বাংলাদেশ ০৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান মির্জাগঞ্জে বিনাদোষে দুই নারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যে নারী। নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

ঠাকুরগাঁওয়ে জমির মালিকানা দ্বন্দে এক সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা ও ভাংচুর

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭০১ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে জমির মালিকানা দ্বন্দে এক সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা ও ভাংচুর

 
 
রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ 
জেলার হরিপুর উপজেলায় জমির মালিকা দ্বন্দে এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতা ভ‚গছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি ) রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমিত্রা রাণী বাদি হয়ে হরিপুর থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুমিত্রা রানী তার পরিবার নিয়ে র্দীঘ প্রায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। ২০০৮ সালের ৩১ আগষ্ট তার সন্তান জয় কুমার সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত পায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে হরিপুর উপজেলার টিএন্ডটি সংলগ্ন এলাকার হাড়িপাড়া গ্রামে ডালিমের নেতৃত্বে খোকন, সেলিম, অন্তরসহ প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি দল সংঘবদ্ধ হয়ে সুমিত্রা রাণীর বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় তার ছেলে জয় কুমারের বাড়িতে থাকা মন্দীরের প্রতিমা, আসবাবপত্র, দেয়াল ভাংচুর করে। ওই প্রভাবশালী মহলটি ইতিপূর্বেও সংখ্যালঘু পরিবারটির বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানায় ডালিমসহ তার লোকজন নিয়ে ওই পরিবারটির বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছেন। ওই পরিবারে শিশু শিক্ষার্থী তিশা রাণী বলেন আমি স্কুলে যাওয়ার সময় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। এজন্য স্কুলে যেতে ভয় পাই। ভ‚ ক্তভোগী সুচিত্রা রাণী বলেন আমার বাপদাদারা এই জায়গায় বসবা করে আসছেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর তারা আমার পরিবারকে বিভিন্নভাব্ধেসঢ়; হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন আমাদের এখান থেকে তাড়ানোর জন্য এই সব কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে ওই মহলটি। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করে একাধিক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ বলে কোন সমাধান পাচ্ছি না ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডালিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। হরিপুর উপজেল আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল বলেন, ওই পরিবারটি পাকিস্তান আমল থেকে ওই জায়গায় বসবাস করে আসছেন। এভাবে পরিবারটির বসতবাড়িতে গিয়ে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি খুবই দু:খজনক। এব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
হরিপুর থানার ওসি মো: তাজুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, ওই জমির মালিকানা তিনটি পক্ষ দাবি করে আসছে। হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকার পক্ষে জয় কুমার এবং ডামিলের পরিবার। তবে পরিবারটি যদি অন্য কথাও যেতে চায়, তাহলে প্রশাসনের পক্ষে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু ওই পরিবারটিকে সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। সে জন্য আমরা পরিবারটির পক্ষে আছি এবং প্রয়োজনী সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

ঠাকুরগাঁওয়ে জমির মালিকানা দ্বন্দে এক সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা ও ভাংচুর

আপডেট সময় ০৯:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
 
 
রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ 
জেলার হরিপুর উপজেলায় জমির মালিকা দ্বন্দে এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতা ভ‚গছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি ) রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমিত্রা রাণী বাদি হয়ে হরিপুর থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুমিত্রা রানী তার পরিবার নিয়ে র্দীঘ প্রায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। ২০০৮ সালের ৩১ আগষ্ট তার সন্তান জয় কুমার সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত পায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে হরিপুর উপজেলার টিএন্ডটি সংলগ্ন এলাকার হাড়িপাড়া গ্রামে ডালিমের নেতৃত্বে খোকন, সেলিম, অন্তরসহ প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি দল সংঘবদ্ধ হয়ে সুমিত্রা রাণীর বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় তার ছেলে জয় কুমারের বাড়িতে থাকা মন্দীরের প্রতিমা, আসবাবপত্র, দেয়াল ভাংচুর করে। ওই প্রভাবশালী মহলটি ইতিপূর্বেও সংখ্যালঘু পরিবারটির বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানায় ডালিমসহ তার লোকজন নিয়ে ওই পরিবারটির বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছেন। ওই পরিবারে শিশু শিক্ষার্থী তিশা রাণী বলেন আমি স্কুলে যাওয়ার সময় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। এজন্য স্কুলে যেতে ভয় পাই। ভ‚ ক্তভোগী সুচিত্রা রাণী বলেন আমার বাপদাদারা এই জায়গায় বসবা করে আসছেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর তারা আমার পরিবারকে বিভিন্নভাব্ধেসঢ়; হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন আমাদের এখান থেকে তাড়ানোর জন্য এই সব কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে ওই মহলটি। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করে একাধিক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ বলে কোন সমাধান পাচ্ছি না ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডালিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। হরিপুর উপজেল আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল বলেন, ওই পরিবারটি পাকিস্তান আমল থেকে ওই জায়গায় বসবাস করে আসছেন। এভাবে পরিবারটির বসতবাড়িতে গিয়ে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি খুবই দু:খজনক। এব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
হরিপুর থানার ওসি মো: তাজুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, ওই জমির মালিকানা তিনটি পক্ষ দাবি করে আসছে। হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকার পক্ষে জয় কুমার এবং ডামিলের পরিবার। তবে পরিবারটি যদি অন্য কথাও যেতে চায়, তাহলে প্রশাসনের পক্ষে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু ওই পরিবারটিকে সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। সে জন্য আমরা পরিবারটির পক্ষে আছি এবং প্রয়োজনী সহযোগিতা দিয়ে আসছি।