে এক বাক প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিবাহ দিয়েছি। তার সামন্য আয়ে চলছে কোন মতে আমাদের কষ্টের সংসার।

 

 

কিন্তু আমাদের থাকার মত একটি ঘর নেই। যে কাঠের ঘরে আছি তা খুবই জরাজীর্ণ। সেই জরাজীর্ণ ঘরের দুই কক্ষের একটি ঘরে থাকেন প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার দুই শিশু সন্তান। ঘরের একটি কক্ষে থাকি আমি (বাবা)। পাশে একটি খরকুঠোর ঘরে চলে রান্না- বান্নার কাজ। শাহ আলম তালুকদারের বড় মেয়ে শাহিনুর বলেন, আমার মা গত এক বছর আগে মারা গেছে। বাবা খুব অসুস্থ্য মানুষ। তার কোন আয় নেই। এই বৃদ্ধ বয়সে প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার সন্তানদের নিয়ে মহাবিপদে আছে। ভাল ভাবে দু-বেলা খাবার জুটছে না আমাদের। গত ১০ বছর ধরে আমি দর্জির কাজ করে এই সংসার চালিয়েছি। এখন আমার বিয়ে হয়েছে তাই আগের মত তাদের সহযোগিতা করতে পারছি না। গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুব কষ্টে আছে বৃদ্ধ শাহ আলম তালুকদার। সে মেয়েদের সহযোগিতায় বেছে আছে। কারো কাছে কখনো সাহায্য চাইতে দেখিনি।

 

 

 

তিনি একটি পুরোনো টিনের জরাজীর্ণ ঘরে থাকেন। সেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে ফুটো, সেই ফুটো দিয়ে ডুকছে বাতাস, এই শীতে সীমাহীন কষ্টে কাটছে তাদের মানবেতর জীবন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা কেঁদে বলেন, আমি কোন ভাতা পাইনা। এখন একটা ঘরই তার স্বপ্ন। বাবার ৯ শতক বসত ভিটার জমিতে যদি কেউ একটা ঘর করে দিতো তাহলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হতো। আর সেই ঘরের নিচে খেয়ে না খেয়ে বাকীটা জীবন কাটাতাম। এ ব্যপারে উপজেলার ১ নং ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্না বলেন, যারা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন পর্যায়ক্রমে তারা সবাই ঘর পাবেন। তাদেরও ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেন। তাদের ঘর পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি জোড় চেষ্টা করবো।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বখাটেদের উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ হয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর চান ভান্ডারিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অসহায় বাবা

আপডেট সময় ০৩:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

 

মামুন হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘

 

শুনেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমিও একটি ঘর চাই, ঘরটি পেলে আমার দুঃখ ঘুচতো, প্রতিবন্ধী মেয়েটি ও নাতী নাতনীদের নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো, আর ঝর বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হতো না’। একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানান ভা-ারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা বেগমের বাবা শাহ আলম তালুকদার (৭৩)। অসহায় শাহ আলম তালুকদার শনিবার সকালে জানান, আমার ৫ মেয়ে।

 

 

কোন ছেলে নেই। শত দারিদ্রের মধ্যেও তাদের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন আমি ৭৩ বছরের একজন বৃদ্ধ। দীর্ঘদিন ডাইবেটিক্সে রোগে ভুগছি এবং কয়েক বার স্ট্রক করে এখন বিছানায় পড়ে আছি। দু একপা হাটতে পাড়লেও আয় করার সমর্থ নেই তার। তিনি আরো জানান, আমার মেঝ মেয়ে আসমা শিশু অবস্থা থেকে জ্ঞান বুদ্ধিহীন সহ নানান সমস্যায় বেড়ে উঠে। তার চরম মানসিক সমস্যার কারনে পড়াশোনাও করানো হয়নি। নিজের দারিদ্রতা ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে এক বাক প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিবাহ দিয়েছি। তার সামন্য আয়ে চলছে কোন মতে আমাদের কষ্টের সংসার।

 

 

কিন্তু আমাদের থাকার মত একটি ঘর নেই। যে কাঠের ঘরে আছি তা খুবই জরাজীর্ণ। সেই জরাজীর্ণ ঘরের দুই কক্ষের একটি ঘরে থাকেন প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার দুই শিশু সন্তান। ঘরের একটি কক্ষে থাকি আমি (বাবা)। পাশে একটি খরকুঠোর ঘরে চলে রান্না- বান্নার কাজ। শাহ আলম তালুকদারের বড় মেয়ে শাহিনুর বলেন, আমার মা গত এক বছর আগে মারা গেছে। বাবা খুব অসুস্থ্য মানুষ। তার কোন আয় নেই। এই বৃদ্ধ বয়সে প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার সন্তানদের নিয়ে মহাবিপদে আছে। ভাল ভাবে দু-বেলা খাবার জুটছে না আমাদের। গত ১০ বছর ধরে আমি দর্জির কাজ করে এই সংসার চালিয়েছি। এখন আমার বিয়ে হয়েছে তাই আগের মত তাদের সহযোগিতা করতে পারছি না। গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুব কষ্টে আছে বৃদ্ধ শাহ আলম তালুকদার। সে মেয়েদের সহযোগিতায় বেছে আছে। কারো কাছে কখনো সাহায্য চাইতে দেখিনি।

 

 

 

তিনি একটি পুরোনো টিনের জরাজীর্ণ ঘরে থাকেন। সেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে ফুটো, সেই ফুটো দিয়ে ডুকছে বাতাস, এই শীতে সীমাহীন কষ্টে কাটছে তাদের মানবেতর জীবন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা কেঁদে বলেন, আমি কোন ভাতা পাইনা। এখন একটা ঘরই তার স্বপ্ন। বাবার ৯ শতক বসত ভিটার জমিতে যদি কেউ একটা ঘর করে দিতো তাহলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হতো। আর সেই ঘরের নিচে খেয়ে না খেয়ে বাকীটা জীবন কাটাতাম। এ ব্যপারে উপজেলার ১ নং ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্না বলেন, যারা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন পর্যায়ক্রমে তারা সবাই ঘর পাবেন। তাদেরও ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেন। তাদের ঘর পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি জোড় চেষ্টা করবো।