আশিকুর রহমান শান্ত।।
ভোলায় পূজা রিনা বেগম (৪৮) ( ছদ্মনাম) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মোঃ জামাল (৪০) নামের এক মুদি দোকানী রিরুদ্ধে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছোট আলগী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জামাল পলাতক।
অভিযোগে জানা যায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গৃহবধূক রিনা বেগম গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টার দিকে তার ঘরের পিছনে অবস্থিত টিউবওয়েলে গোসল করে পোশাক পরিবর্তন করার সময় অভিযুক্ত জামাল গোসলখানায় ঢুকে গৃহবধূ রিনা বেগম কে জড়িয়ে ধরে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধূ রিনা বেগমের ডাকচিৎকারে পাশ্ববর্তী পারুল বিবিসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত জামাল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, আমি দুপুরের কলে গোসল করতে যাই। গোসল শেষ করে আমি কাপর পরিবর্তন করার সময় হাঠাৎ করে জামাল সেখানে ডুকে তার হাত থাকা গরম পানি আমার চোখে মূখে মারতে থাকে। যখন আমার চোখ মূখ বন্ধ হয়ে যায়। তখন সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন আসে তখন জামাল সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমি আপনাদের কাছে এই ঘটনার বিচার চাই।
গৃহবধূ শাশুড়ী আমেনা বেগম (৭০) জানান, তার পুত্রবধূ প্রতিবন্ধী, সে যখন কলে গোসল করতে যায় তখন পাশে উৎপেতে থাকা জামাল বউর কাপড় পরির্বতন করার সময় জামালের হাতে থাকা গরম পানি বউর মুখে মারে পরে তাকে জড়িয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বউর চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে কলপাড় গেলে জামাল সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশী পারুল বেগম জানান, আমি আমার ঘরের পাশে কাজ করতে ছিলাম। হাঠাৎ চিৎকার শুনে আমি কলপাড় গিয়ে দেখি জামাল ভেতর থেকে বেড়িয়ে চলে যাচ্ছে ও রিনাকে কান্না করতে দেখি। নাম প্রকাশ না করা সত্তে অন্য এক নারী বলেন, জামাল খুব খারাপ লোক। সুযোগ পেলেই সে নারীদের গায়ে হাত দেয়। এরআগেও এরকম অনেকগুলো ঘটনা ঘটিয়েছে। তার অনেক ক্ষমতা, অনেক টাকা, তাই ভয়ে তাকে কেউ কিছু বলে না।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার এসআই রঞ্জিত সরকার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছি। ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত জামাল কে পাওয়া যায়নি। থানায় মামলা করলে আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভিযুক্ত জামাল সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে বিষয়টি অস্বীকার করেন বলেন আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। স্থানীয় মেম্বার আলমগীর ডাক্তার জানান, আমি এলাকায় ছিলাম না, ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। যেহেতু থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই বিষয় ধনিয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রশাসন তদন্তের সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমি আসা করি। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।