নবীগঞ্জ পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওয়ার্ড সম্মেলনে সব প্রার্থীদের কাছ থেকে, সম্মেলনের খরচ দেখিয়ে দীঘলবাক ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ড থেকে সভাপতি পদে দুই হাজার, সম্পাদক পদে এক হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজাত চৌধুরী। তবে তিনি সাংবাদিক দের বলেন. দীঘলবাক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম হোসেন রব্বানী সাহেবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মেলনের খরচ ভাবত কিছু টাকা প্রার্থী দের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল তবে আমরা আর টাকা নেব না সিদ্ধান্ত নেয়েছি।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড, মুজিবুর রহমান কাজল বলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে যে নির্দেশনা রয়েছে প্রার্থী দের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নেই, তবে সভাপতি গোলাম হোসেন যে টাকা নিয়েছেন আমরা শোনেছি এবং জেনেছি, তবে টাকার নেওয়ার বিষয়ে গঠনতন্ত্র মুলক সিদ্ধান্ত দেবেন জেলা আওয়ামী লীগ। সভাপতি গোলাম হোসেন রব্বানীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মাত্রই সংযোগ কেটেদেন।

এছাড়াও সভাপতি গোলাম হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ৭নং ওয়ার্ড কমিটিতে টাকার বিনিময়ে বিএনপি সমর্থিত, সুহেল আহমদ নামে এক ব্যক্তি কে টাকার বিনিময়ে নাকি সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করেন তিনি। ৭নং ওয়ার্ডের পরাজিত সব প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে এ অভিযোগ আমলে নিয়ে নবগঠিত কমিটি স্থগিতের ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুলজাহান চৌধুরী।

এর পর ৬নং ওয়ার্ড কমিটিতে একি অভিযোগ উঠেছে সভাপতি গোলাম হোসেনের বিরুদ্ধে।

এ ওয়ার্ডে তিনি কৌশলে নিজের পছন্দ মত লোক দিয়ে বোর্ড গঠন করেন এ বোর্ডে তিনি যাননি এবং ইউনিয়ন সম্পাদক সুজাত চৌধুরীকে ও বোর্ডে যেতে মানা করেন। বহিস্কৃত যুবলীগের আহ্বায়ক ছালিক মিয়া, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জান হোসেনকে দিয়ে বোর্ড গঠন করান এবং এ বোর্ডের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সাজ্জাদ হোসেন নিজেই তারা সাধারণ পদে মনোনীত করেন সৈয়দপুর বাজার ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ২৫ বছর বয়সী ছাত্র শিবিরের সদস্য মো: দুরোধ আহমদ কে। এমন অভিযোগ করেছেন ঐ ওয়ার্ডের পরাজিত ৫ প্রার্থী।