বাংলাদেশ ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর চান ভান্ডারিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অসহায় বাবা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর চান ভান্ডারিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অসহায় বাবা

 

 

 

 

মামুন হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘

 

শুনেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমিও একটি ঘর চাই, ঘরটি পেলে আমার দুঃখ ঘুচতো, প্রতিবন্ধী মেয়েটি ও নাতী নাতনীদের নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো, আর ঝর বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হতো না’। একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানান ভা-ারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা বেগমের বাবা শাহ আলম তালুকদার (৭৩)। অসহায় শাহ আলম তালুকদার শনিবার সকালে জানান, আমার ৫ মেয়ে।

 

 

কোন ছেলে নেই। শত দারিদ্রের মধ্যেও তাদের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন আমি ৭৩ বছরের একজন বৃদ্ধ। দীর্ঘদিন ডাইবেটিক্সে রোগে ভুগছি এবং কয়েক বার স্ট্রক করে এখন বিছানায় পড়ে আছি। দু একপা হাটতে পাড়লেও আয় করার সমর্থ নেই তার। তিনি আরো জানান, আমার মেঝ মেয়ে আসমা শিশু অবস্থা থেকে জ্ঞান বুদ্ধিহীন সহ নানান সমস্যায় বেড়ে উঠে। তার চরম মানসিক সমস্যার কারনে পড়াশোনাও করানো হয়নি। নিজের দারিদ্রতা ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে এক বাক প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিবাহ দিয়েছি। তার সামন্য আয়ে চলছে কোন মতে আমাদের কষ্টের সংসার।

 

 

কিন্তু আমাদের থাকার মত একটি ঘর নেই। যে কাঠের ঘরে আছি তা খুবই জরাজীর্ণ। সেই জরাজীর্ণ ঘরের দুই কক্ষের একটি ঘরে থাকেন প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার দুই শিশু সন্তান। ঘরের একটি কক্ষে থাকি আমি (বাবা)। পাশে একটি খরকুঠোর ঘরে চলে রান্না- বান্নার কাজ। শাহ আলম তালুকদারের বড় মেয়ে শাহিনুর বলেন, আমার মা গত এক বছর আগে মারা গেছে। বাবা খুব অসুস্থ্য মানুষ। তার কোন আয় নেই। এই বৃদ্ধ বয়সে প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার সন্তানদের নিয়ে মহাবিপদে আছে। ভাল ভাবে দু-বেলা খাবার জুটছে না আমাদের। গত ১০ বছর ধরে আমি দর্জির কাজ করে এই সংসার চালিয়েছি। এখন আমার বিয়ে হয়েছে তাই আগের মত তাদের সহযোগিতা করতে পারছি না। গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুব কষ্টে আছে বৃদ্ধ শাহ আলম তালুকদার। সে মেয়েদের সহযোগিতায় বেছে আছে। কারো কাছে কখনো সাহায্য চাইতে দেখিনি।

 

 

 

তিনি একটি পুরোনো টিনের জরাজীর্ণ ঘরে থাকেন। সেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে ফুটো, সেই ফুটো দিয়ে ডুকছে বাতাস, এই শীতে সীমাহীন কষ্টে কাটছে তাদের মানবেতর জীবন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা কেঁদে বলেন, আমি কোন ভাতা পাইনা। এখন একটা ঘরই তার স্বপ্ন। বাবার ৯ শতক বসত ভিটার জমিতে যদি কেউ একটা ঘর করে দিতো তাহলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হতো। আর সেই ঘরের নিচে খেয়ে না খেয়ে বাকীটা জীবন কাটাতাম। এ ব্যপারে উপজেলার ১ নং ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্না বলেন, যারা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন পর্যায়ক্রমে তারা সবাই ঘর পাবেন। তাদেরও ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেন। তাদের ঘর পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি জোড় চেষ্টা করবো।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর চান ভান্ডারিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অসহায় বাবা

আপডেট সময় ০৩:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

 

মামুন হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘

 

শুনেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমিও একটি ঘর চাই, ঘরটি পেলে আমার দুঃখ ঘুচতো, প্রতিবন্ধী মেয়েটি ও নাতী নাতনীদের নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো, আর ঝর বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হতো না’। একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানান ভা-ারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা বেগমের বাবা শাহ আলম তালুকদার (৭৩)। অসহায় শাহ আলম তালুকদার শনিবার সকালে জানান, আমার ৫ মেয়ে।

 

 

কোন ছেলে নেই। শত দারিদ্রের মধ্যেও তাদের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন আমি ৭৩ বছরের একজন বৃদ্ধ। দীর্ঘদিন ডাইবেটিক্সে রোগে ভুগছি এবং কয়েক বার স্ট্রক করে এখন বিছানায় পড়ে আছি। দু একপা হাটতে পাড়লেও আয় করার সমর্থ নেই তার। তিনি আরো জানান, আমার মেঝ মেয়ে আসমা শিশু অবস্থা থেকে জ্ঞান বুদ্ধিহীন সহ নানান সমস্যায় বেড়ে উঠে। তার চরম মানসিক সমস্যার কারনে পড়াশোনাও করানো হয়নি। নিজের দারিদ্রতা ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে এক বাক প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিবাহ দিয়েছি। তার সামন্য আয়ে চলছে কোন মতে আমাদের কষ্টের সংসার।

 

 

কিন্তু আমাদের থাকার মত একটি ঘর নেই। যে কাঠের ঘরে আছি তা খুবই জরাজীর্ণ। সেই জরাজীর্ণ ঘরের দুই কক্ষের একটি ঘরে থাকেন প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার দুই শিশু সন্তান। ঘরের একটি কক্ষে থাকি আমি (বাবা)। পাশে একটি খরকুঠোর ঘরে চলে রান্না- বান্নার কাজ। শাহ আলম তালুকদারের বড় মেয়ে শাহিনুর বলেন, আমার মা গত এক বছর আগে মারা গেছে। বাবা খুব অসুস্থ্য মানুষ। তার কোন আয় নেই। এই বৃদ্ধ বয়সে প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার সন্তানদের নিয়ে মহাবিপদে আছে। ভাল ভাবে দু-বেলা খাবার জুটছে না আমাদের। গত ১০ বছর ধরে আমি দর্জির কাজ করে এই সংসার চালিয়েছি। এখন আমার বিয়ে হয়েছে তাই আগের মত তাদের সহযোগিতা করতে পারছি না। গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুব কষ্টে আছে বৃদ্ধ শাহ আলম তালুকদার। সে মেয়েদের সহযোগিতায় বেছে আছে। কারো কাছে কখনো সাহায্য চাইতে দেখিনি।

 

 

 

তিনি একটি পুরোনো টিনের জরাজীর্ণ ঘরে থাকেন। সেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে ফুটো, সেই ফুটো দিয়ে ডুকছে বাতাস, এই শীতে সীমাহীন কষ্টে কাটছে তাদের মানবেতর জীবন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা কেঁদে বলেন, আমি কোন ভাতা পাইনা। এখন একটা ঘরই তার স্বপ্ন। বাবার ৯ শতক বসত ভিটার জমিতে যদি কেউ একটা ঘর করে দিতো তাহলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হতো। আর সেই ঘরের নিচে খেয়ে না খেয়ে বাকীটা জীবন কাটাতাম। এ ব্যপারে উপজেলার ১ নং ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্না বলেন, যারা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন পর্যায়ক্রমে তারা সবাই ঘর পাবেন। তাদেরও ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেন। তাদের ঘর পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি জোড় চেষ্টা করবো।