![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ঃঃ
ঈদকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জের জেলা উপজেলার বড় বড় শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। থেমে নেই ফুটপাতের ঈদ বাজারও, রীতিমত জমে উঠেছে এটি। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ছেলে বুড়ো সবার হাতে বড় বড় ব্যাগ নিয়ে এ ফুটপাতের দোকান ও দোকান ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রমজান মাস শেষে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের এখনো বাকি প্রায় বেশ কিছু দিন। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ বাজারের বিক্রিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা দাম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। ঈদ যতোই এগিয়ে আসছে, বিক্রি ততই বাড়ছে তাদের। সে তুলনায় এখনো ততোটা জমজমাট নয় বড় বড় শপিংমল গুলো।
বিভিন্ন ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ীদের দেখা যায় কথা বলারও সময় পাচ্ছেন না তারা। ক্রেতারাও দোকান ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত। আতিকা নামের এক গৃহিণী বলেন, ভেবে ছিলাম ঈদের অনেক আগে এসেছি ভিড় থাকবে না, তবে দেখছি অনেক ভিড়, এর মধ্যে ঈদের বাজার করতে হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ মসজিদ মার্কেটের পূর্বপাসের মুন্সীগঞ্জ কাটাখালির ব্যবসায়ি বকুল ও সোহেল জানান, ঈদের সময় যতো কাছে আসবে এই বেচাকেনা মধ্যরাত ছাড়িয়ে যাবে। মার্কেট ভেদে ছেলেদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, জিন্স প্যান্ট ৩৫০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকায়, টি-শার্ট ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ টাকা থেকে হাজার/১২০০ টাকা, শাড়ি ৪৫০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা, বাচ্চাদের থ্রি-কোয়াটার জিন্স প্যান্ট ৩০০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলে ও মেয়ে শিশুদের জন্য হাতাকাটা গেঞ্জি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা।
ফুটপাতের মার্কেটে কাপড়ের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে জিনিস এখানে ২৫০ টাকা মার্কেটে সেটাই ৫০০/৬০০ টাকা, তা হলে কেন আমি নিউমার্কেটে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করবো!
ফুটপাতের কাপড়ের দাম কম কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, কাপড় একই, আমাদের এসি খরচ নেই, লাইট খরচ নেই, তাই আমরা কম দামে বিক্রি করছি। এদিকে আবার দেখা যায়, নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষ ঈদ কেনা-কাটা সারছেন ফুটপাত থেকে। এবারের কেনা-বেচা তুলনামূলক ভালো বলে জানান ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। ঈদের কেনা কাটার জন্য নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের জন্য এক রকম আশীর্বাদ ফুটপাতের দোকানগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি হকারদের হাঁকডাকে মূখর থাকে ফুটপাতের প্রতিটি দোকান।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এসব দোকানগুলোতে প্রায় সব কিছুই পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে মেয়েদের বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রি-পিচ, টু পিচ, লেহেঙ্গা, ফোরাগ এবং বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকসহ সাধ্যের মধ্যে সব পণ্য। পাশাপাশি ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জিসহ বাচ্চাদের জন্য বাহারী নানান ধরনের পোশাক। মাঝে মাঝে বিত্তবানদেরও ফুটপাত থেকে কাপড়চোপড় কিনতে দেখা যায়।
তবে ঈদ মার্কেট এখানেই শেষ না, ঈদকে সামনে রেখে বসে নেই মৌসুমি হকাররাও। বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ট্রাফিক সিগনালে থামা গাড়িগুলোর দিকে ছুটছেন একেকজন। কারো হাতে আতর, কারো হাতে টুপি কারো হাতে নামাজ শিক্ষার বিভিন্ন ধরনের বই সামগ্রী। যানজটে গাড়িতে বসে থাকা মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন এই ভাসমান হকাররা। তাদের বিক্রিও নেহাত কম নয়।