রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ছেলে তার বৃদ্ধা মাকে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোন এক সময় ঘাতক ছেলে মিলন (২৫) তার মা ফাতেমা বেগমকে (৫৯) হত্যা করে বলে জানায় পুলিশ ও এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ০২ নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আশারকোটা গ্রামের ওয়াহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়িতে।
সকালে পুলিশ পুড়িয়ে যাওয়া মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ঘাতক মিলনকে আটক করা হয়েছে। মিলন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনাটি খুবই ভয়াবহ। আটককৃত মিলন ২ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। দ্#ু৩৯;বার তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। সম্প্রতি তাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মা আমেনার সঙ্গে মিলন নানার বাড়ি থেকে আসে। ঘরে তারা দ্#ু৩৯;জনই থাকে।
রাতের কোন একসময় মিলন বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে কম্বল পেঁচিয়ে শরীরের আগুন লাগিয়ে দেয়। ফজরের আজানের সময় ঘর থেকে ধোঁয়া এবং গন্ধ বের হতে দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় বৃদ্ধ আমেনার দেহ আগুনে পুড়ছে। পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সকালে পুলিশ পুড়িয়ে যাওয়া মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ঘাতক মিলনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহাদ আলী ব্যাপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা বেগম ওই বাড়ির মৃত আলী আকবরের স্ত্রী। তার তিন ছেলে রয়েছে। ঘাতক মিলন তার ছোট ছেলে। বড় ছেলে সৌদি প্রবাসী, মেঝো ছেলে ঢাকায় থাকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নুরুল আমিন বলেন, মিলনের বাবা প্রবাসী ছিলেন।
তিনি কয়েকবছর আগে বিদেশেই মারা যান। তার আরও দুই ছেলের মধ্যে একজন প্রবাসী ও আরেকজন ঢাকায় চাকরি করেন। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি খুবই ভয়াবহ। মিলন আগে সুস্থ ছিল। ২ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। অসুস্থতার কারণেই হয়তো বৃদ্ধ মাকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলেছে। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়ে ছেলেকে আটক করা হয়েছে। শুনেছি সে মানসিকভাবে অসুস্থ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।