শংকর চৌধুরী, হাটহাজারী প্রতিনিধি:
গ্রাম-গঞ্জে, অফিস-আদালতের একসময়ের জনপ্রিয় এই টাইপমেশিন কালের বিবর্তন, সভ্যতার আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তির ডিজিটালায়নে নাই বললেই চলে। কোর্ট বিল্ডিং এর সামনে একসময় সারি সারি বসে বিরতিহীন কাজ করতো এই টাইপিস্টরা।কারণ টাইপমেশিনে বিদ্যুৎ লাগতো না। টাইপ করার জন্য সিরিয়াল নিতে হতো কাস্টমারদের। টাইপিস্টদের ছিল তখন অনেক কদর। হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্ টিক সেন্টারে তখন টাইপমেশিনে রিপোর্ট দেওয়া হতো।
এজন্য টাইপ জানা প্রার্থীকে অগ্রাধিকারে নিয়োগ দেওয়া হতো। এই টাইপিস্ট স্টাফদের বেতনও বাড়তি দেওয়া হতো। কারণ কম্পিউটার তখন সহজলভ্য ছিলো না বাংলাদেশে।তাছাড়া বিদ্যুৎও ছিলো না সবখানে। তাই একমাত্র টাইপমেশিনই ছিলো যতো মেডিকেল রিপোর্ট, দলিল, চুক্তিনামা এসব লিখার একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে জনপ্রিয় এই টাইপমেশিন এখন তেমন ব্যবহার হয় না। কারণ এখন সবজায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়াতে টাইপমেশিনের পরিবর্তে চলছে কম্পিউটারে সকল কাজ। তাই অনেক টাইপিস্ট এখন কম্পিউটারে কাজ করে, আর যাদের বয়স হয়েছে তারা এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।