রুহুল আমিন, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বিল জলমহালটি ইজারা দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ইজারা বাতিল চেয়ে ভূমি সচিব বরাবর গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) লিখিত আবেদন করেছেন উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রামের সবুজ মিয়া ও জিলু মিয়া।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালিয়া বিল জলমহালটি উপজেলার ধলা ইউনিয়নের সেকান্দরনগর মৌজায় অবস্থিত। জলমহালটির আয়তন ২৭ একর ৮৫ শতাংশ। জলমহালটিকে ৬ বছরের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা গ্রহণ করেছে গজারিয়া পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। অথচ গজারিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিটি বোয়ালিয়া বিল জলমহাল থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এত দূর থেকে মাছের অভয়াশ্রম তৈরি কিংবা সারা বছর সংরক্ষণ করিয়া মাছ চাষ করা বাস্তবিকই সম্ভব নয়। আরো জানা যায়, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শামছুল আলম গজারিয়া পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিটিকে অযোগ্য সমিতি হিসেবে তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সত্বেও সমস্ত তথ্যাদি গোপন করে উক্ত ইজারা দেয়া হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির আদেশে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিগত ১৮-১-২০২১ তারিখে তার প্রতিবেদনে গজারিয়া পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিটির ইজারা গ্রহণের কোনো যোগ্যতা ও সক্ষমতা নাই বলে মতামত প্রদান করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গজারিয়া পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে অলিখিত সাবলিজ দিয়াছে উপজেলার ধলা ইউনিয়নের উত্তর সেকান্দরনগর গ্রামের তাজুল মিয়া, সাইকুল মিয়া, বাদল মিয়া, রেহান মিয়া, পাভেল মিয়া, উজ্জল মিয়া, আবদুল হক মিয়া, আতাহাদ মিয়া, মোস্তাহাব মিয়া ও সিরাজ মিয়া গংদেরকে। সাবলিজওয়ালাগণ বোয়ালিয়া বিল জলমহালটি শুকিয়ে বোরো ধান রোপন করিয়াছে। এতে করে বিলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে চলেছে। বিগত বছরেও তাজুল গংরা জলমহালটিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে খাস কালেকশনে এনে বিলটি শুকিয়ে বোরো ধান রোপন করিয়াছিল।
ধলা গ্রামের জিতু মিয়া, আবদুল বারেক, উত্তর সেকান্দরনগর গ্রামের হারুন মিয়া, সবিকুল ইসলাম, ধনু মিয়া, কাঞ্চন মিয়া ও সায়েম মিয়া বোয়ালিয়া বিল জলমহালটি সরেজমিনে তদন্ত করে বিলের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে আইনানুগ ব্যাবস্হা গ্রহণ করার জন্য সদয় আবেদন জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমি খোঁজ নেব।